Dhaka , Sunday, 10 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
সাতকানিয়ায় সড়ক আইন লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্টের অভিযান: জরিমানা আদায় জুলাই শহীদ সড়ক” নামকরণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধা-মননে-শৃঙ্খলা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার শপথ নিতে হবে ; এস এম সাহাব উদ্দিন সাংবাদিক তুহিনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সাধারণ সম্পাদক হলেন মির্জাপুরের জিসান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম হল নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সিআরএ’র প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হাজী আব্দুস সাত্তার স্মৃতি সংসদ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন  উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চল জামায়াতে ইসলামীর রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত  নিলক্ষা ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে সিরাত প্রতিযোগীতা একই পরিবারের ৭জনের মৃত্যু, চালকের বিরুদ্ধে মামলা  দরপুরে সাংবাদিক তুহীন হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন  আটঘরিয়ায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন টেকনাফে ২০০ কেজি সামুদ্রিক মাছসহ ১৭ জেলে আটক, ২ লাখ টাকা জরিমানা  নড়াইলে বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন অনুমোদিত ক্লাবের যাত্রা শুরু রূপগঞ্জে সিএনজি চালক থেকে কোটিপতি: মাদক, জমি দখল ও নারী কেলেঙ্কারিতে আলোচিত মোতালিব র‌্যাব-১ এর হাতে গ্রেপ্তার উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধা-মননে-শৃঙ্খলা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার শপথ নিতে হবে ; এস এম সাহাব উদ্দিন আওয়ামীলীগ কুকর্মের জন্য ইতিহাসের আস্তকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত – ড. মইন খান পবিপ্রবিতে ৮২ শতাংশ পদ নিয়েও বিএনপিপন্থি শিক্ষকের জামাতিকরণ অভিযোগ বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রামগঞ্জ  উপজেলা শাখার অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন  স্বাধীন অ্যাডিশনাল ডিআইজি   মহোদয় কর্তৃক গাজীপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিট  পরিদর্শন  রূপগঞ্জে ডাকাতির চেষ্টাকালে দুই যুবক গ্রেফতার উত্তাল যমুনার বুকে নৌভ্রমণের মাধ্যমে বলাকা সাহিত্য চর্চা পরিষদের সাহিত্য আড্ডা নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত উচ্ছেদ অভিযান করেন হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিকেলে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন কক্সবাজারে ৩ স্বর্ণের দোকানে  দেড় লাখ টাকা জরিমানা  ২০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামির কান্ড  নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ

বদলাইনি পুলিশের চরিত্র ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে আল আমিন গ্রুপ- সংবাদ সম্মেলনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:03:01 pm, Tuesday, 10 September 2024
  • 70 বার পড়া হয়েছে

বদলাইনি পুলিশের চরিত্র ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে আল আমিন গ্রুপ- সংবাদ সম্মেলনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।।

