Dhaka , Saturday, 22 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সিএমইউজে’র নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন পাইকগাছায় বিএনপির সেন্টার কমিটি বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীতে কাঠের সেতু করে দিলেন – ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবেনা: তানিয়া রব বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্বোধন মধুপুরে টাঙ্গাইল- ১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ধর্ম ব্যতীত শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে:- ধর্ম উপদেষ্টা পাইকগাছায় পাখি সুরক্ষায় মাঠসভা ও ৪০টি পাখির বাসা স্থাপন আওয়ামী লীগের আমলে যারা টাকা লুটপাট করছে এই মানুষগুলিও শিক্ষিত ছিল- -নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনাসভা বর্জন করলো ইবি ছাত্রদল বিজিবি’র মাদকবিরোধী সাড়াশি অভিযান: সীমান্তে গাঁজা ও ইস্কাফ সিরাপসহ ১ মাদক কারবারী গ্রেফতার সেন্টমার্টিনের আব্দুল গণির জালে ধরা পড়লো ৩২ কেজির পোপা মাছ ভূমিকম্পে নরসিংদী হারিয়ে গেল শিশু সহ পাঁচ জীবন, আহত শতাধিক ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মত মতবিনিময় সভা রাজনৈতিক মাঠে আওয়ামী লীগকে আর স্থান দেওয়া হবে না: ইশরাক হোসেন গৌরবময় পথচলার ৪৭ বছর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইবি দিবস উদযাপন হিউম্যান এইড ইন্টারন্যাশনালের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে উদ্বোধন ও অভিষেক উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রামুতে ৬০ হাজার পিস ইয়াবাসহ প্রাইভেট কার নিয়ে চালক আটক নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বাবা–ছেলের মৃত্যু। অর্জন, প্রাপ্তি ও প্রশ্নে ইবির ৪৭ তম বছরে পদার্পণ  পাইকগাছায় পাখির জন্য বাঁধা মাটির পাত্রে- এবার কাঠবিড়ালির বাসা ফতুল্লা থানা বিএনপি’র গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ নারায়ণগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে বিশাল গণসমাবেশ রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেওয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু ॥ আহত ৩ কিশোরগঞ্জের যানজট সমস্যা সমাধান কোথায় হাটহাজারিতে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট,২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড। বেগমগঞ্জে আপন ভাইয়ের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার রাইসা পোল্ট্রি এন্ড এগ্রো ফার্ম ও তার মালিক

৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 05:55:48 am, Saturday, 7 December 2024
  • 75 বার পড়া হয়েছে

৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস।।

নোয়াখালী প্রতিনিধি।।

   

   
আজ সাত ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর ৭ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিলো অবিভক্ত নোয়াখালী। একাত্তরের এদিন ভোরে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং সি-জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। একযোগে তারা তিনটি রাজাকার ক্যাম্প দখল করে। আত্মসমর্পণ করে পাকিস্থানীদের এদেশীয় দালাল রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবস্থা বেগতিক দেখে নোয়াখালী পিটিআই’র ট্রেনিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় পাকিস্থানী সেনারা।

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। সি-জোনের গুপ্তচরের মাধ্যমে জানতে পারে জেলা শহর মাইজদীতে পাক হানাদার বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে। তাৎক্ষনিক জোন এর রাজনৈতিক প্রধান মরহুম আলী আহম্মদ চৌধুরী সহ অন্যান্য কমান্ডারবৃন্দ জরুরী বৈঠকে বসে এবং নোয়াখালী শহরে অবস্থিত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের উপর আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১২টি ট্রুপকে ৬ ডিসেম্বর রাত ২টার মধ্যে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যেতে বলা হয় সকলকে। সন্ধ্যায় তৎকালীন নোয়াখালীর ডিসি মঞ্জুরুল করিমের সাথে এডভোকেট খায়ের আহম্মদ ও মরহুম রফিক উল্যাহ্ মিয়াকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেদিন ডিসির সহযোগিতার কারণে লাইনের সমস্থ পুলিশ বাহিনী সকালেই আত্মসর্মপন করে।

৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তৎকালীন বি.এল.এফ কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং ডিজোনের কমান্ডার মরহুম রফিক উল্যাহ্’র বাহিনী এবং এম.এফ- বি.এল.এফ ও এফ.এফ সবাই একত্রে মিলে মাইজদী ভোকেশনাল- নাহার মঞ্জিল- কোর্ট ষ্টেশন- রৌশন বাণী সিনেমা হল, দত্তের হাট, কোল্ড ষ্টোরিজ সহ সব রাজাকার ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নিয়ে আসা হয়। শুধু বাকি থাকে মাইজদী পিটিআই। সেখানে মূলত রাজাকার ও পাকিস্তানিদের মূল ক্যাম্প ছিল। অন্যান্য ক্যাম্পগুলো দখলে আনার ফলে একা হয়ে যায় পিটিআই।

একদিকে সাধারণ মানুষের আনন্দ মিছিল- অন্যদিকে আক্রমন করতে হবে পিটিআই। পিটিআই হোস্টেল দিঘির উত্তর পাড়ে ৩ তলা বিল্ডিং এ রাজাকারদের হেড কোয়াটার ছিল। কিন্তু এ বিল্ডিং ভাঙার মতো কোন বিধংসি অস্ত্র ছিলনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। তাই ফেনী থেকে একটা ২ ইঞ্চি মোটার এনে তা থেকে তিন তিনটা মোটার সেলের দ্বারা পিটিআই হোস্টেলে আক্রমনের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে মাইজদী শহরে সর্বশেষ রাজাকার ক্যাম্প এর পতন ঘটিয়ে নোয়াখালী শহর হেড কোয়ার্টার হানাদার মুক্ত করা হয়। জেলা শহরের চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি পাগল মানুষের আনন্দ জোয়ারের ঢল উঠে।

নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ ডিসেম্বরের স্মৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৯৯৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী পিটিআই সম্মুখে স্থাপন করা হয় স্মরণিকা স্তম্ভ ‘‘মুক্ত নোয়াখালী’’। আর বিগত সরকারের আমলে একই স্থানে বর্ধিত পরিসরে স্থাপন করা হয় নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্থানী বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরত জওয়ানদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্থানীরা। নোয়াখালী পিটিআই এবং বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাটি গাড়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী। তাদের সাথে এদেশীয় রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্রজনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ে। কোম্পানীগঞ্জের বামনীর যুদ্ধ, বেগমগঞ্জের বগাদিয়াসহ অসংখ্য যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। শহীদ হয় শত শত মুক্তিযোদ্ধা। শুধুমাত্র সোনাপুরের শ্রীপুরে তারা হত্যা করেছিলো শতাধিক ব্যক্তিকে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত প্রান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানিদের পিছু হটিয়ে দেয়। ৬ ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোটা নোয়াখালী।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিএমইউজে’র নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস।।

আপডেট সময় : 05:55:48 am, Saturday, 7 December 2024

নোয়াখালী প্রতিনিধি।।

   

   
আজ সাত ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর ৭ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্থানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিলো অবিভক্ত নোয়াখালী। একাত্তরের এদিন ভোরে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা বিএলএফ প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং সি-জোনের কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোশারেফ হোসেনের নেতৃত্বে জেলা শহর মাইজদী আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা। একযোগে তারা তিনটি রাজাকার ক্যাম্প দখল করে। আত্মসমর্পণ করে পাকিস্থানীদের এদেশীয় দালাল রাজাকাররা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধের মুখে অবস্থা বেগতিক দেখে নোয়াখালী পিটিআই’র ট্রেনিং সেন্টার থেকে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যায় পাকিস্থানী সেনারা।

