Dhaka , Wednesday, 15 October 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় আইনজীবীর উপর হামলার চেষ্টা, সংবাদ সংগ্রহে বাধা তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে দলীয় জনসভা সদরপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড। কালিহাতীতে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ: অবশেষে গ্রেফতার ধর্ষক ইসমাইল সরাইলে মাসব্যপি টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন হাটহাজারীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ, তিন ফার্মেসীকে জরিমানা। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের মিনিবার ফুটবল মেগা ফাইনাল অনুষ্ঠিত নোয়াখালীতে বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ৪ ভোলাকোট ইউনিয়ন শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন মতিন সভাপতি  হারুন সাধারণসম্পাদক   যশোরে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক কারবারি গ্রেফতার শার্শায় আরোও এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার ঈদগাঁওতে বন্দুকসহ পুলিশের হাতে আটক ১ রূপগঞ্জে জোরপূর্বক ব্যবসায়ীর জমি ঘরে দখলের চেষ্টা কক্সবাজারে টেকসই মৎস্যচাষ উন্নয়নে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে উদ্বোধন হলো JUSC Sports Club গর্জনিয়া–কচ্ছপিয়া লাইন পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দিল কক্সবাজার জেলা সিএনজি, অটোরিকশা ও টেম্পো সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন- রেজিষ্ট্রেশন নং-১৪৯১ রামগঞ্জে আলোচিত মা মেয়ে হত্যার সন্দেহভাজন আরেক আসামি গ্রেফতার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ডোর টু ডোর প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে:- মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাভার আশুলিয়ায় প্রতারণা মামলায় ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার রামগঞ্জে আলোচিত মা-মেয়ে হত্যাকান্ডে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন নোয়াখালীতে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা নোয়াখালীতে বিএনপি নেতার উদ্যোগে সড়ক সংস্কার ঠাকুরগাঁও হরিপুরে ঘন কুয়াশায় শীতের আগমনী বার্তা নোয়াখালীতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার-১ সরাইল,ব্যাটালিয়ন(২৫বিজিবি) কর্তৃক বিপুল পরিমাণের অবৈধ মালামাল আটক সুন্দরগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতি ‘সমন্বিত উদ্যোগ, প্রতিরোধ করি দুর্যোগ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হাটহাজারীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন সাবেক প্রধান শিক্ষক আবু তাহের চৌধুরীর ইন্তেকালঃ বিভিন্ন মহলের শোক নরসিংদীর পলাশে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

বরগুনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ ।

বরগুনার পাথরঘাটায় শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগী ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ। গ্রাম ছাড়া নির্যাতিত রেনু বেগমের পরিবার ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ২নং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহিউদ্দিন পান্নার নামে বসতবাড়ি,ফসলি জমি, দোকান ও ঘরের মালামাল লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী রেনু বেগমের সাবেক বেয়াই মহিউদ্দিন পান্না। রেনু বেগমের দুই সন্তান নোমান ও চুমকির দেওয়া জবানবন্দী ও স্থানীয় লোকজনের মুখে জানা যায় পাথরঘাটা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেম্বার মহিউদ্দিন পান্না খুলনার ভয়ানক শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী ছিল। রেনু বেগম এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রবাসে থাকা অবস্থায় মহিউদ্দিন পান্নাকে নির্বাচন করার জন্য এগারো লক্ষ টাকা দেওয়ার হয়। সেই টাকা চাইতে গেলে পান্না মেম্বার এর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পান্না মেম্বারের মেয়ের উগ্র চলাফেরা ও পান্না মেম্বারের জামাইয়ের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ এর কারণে পান্না মেম্বার এর মেয়েকে তালাক প্রদান করে অভিযুক্তকারী রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান।তারই যে জের ধরে একের পর এক সন্ত্রাসী পান্না তার গ্রুপ নিয়ে হামলা চালায়। পান্না গ্যানদের ভয়ে রেনু বেগম তার পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পান্নার নেতৃত্বে তার বাহিনী দিয়ে আলহাজ্ব আব্দুল খালেক হাওলাদার এর পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে তার বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান, আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান রনিকে ।উপরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলো পাথারি ভাবে কুপিয়ে যখন করে, পরে রেনু বেগমের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, নোমান এর অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মামলা হলে
