স্টাফ রিপোর্টার- ঈদগাঁও।।
ঈদগাঁও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাতের সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অভূতপূ্ণ পরিবর্তন ছোঁয়া লেগেছে। ভৌত অবকাঠামো আর একাডেমীক উন্নয়নে এগিয়ে। ২০১০ সালে এ প্রধান শিক্ষিকা যোগদানে পর থেকে দিবারাত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে স্কুলের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং লেখাপড়ার মানোন্নয়নে অভাবনীয় ভূমিকা রেখেই যাচ্ছেন।
উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়েই একটি মহল বর্তমানে দেশে চলমান আন্দোলনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ- সুযোগ্য প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জান্নাতের ছবি ব্যবহার করে পদত্যাগের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন সূত্র মতে- বেদখল হওয়া বিদ্যালয়ে জমি উদ্ধার- চারপাশে পাকা দেয়ার দিয়ে ঘেরা প্রদর্শন করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করন- মূল ফটকে অত্যাধুনিক গেইট নির্মাণ- ভবন সম্প্রসারণ- শহীদ মিনার নির্মাণ- বিদ্যালয়ে নান্দনিক বাগান তৈরি- চমৎকার সেমিনার হল- অনন্য সুন্দর পাঠাগার স্থাপন করে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছেন এ সাহসী প্রধান শিক্ষিকা।
আরো জানা যায়, ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের একাডেমিক সাইট উন্নয়নের বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। প্রতি বছরেই পড়ালেখার দিক দিয়েও সুনাম অক্ষুন্ন রাখছেন। অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে মতা মতের ভিত্তিতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান সহ শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখেন।
আরেক সূত্র মতে, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাতের বিরুদ্ধে পৌনে দুই কোটি টাকা আত্নসাতের অভিযোগটি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছর ১৪ জানুয়ারী সহকারী পরিচালক কাওছার আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রধান শিক্ষিকাকে এই অভিযোগ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
সততা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করা একজন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে নেমেছেন কতিপয় এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মতে- স্কুলের সবদিক বিবেচনায় অতীত আর বর্তমান সময় কার তফাৎ অনেক ব্যবধান। খুরশীদুল জন্নাত না হলে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর উন্নয়নে মুখ দেখতো না আলোতে। অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকতো। এমনি দিনে তাঁর পদত্যাগের দাবীতে ধোঁয়া তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হেনাস্তা করা হচ্ছে। শিক্ষিকার ছবি ব্যবহার করে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পোস্ট করতেও দেখা যাচ্ছে।
পদত্যাগের দাবীতে যারা সোচ্ছার তাদের প্রতি অনুরোধ প্রধান শিক্ষিকা খুরশীদুল জন্নাতের সাথে বসে আলোচনার ভিত্তিতে সবকিছু সম্ভব। ভিত্তিহীন ও মনগড়া কাজে কোন সফলতা নেই। অহেতুক কাঁদা ছুটাছুটি না করেই ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়ের সুনাম ও সম্মান নষ্ট না করার প্রতি আহবান জানান।