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। সি-জোনের গুপ্তচরের মাধ্যমে জানতে পারে জেলা শহর মাইজদীতে পাক হানাদার বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেছে। তাৎক্ষনিক জোন এর রাজনৈতিক প্রধান মরহুম আলী আহম্মদ চৌধুরী সহ অন্যান্য কমান্ডারবৃন্দ জরুরী বৈঠকে বসে এবং নোয়াখালী শহরে অবস্থিত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের উপর আক্রমন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১২টি ট্রুপকে ৬ ডিসেম্বর রাত ২টার মধ্যে নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিয়ে নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যেতে বলা হয় সকলকে। সন্ধ্যায় তৎকালীন নোয়াখালীর ডিসি মঞ্জুরুল করিমের সাথে এডভোকেট খায়ের আহম্মদ ও মরহুম রফিক উল্যাহ্ মিয়াকে যোগাযোগ করতে বলা হয়। সেদিন ডিসির সহযোগিতার কারণে লাইনের সমস্থ পুলিশ বাহিনী সকালেই আত্মসর্মপন করে।

৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তৎকালীন বি.এল.এফ কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এবং ডিজোনের কমান্ডার মরহুম রফিক উল্যাহ্’র বাহিনী এবং এম.এফ- বি.এল.এফ ও এফ.এফ সবাই একত্রে মিলে মাইজদী ভোকেশনাল- নাহার মঞ্জিল- কোর্ট ষ্টেশন- রৌশন বাণী সিনেমা হল, দত্তের হাট, কোল্ড ষ্টোরিজ সহ সব রাজাকার ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নিয়ে আসা হয়। শুধু বাকি থাকে মাইজদী পিটিআই। সেখানে মূলত রাজাকার ও পাকিস্তানিদের মূল ক্যাম্প ছিল। অন্যান্য ক্যাম্পগুলো দখলে আনার ফলে একা হয়ে যায় পিটিআই।

একদিকে সাধারণ মানুষের আনন্দ মিছিল- অন্যদিকে আক্রমন করতে হবে পিটিআই। পিটিআই হোস্টেল দিঘির উত্তর পাড়ে ৩ তলা বিল্ডিং এ রাজাকারদের হেড কোয়াটার ছিল। কিন্তু এ বিল্ডিং ভাঙার মতো কোন বিধংসি অস্ত্র ছিলনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। তাই ফেনী থেকে একটা ২ ইঞ্চি মোটার এনে তা থেকে তিন তিনটা মোটার সেলের দ্বারা পিটিআই হোস্টেলে আক্রমনের মাধ্যমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা দিকে মাইজদী শহরে সর্বশেষ রাজাকার ক্যাম্প এর পতন ঘটিয়ে নোয়াখালী শহর হেড কোয়ার্টার হানাদার মুক্ত করা হয়। জেলা শহরের চারিদিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি পাগল মানুষের আনন্দ জোয়ারের ঢল উঠে।

নতুন প্রজন্মের কাছে ৭ ডিসেম্বরের স্মৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে ১৯৯৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর পাক-বাহিনীর ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী পিটিআই সম্মুখে স্থাপন করা হয় স্মরণিকা স্তম্ভ ‘‘মুক্ত নোয়াখালী’’। আর বিগত সরকারের আমলে একই স্থানে বর্ধিত পরিসরে স্থাপন করা হয় নোয়াখালী মুক্ত মঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্থানী বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর মুক্তিকামী ছাত্রজনতা পুলিশ ও ইপিআর ফেরত জওয়ানদের সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালী ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে। পরবর্তীতে পাকবাহিনীর হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা টিকতে না পেরে পিছু হটলে নোয়াখালীর নিয়ন্ত্রণ নেয় পাকিস্থানীরা। নোয়াখালী পিটিআই এবং বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে শক্তিশালী ঘাটি গাড়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী। তাদের সাথে এদেশীয় রাজাকাররা মিলে শুরু করে লুটপাট। এরই মধ্যে নোয়াখালীর অসংখ্য ছাত্রজনতা প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারত থেকে এসে পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ে। কোম্পানীগঞ্জের বামনীর যুদ্ধ, বেগমগঞ্জের বগাদিয়াসহ অসংখ্য যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। শহীদ হয় শত শত মুক্তিযোদ্ধা। শুধুমাত্র সোনাপুরের শ্রীপুরে তারা হত্যা করেছিলো শতাধিক ব্যক্তিকে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নোয়াখালীর প্রত্যন্ত প্রান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্থানিদের পিছু হটিয়ে দেয়। ৬ ডিসেম্বর দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা বেগমগঞ্জ মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা। আর ৭ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গোটা নোয়াখালী।