পান্না গ্রেফতার হয়। পান্না গ্রেফতার হওয়ার পরে, রেনু বেগম তার নিজ বাড়িতে ঢুকতে গেলে সন্ত্রাসী পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপি ও ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম আছফি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় ২৪ মে রেনু বেগমের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার থানার ওসি হানিফ সিকদার ঘটনাস্থলে এসে রেনু বেগমকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, ওসি ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকাশ করেন। দৈনিক কালের কন্ঠ, যুগান্তর, ভোরের পাতা, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ও অনলাইন টিভি চ্যানেলে উক্ত ঘটনা সংবাদ আকারে প্রকাশ হয়।এবং প্রত্যক্ষদর্শীরাও ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। তৃতীয় দফায় সন্ত্রাসী পান্না জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সন্ত্রাসী পান্না গ্যাং এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আনুমানিক ভোর ছয়টায় রেনু বেগমের নিজ বসতবাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় অভিযোগ কারীদের জবানবন্দি তে জানা যায়, পান্না গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও যখন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানায়, স্থানীয় পুলিশ পান্নার নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রশাসন ঘটনা জানার পরেও ঘটনাস্থলে আসেনি, পরবর্তীতে পুলিশ সুপারকে অবগত করা হলে পরে, তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, ঘটনা স্থলে সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি সহ পাথরঘাটা থানার ফোর্স এর উপস্থিতি টের পেয়ে পান্না পালিয়ে গেলে পান্নার ছোট ভাই সেলিম ওরফে মোল্লা ও সেলোক আলামিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। অভিযোগকারী তথ্যমতে, রেনু বেগমের পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসলে সন্ত্রাসী পান্না তার গ্যাং নিয়ে রেনু বেগমের নগদ অর্থ,স্বর্ণ অলংকার সহ বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, পাসপোর্ট, যাবতীয় দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় পান্না শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের আতঙ্ক ছড়ায়, পান্না গ্যাং এর ভয়ে রেনু বেগমের পরিবার এলাকায় ঢুকতে পারেনা, এবং রেনু বেগমের একমাত্র মেয়ে চুমকি কে ফোন করে এলাকায় ঢুকলে এসিড মারা হবে বলে হুমকি দেয় । তাই জীবনের নিরাপত্তা, মিথ্যা মামলা, জোর করে জমি, বসতবাড়ি দোকান দখল প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ এর বিশেষ দপ্তর, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। বরগুনা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখা বরগুনা এস আই মোঃ মোস্তফা মনিরুল আলমকে তদন্তের জন্য সরোজমিনে পাঠায়, তদন্ত শেষে ডিবির এসআই মনিরুল আলম জানায় বাদিনীর ছেলে তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক প্রদান করায় মহিউদ্দিন পান্না ও তার লোকজন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক কে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন যার কারণে আব্দুল খালেক ও রেনু বেগম নিজেদের বসতবাড়িতে আসতে পারছে না, যাহা আমার তদন্ত কালে সাক্ষী প্রমাণের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র স্মারক নাম্বার ২০৫ /বি তারিখ ২২/১/২০১৯। মহিউদ্দিন পান্না কতৃক রেনু বেগমের বসত বাড়িও দোকানপাট দখলের বিষয় নিজে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাথরঘাটা, বরগুনায় মামলা দায়ের করেন। যাহার সি আর কেস নাম্বার ২৩৩/১৮, ধারা ১৪৩ / ৪৪৮/ ৩৮০ / ৪২৭ / ৪৬১ / ৫০৬ (২) ১১৪ প্যানেল কোড। বর্তমানে নাচনা পাড়া বাজারে রেনু বেগমের মেয়ে জামাইকে দেয়া উপহার দোকান ভিটাটি সন্ত্রাসী পান্না দখল করে আছে। এবং রেনু বেগমের নিজ নামের বসতবাড়ি দুটি, একটি দোতলা বিল্ডিং ও একটি একতলা বিল্ডিং ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বসতবাড়ি ও দোকান খতিয়ান নাম্বার – বি এস ২০৫, ১৫১৯,১০৪৩ মোট তিনটি খতিয়ান, এস এ ৫০৩,৫৫২ দোকান সহ সবকিছু দখল করে এবং এলাকায় ঢুকলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মানিকখালির স্থানীয় লোকজনের কাছে পান্না সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাহারা বলে পান্না মেম্বার হওয়ার পূর্বে যুবদল ও শিবির নেতা ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এলাকা ত্যাগ করে খুলনাতে ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এই ধারাবাহিকতায় খুলনা থেকে এরশাদ শিকদারের লোক পরিচয় বিভিন্ন সময় তাহার সাথে একটি বাহিনী পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতো। বর্তমানে সন্ত্রাসী পান্না এলাকার ভয়ানক রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। এমন কি পাথরঘাটা থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার ইস্কুল দখল করে পান্না ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুলইসলাম আসফি। