Dhaka 09:57:47 AM, Tuesday, 21 January 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সরাইল উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান নিখোঁজের ৪দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা শিক্ষকের মরদেহ রামগঞ্জে কর্মহীনদের মাঝে সেলাই মেশিন ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ নোয়াখালীতে ভেঙ্গে দেয়া ইটভাটা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে পুনরায় চালুর অভিযোগ সদরপুরে অটোরিক্সা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত পিরোজপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত বেতাগীতে মেডিনোভা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার উদ্বোধন রামগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনায় পুড়লো শ্রমিকের বসতঘর  ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক তত্ত্বাবধানে  দু:স্থ ও অসহায় মানুষেরা পেলেন ফ্রি চিকিৎসা দুর্গাপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ ফ্যাসিস্ট বেনজিরের ক্যাশিয়ার জসিম উদ্দিন কে গ্রেফতারের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঢাকা উত্তর ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নোমানের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ‘তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে অভিযান সংযোগ বিচ্ছিন্ন জরিমানা আদায় দূষণ বিরোধী অভিযানে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা ৩ ইটভাটা বন্ধ ২,২২৩ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য মহড়ার আয়োজন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পার্বত্য এলাকার বহুমুখী পণ্যের দেশব্যাপী প্রসারে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে- পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রাম প্রবাসী ক্লাবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ডা. শাহাদাত পাইকগাছায় লটারীতে রাস্তা নির্মানের টেন্ডার সম্পন্ন বন্ধ হলো ভোরের কাগজ বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র সংস্কার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে রাকিব মুসল্লী ও হৃদয় হাসান লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় ২ অটো রিকশা যাত্রী  নিহত  পাইকগাছায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালিত  পাইকগাছার শীতার্তদের মাঝে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির শীতবস্ত্র বিতরণ হাটহাজারী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন মেহেরপুরে তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা রামগঞ্জের নিখোঁজের চার দিন পর বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম লুটপাট বন্ধের দাবিতে দুর্গাপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পিরোজপুর মাহামুদ হোসাইন শক্ত নেতৃত্বে চাঙ্গা হচ্ছে পিরোজপুর-২ ভান্ডারিয়া,কাউখালি,নেছারাবাদ বিএনপি জনসংযোগ কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধান তথ্য অফিসার জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করুন

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:04:49 pm, Saturday, 8 June 2024
  • 48 বার পড়া হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

হযরত বেল্লাল
  
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উজানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা কাপাশিয়া- হরিপুর- শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
          
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর- বেলকা – হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বা বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাশিয়া গ্রামের আকবর আলী জানান- হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ২ বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আর বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
           
হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের মহির শেখ বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ২ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
            
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
            
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান- কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে তোষাপাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়নি। 
          
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সরাইল উপজেলা ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলিন ফসলি জমি।।

আপডেট সময় : 12:04:49 pm, Saturday, 8 June 2024
হযরত বেল্লাল
  
সুন্দরগঞ্জ -গাইবান্ধা- প্রতিনিধি।।
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উজানে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলা কাপাশিয়া- হরিপুর- শ্রীপুর ও চন্ডিপুর ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া এক চর হতে অন্য চরে যাওয়া আসা করা সম্ভব হচ্ছে না। 
          
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর- বেলকা – হরিপুর- চন্ডিপুর- শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। প্রতিবছর তিস্তায় পানি বাড়ার সাথে সাথে বা বন্যা আসলেই শুরু হয় নদী ভাঙন। চলতে থাকে বছর ব্যাপী। নদী পাড়ের মানুষের দাবি- স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিনেও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধ- ড্রেজিং- নদী খনন- ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করেনি সরকার। যার কারণে প্রতি বছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি, হাজারও একর ফসলি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
           
কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাশিয়া গ্রামের আকবর আলী জানান- হঠাৎ করে গত এক সপ্তাহ ধরে তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তার ২ বিঘা জমির তোষাপাটসহ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে শতাধিক বিঘা ফসলি জমি। তিনি আর বলেন নদীতে পানি বাড়লে এবং বন্যা আসলে তিস্তার চরাঞ্চলের মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অথচ দেখার কেউ নাই। সামন্য ত্রান বিতরণ করে দায় এড়িয়ে যান সকলে।
           
হরিপুর লখিয়ার পাড়া গ্রামের মহির শেখ বলেন প্রতিবছর নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি- আবাদী জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। একজন চরবাসিকে মৌসুমে কমপক্ষে ২ বার ঘরবাড়ি সরাতে হচ্ছে। কিন্তু আজও স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।
            
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়ার দাবি নদী খনন, ড্রেজিং, স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কল্পে বহুবার চাহিদা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আজও কোন ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ হতে নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো না হলে চরবাসির দুঃখ কোন দিনও দুর হবে না। ভাঙনে প্রতিবছর পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং হাজারও একর ফসলি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।
            
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির জানান- কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি চরে তিস্তার ভাঙনে তোষাপাটসহ অন্যান্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলি হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়নি। 
          
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিফ মন্ডল জানান- কাপাশিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন নদীভাঙন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পাওয়া যায়নি। তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।