তিতাস -কুমিল্লা- প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাসে একটি হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযুক্ত আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে বাদীর পরিবারকে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে না নিলে বাদীকে হত্যা করে তার পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দিয়েছে বলেও দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া গ্রামে।অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়- উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের বারকাউনিয়া গ্রামের মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে ব্যবসায়ী মো. লিটনের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আ.লীগ কর্মী ব্যাংক কর্মকর্তা মো. মনির হোসেনের পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মো. লিটনের বাড়ীতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে অতির্কিতে হামলা চালায় বলে আ.লীগ কর্মী মনির হোসেন গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন। এতে লিটন ও তার মা-সহ ৪জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মো,লিটন বাদী হয়ে তিতাস থানায় ৯জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ৩- ৪জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লিটন অভিযোগ করে বলেন- তাকে হত্যাচেষ্টা মামলার ৯আসামীর মধ্যে ৪আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে প্রথমে তারা মামলা তুলে নিতে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দিয়ে একাধিক আইডিতে পোষ্ট দেয়। পোষ্টে লিখেন- এক হাতের বিনিময়ে দশটি হাত- এক সুমনের জীবনের বিনিময়ে পাচটার- বেশি কিছু লিখলাম না।
এরপর মনির হোসেনের নেতৃত্বে ৮- ৯জন সহযোগী নিয়ে ব্যবসায়ী লিটনের বাড়িতে গিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করে। এরই জের ধরে গত ১৫ নভেম্বর মামলার বাদী লিটনের চাচাতো ভাই সাকিব আহাম্মেদ ওরফে মোহাম্মদ আলী বাড়িতে ফিরার পথে বারকাউনিয়া পূর্ব পাড়া ব্রিজের উপর মনির ও তার কেডার বাহিনীরা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। পরে দু’পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এক পর্যায়ে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এতে বাদী লিটনের পক্ষের মোহাম্মদ আলী ও মনির হোসেনের পক্ষে মনির হোসেন গুরুতর আহত হয়।এসময় মোহাম্মাদ আলীর সঙ্গে থাকা বাইক বিক্রির ২লাখ ১৫হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে জানান তারা।এঘটনায় সেদিনই তিতাস থানায় ৯জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামী করে মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।এদিকে এমন ঘটনার পরও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ানোর মাধ্যমে নানাভাবে হয়রানীসহ চাঁদাদাবী করার অভিযোগ তুলেন আ.লীগ কর্মী মো. মনির হোসেন, তার ভাই রাকিবুল হাসান ও মুকবুল, জাহাঙ্গীর ও সাইদুলের বিরুদ্ধে।এছাড়াও মনিরের ভাই রাকিবুল বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা হওয়ার সুবাধে মনির ও তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর এলাকায় একের পর এক নানাভাবে প্রভাব বিস্তার ও হামলা-হত্যাতঙ্কে লিটন ও তার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে চান প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা।পূর্বেও আ.লীগের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করে লিটন ও তার পরিবার এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করেন।এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. মনির বলেন, গত ১৫ তারিখ শুক্রবার আমার এক ফ্রেন্ডের বাবার জানাযা দিতে গ্রামে যাই সেখান থেকে ফিরার পথে আমার উপর লিটন ও তার ভাইয়েরা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। তারা সন্ত্রাসী, খুনি, এলাকায় এসে আপনারা খোঁজ নিন। আমার পরিবারের সবাই ঢাকাতে থাকে, চাকরির সুবাদে আমি বাতাকান্দি থাকি। বাড়িতে যাওয়ার সময়ই তো আমরা পাই না, তারা নিজেদের অপরাধ গুলো ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে এসকল মিথ্যা অভিযোগ গুলো তুলেছেন।এবিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ জানান,”দীর্ঘদিন ধরেই উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উভয় একাধিক মামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।