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় পান্নার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একটি বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এবং পান্না মেম্বার একজন ভূমিদস্যু, ও পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে তথ্য দিতে নারাজ। সরোজমিনে আরো জানা যায়, ২৮ শে অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনে, গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকা আন্দোলনে যোগ দেয়।উল্লেখ্য পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী থাকার কারণে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আতঙ্কিত থাকে । এ ছাড়া পান্নার বিরুদ্ধে হত্যা ও নারী,নির্যাতনের মামলা রয়েছে।তাই উপরোক্ত ঘটনাটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হলো।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

বরগুনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ ।

আপডেট সময় : 03:48:10 pm, Monday, 22 January 2024

বরগুনার পাথরঘাটায় শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের সহযোগী ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার আতংকে জনগণ। গ্রাম ছাড়া নির্যাতিত রেনু বেগমের পরিবার ।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ২নং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মহিউদ্দিন পান্নার নামে বসতবাড়ি,ফসলি জমি, দোকান ও ঘরের মালামাল লুটপাট এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী রেনু বেগমের সাবেক বেয়াই মহিউদ্দিন পান্না। রেনু বেগমের দুই সন্তান নোমান ও চুমকির দেওয়া জবানবন্দী ও স্থানীয় লোকজনের মুখে জানা যায় পাথরঘাটা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেম্বার মহিউদ্দিন পান্না খুলনার ভয়ানক শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী ছিল। রেনু বেগম এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রবাসে থাকা অবস্থায় মহিউদ্দিন পান্নাকে নির্বাচন করার জন্য এগারো লক্ষ টাকা দেওয়ার হয়। সেই টাকা চাইতে গেলে পান্না মেম্বার এর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়। পান্না মেম্বারের মেয়ের উগ্র চলাফেরা ও পান্না মেম্বারের জামাইয়ের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ এর কারণে পান্না মেম্বার এর মেয়েকে তালাক প্রদান করে অভিযুক্তকারী রেনু বেগমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান।তারই যে জের ধরে একের পর এক সন্ত্রাসী পান্না তার গ্রুপ নিয়ে হামলা চালায়। পান্না গ্যানদের ভয়ে রেনু বেগম তার পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছে।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পান্নার নেতৃত্বে তার বাহিনী দিয়ে আলহাজ্ব আব্দুল খালেক হাওলাদার এর পরিবারের উপর অতর্কিত ভাবে তার বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আলহাজ্ব আব্দুল খালেক, তার স্ত্রী রেনু বেগম, ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান, আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান রনিকে ।উপরে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলো পাথারি ভাবে কুপিয়ে যখন করে, পরে রেনু বেগমের চিৎকারে এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে এসে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে, নোমান এর অবস্থা অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে মামলা হলে
পান্না গ্রেফতার হয়। পান্না গ্রেফতার হওয়ার পরে, রেনু বেগম তার নিজ বাড়িতে ঢুকতে গেলে সন্ত্রাসী পান্নার মেয়ে লায়লা আক্তার পপি ও ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম আছফি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় ২৪ মে রেনু বেগমের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেয়। পরবর্তীতে পাথরঘাটার থানার ওসি হানিফ সিকদার ঘটনাস্থলে এসে রেনু বেগমকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, ওসি ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রকাশ করেন। দৈনিক কালের কন্ঠ, যুগান্তর, ভোরের পাতা, দৈনিক নয়াদিগন্ত, ও অনলাইন টিভি চ্যানেলে উক্ত ঘটনা সংবাদ আকারে প্রকাশ হয়।