বিশেষ প্রতিবেদক।।
  
   
সেনাবাহিনী ও র‍্যাব আসামি ধরে পুলিশের কাছে দিচ্ছে। আর পুলিশ সেই আসামীদের কৌশলে ছেড়ে দিচ্ছে বা জামিন পেতে সাহায্য করছে। যে কারণে সেনাবাহিনীর হাতে আটকৃত সন্ত্রাসী আলামিনের সহযোগী ফয়সাল- রুমা- সুমিসহ কয়েকজন জামিন পেয়ে পুনরায় এলাকায় তান্ডব শুরু করেছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী এখন আতঙ্কিত বলে জানালেন স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দারা।
১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দারা লেখিত অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ঝুলানো ব্যানারে লেখা আল আমিন- বাপ্পি- রাকিব- অজিজুল- পলাশ- রুবেল- দেলোয়ার- বেল্লাল- লিটু- রনি- সাব্বির- রাবি- খাটো রাসেল- রুমা- লিলি- সুমি- ফরিদাসহ এই সন্ত্রাসীদের গডফাদার-  মজিবুর ও সিদ্দিক সহ স্বৈরাচার আওয়ামীগের সন্ত্রাসীদের হাতে স্টেডিয়াম কলোনীতে হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।
লেখিত বক্তব্যে স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দারা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন-
বিগত ১৫ বছর ধরে সন্ত্রাসী আল আমিন এর বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। এই সন্ত্রাসী আল আমিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় স্টেডিয়াম বা বঙ্গবন্ধু কলোনীসহ আশেপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা- চাঁদাবাজি- নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা- অসহায়- গরিব মানুষের বাড়ি-ঘর দখল এবং বিদ্যুৎ চুরি করে অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারির রিকশা চার্জ দেয়াসহ সব ধরনের অনৈতিক কাজই চালিয়ে এসেছে এবং এখনো তা চলমান রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের নদী তীরবর্তী এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়ে কিশোর এবং যুব সমাজকে মাদকের নেশায় আশক্ত করে, তাদের দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে  নিজের সাম্রাজ্য পড়াই ছিল আল আমিনের মূল লক্ষ্য। সে এলাকার এতটাই দুর্ধর্ষ এবং হিংস্র যে তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। এমনকি আল আমিনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা থাকা সত্যেও তাকে পুলিশ কখনো গ্রেফতার করেনি। 
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার পতনের পরেও এদের সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্তপনা থেমে থাকেনি। গত ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা শ্রমিকদল নেতার পিতা রিকশা চালক আব্দুর রহিম হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে আল আমিন ও তার বাহিনী। এসময় তারা মসজিদে মাইকিং করে ঘোষণা দেয় এলাকায় কোনো বিএনপি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাতে একটি স্ব-মিলের শ্রমিক সুমনকে আটকে রেখে মারধর করে এই আল আমিন বাহিনী। খবর পেয়ে পুলিশসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করতে গেলে আল আমিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পুলিশ এবং এলাকাবাসীর ওপর স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় দুই পুলিশসহ মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদাউস, শ্রমিকদল নেতা আসলাম- বাহাদুর- সুমন- সনিয়া- মামুন ও তানজিলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসী আল আমিন ও তার বাহিনী। যা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের যারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন তাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেয়া হয়নি। ঘটনার দিন থেকে টানা পাঁচদিন তাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। বেলস্ পার্ক মাঠে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে তাদের। এরপরও সন্ত্রাসী আল আামিন বাহিনীকে গ্রেফতারে এগিয়ে আসেনি পুলিশ।
বক্তারা বলেন, এরফলে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে বিষয়টিতে নজর দেয় বরিশালের সেনাবাহিনী। ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডবাসির সহযোগিতায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও আল আমিন বাহিনীর প্রধান আল আমিন এবং তার অন্যতম সহযোগী ফয়সালকে গ্রেফতার করে। ওইদিন রাতেই আওয়ামী শাসনামলে নির্যাতিত এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্টেডিয়াম বা বঙ্গবন্ধু কলোনী থেকে আল আমিনের অন্যমত সহযোগী আজিজুল- রুমা- সুমি এবং লিলিকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো- আটককৃতরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্যেও পুলিশ থানা থেকেই মাদক ব্যবসায়ী রুমাকে ছেড়ে দেয়। এছাড়া পুলিশের দুর্বল ভূমিকার কারণে ১০ সেপ্টেম্বর সুমি এবং এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর লিলি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার শুরু করে দিয়েছে। এমনকি মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি ভূমিকা বা অভিযান না থাকায় তারা এখনো বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যে কারণে  চাঁদমারী বঙ্গবন্ধু বা স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দারা এখন এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছে। এই আল আমিন বাহিনীর অন্য সদস্য এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে  আমাদের জীবন এখন হুমকির মুখে বলে জানান সাইদুল ইসলাম- তোতা- তামরুলসহ কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী মহিলা দল বরিশালের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগম বলেন- এই সন্ত্রাসী আল আমিন এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় আসার তদবির চালাচ্ছে। ছাত্রদলের সভাপতি রনির ও পুলিশের সাথে তার দহরম মহরম রয়েছে বলে জানান তিনি। যে কারণে সে গ্রেফতার হলেও পুলিশ কৌশলে মামলা হালকা করে এদের জামিন পেতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দাদের। 

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

সাতকানিয়ায় সড়ক আইন লঙ্ঘনে মোবাইল কোর্টের অভিযান: জরিমানা আদায়

বদলাইনি পুলিশের চরিত্র ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে আল আমিন গ্রুপ- সংবাদ সম্মেলনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।।