এবং প্রত্যক্ষদর্শীরাও ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তুলে ধরেন। তৃতীয় দফায় সন্ত্রাসী পান্না জেল থেকে জামিনে বের হয়ে সন্ত্রাসী পান্না গ্যাং এবং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আনুমানিক ভোর ছয়টায় রেনু বেগমের নিজ বসতবাড়িতে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় অভিযোগ কারীদের জবানবন্দি তে জানা যায়, পান্না গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত ও যখন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানায়, স্থানীয় পুলিশ পান্নার নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রশাসন ঘটনা জানার পরেও ঘটনাস্থলে আসেনি, পরবর্তীতে পুলিশ সুপারকে অবগত করা হলে পরে, তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, ঘটনা স্থলে সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি সহ পাথরঘাটা থানার ফোর্স এর উপস্থিতি টের পেয়ে পান্না পালিয়ে গেলে পান্নার ছোট ভাই সেলিম ওরফে মোল্লা ও সেলোক আলামিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। অভিযোগকারী তথ্যমতে, রেনু বেগমের পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা আসলে সন্ত্রাসী পান্না তার গ্যাং নিয়ে রেনু বেগমের নগদ অর্থ,স্বর্ণ অলংকার সহ বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, পাসপোর্ট, যাবতীয় দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকায় পান্না শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের আতঙ্ক ছড়ায়, পান্না গ্যাং এর ভয়ে রেনু বেগমের পরিবার এলাকায় ঢুকতে পারেনা, এবং রেনু বেগমের একমাত্র মেয়ে চুমকি কে ফোন করে এলাকায় ঢুকলে এসিড মারা হবে বলে হুমকি দেয় । তাই জীবনের নিরাপত্তা, মিথ্যা মামলা, জোর করে জমি, বসতবাড়ি দোকান দখল প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ এর বিশেষ দপ্তর, বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়। বরগুনা পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে জেলা গোয়েন্দা শাখা বরগুনা এস আই মোঃ মোস্তফা মনিরুল আলমকে তদন্তের জন্য সরোজমিনে পাঠায়, তদন্ত শেষে ডিবির এসআই মনিরুল আলম জানায় বাদিনীর ছেলে তার স্ত্রী লায়লা আক্তার পপিকে তালাক প্রদান করায় মহিউদ্দিন পান্না ও তার লোকজন আলহাজ্ব আব্দুল খালেক কে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন যার কারণে আব্দুল খালেক ও রেনু বেগম নিজেদের বসতবাড়িতে আসতে পারছে না, যাহা আমার তদন্ত কালে সাক্ষী প্রমাণের সত্যতা পাওয়া যায়। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্র স্মারক নাম্বার ২০৫ /বি তারিখ ২২/১/২০১৯। মহিউদ্দিন পান্না কতৃক রেনু বেগমের বসত বাড়িও দোকানপাট দখলের বিষয় নিজে বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পাথরঘাটা, বরগুনায় মামলা দায়ের করেন। যাহার সি আর কেস নাম্বার ২৩৩/১৮, ধারা ১৪৩ / ৪৪৮/ ৩৮০ / ৪২৭ / ৪৬১ / ৫০৬ (২) ১১৪ প্যানেল কোড। বর্তমানে নাচনা পাড়া বাজারে রেনু বেগমের মেয়ে জামাইকে দেয়া উপহার দোকান ভিটাটি সন্ত্রাসী পান্না দখল করে আছে। এবং রেনু বেগমের নিজ নামের বসতবাড়ি দুটি, একটি দোতলা বিল্ডিং ও একটি একতলা বিল্ডিং ভাড়া দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। বসতবাড়ি ও দোকান খতিয়ান নাম্বার – বি এস ২০৫, ১৫১৯,১০৪৩ মোট তিনটি খতিয়ান, এস এ ৫০৩,৫৫২ দোকান সহ সবকিছু দখল করে এবং এলাকায় ঢুকলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মানিকখালির স্থানীয় লোকজনের কাছে পান্না সম্পর্কে জানতে চাইলে, তাহারা বলে পান্না মেম্বার হওয়ার পূর্বে যুবদল ও শিবির নেতা ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এলাকা ত্যাগ করে খুলনাতে ভয়ংকর শীর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন এই ধারাবাহিকতায় খুলনা থেকে এরশাদ শিকদারের লোক পরিচয় বিভিন্ন সময় তাহার সাথে একটি বাহিনী পাথরঘাটার বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতো। বর্তমানে সন্ত্রাসী পান্না এলাকার ভয়ানক রাঘববোয়াল হিসেবে পরিচিত। এমন কি পাথরঘাটা থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শাজাহান মিয়ার ইস্কুল দখল করে পান্না ও তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা তরিকুলইসলাম আসফি। সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় পান্নার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের একটি বাহিনী নিয়ে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এবং পান্না মেম্বার একজন ভূমিদস্যু, ও পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী হওয়ার কারণে এলাকার লোকজন প্রকাশ্যে তথ্য দিতে নারাজ। সরোজমিনে আরো জানা যায়, ২৮ শে অক্টোবর সরকার পতনের আন্দোলনে, গ্রাম থেকে লোকজন নিয়ে ঢাকা আন্দোলনে যোগ দেয়।উল্লেখ্য পান্না মেম্বার এরশাদ শিকদারের সহযোগী থাকার কারণে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ আতঙ্কিত থাকে । এ ছাড়া পান্নার বিরুদ্ধে হত্যা ও নারী,নির্যাতনের মামলা রয়েছে।তাই উপরোক্ত ঘটনাটি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদ আকারে প্রকাশ করা হলো।