আপডেট সময় : 02:03:01 pm, Tuesday, 10 September 2024
বিশেষ প্রতিবেদক।।
  
   
সেনাবাহিনী ও র‍্যাব আসামি ধরে পুলিশের কাছে দিচ্ছে। আর পুলিশ সেই আসামীদের কৌশলে ছেড়ে দিচ্ছে বা জামিন পেতে সাহায্য করছে। যে কারণে সেনাবাহিনীর হাতে আটকৃত সন্ত্রাসী আলামিনের সহযোগী ফয়সাল- রুমা- সুমিসহ কয়েকজন জামিন পেয়ে পুনরায় এলাকায় তান্ডব শুরু করেছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী এখন আতঙ্কিত বলে জানালেন স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দারা।
১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্টেডিয়াম এলাকার বাসিন্দারা লেখিত অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে ঝুলানো ব্যানারে লেখা আল আমিন- বাপ্পি- রাকিব- অজিজুল- পলাশ- রুবেল- দেলোয়ার- বেল্লাল- লিটু- রনি- সাব্বির- রাবি- খাটো রাসেল- রুমা- লিলি- সুমি- ফরিদাসহ এই সন্ত্রাসীদের গডফাদার-  মজিবুর ও সিদ্দিক সহ স্বৈরাচার আওয়ামীগের সন্ত্রাসীদের হাতে স্টেডিয়াম কলোনীতে হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন।
লেখিত বক্তব্যে স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দারা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন-
বিগত ১৫ বছর ধরে সন্ত্রাসী আল আমিন এর বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। এই সন্ত্রাসী আল আমিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় স্টেডিয়াম বা বঙ্গবন্ধু কলোনীসহ আশেপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা- চাঁদাবাজি- নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা- অসহায়- গরিব মানুষের বাড়ি-ঘর দখল এবং বিদ্যুৎ চুরি করে অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারির রিকশা চার্জ দেয়াসহ সব ধরনের অনৈতিক কাজই চালিয়ে এসেছে এবং এখনো তা চলমান রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১০ ও ১১ নং ওয়ার্ডের নদী তীরবর্তী এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়ে কিশোর এবং যুব সমাজকে মাদকের নেশায় আশক্ত করে, তাদের দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে  নিজের সাম্রাজ্য পড়াই ছিল আল আমিনের মূল লক্ষ্য। সে এলাকার এতটাই দুর্ধর্ষ এবং হিংস্র যে তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। এমনকি আল আমিনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা থাকা সত্যেও তাকে পুলিশ কখনো গ্রেফতার করেনি। 
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী সরকার পতনের পরেও এদের সন্ত্রাসী এবং দুর্বৃত্তপনা থেমে থাকেনি। গত ২ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা শ্রমিকদল নেতার পিতা রিকশা চালক আব্দুর রহিম হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করে আল আমিন ও তার বাহিনী। এসময় তারা মসজিদে মাইকিং করে ঘোষণা দেয় এলাকায় কোনো বিএনপি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর রাতে একটি স্ব-মিলের শ্রমিক সুমনকে আটকে রেখে মারধর করে এই আল আমিন বাহিনী। খবর পেয়ে পুলিশসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করতে গেলে আল আমিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পুলিশ এবং এলাকাবাসীর ওপর স্বশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় দুই পুলিশসহ মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদাউস, শ্রমিকদল নেতা আসলাম- বাহাদুর- সুমন- সনিয়া- মামুন ও তানজিলকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসী আল আমিন ও তার বাহিনী। যা সাংবাদিকদের মাধ্যমেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের যারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন তাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দেয়া হয়নি। ঘটনার দিন থেকে টানা পাঁচদিন তাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। বেলস্ পার্ক মাঠে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে তাদের। এরপরও সন্ত্রাসী আল আামিন বাহিনীকে গ্রেফতারে এগিয়ে আসেনি পুলিশ।
বক্তারা বলেন, এরফলে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে বিষয়টিতে নজর দেয় বরিশালের সেনাবাহিনী। ৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডবাসির সহযোগিতায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও আল আমিন বাহিনীর প্রধান আল আমিন এবং তার অন্যতম সহযোগী ফয়সালকে গ্রেফতার করে। ওইদিন রাতেই আওয়ামী শাসনামলে নির্যাতিত এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্টেডিয়াম বা বঙ্গবন্ধু কলোনী থেকে আল আমিনের অন্যমত সহযোগী আজিজুল- রুমা- সুমি এবং লিলিকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো- আটককৃতরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়া সত্যেও পুলিশ থানা থেকেই মাদক ব্যবসায়ী রুমাকে ছেড়ে দেয়। এছাড়া পুলিশের দুর্বল ভূমিকার কারণে ১০ সেপ্টেম্বর সুমি এবং এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর লিলি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মাদক কারবার শুরু করে দিয়েছে। এমনকি মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি ভূমিকা বা অভিযান না থাকায় তারা এখনো বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হুমকি-ধামকী দিচ্ছে। যার ফলে এলাকার মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যে কারণে  চাঁদমারী বঙ্গবন্ধু বা স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দারা এখন এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জীবনের নিরাপত্তা চাচ্ছে। এই আল আমিন বাহিনীর অন্য সদস্য এবং সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে  আমাদের জীবন এখন হুমকির মুখে বলে জানান সাইদুল ইসলাম- তোতা- তামরুলসহ কয়েকজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জাতীয়তাবাদী মহিলা দল বরিশালের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা বেগম বলেন- এই সন্ত্রাসী আল আমিন এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় আসার তদবির চালাচ্ছে। ছাত্রদলের সভাপতি রনির ও পুলিশের সাথে তার দহরম মহরম রয়েছে বলে জানান তিনি। যে কারণে সে গ্রেফতার হলেও পুলিশ কৌশলে মামলা হালকা করে এদের জামিন পেতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ স্টেডিয়াম কলোনীর বাসিন্দাদের।