
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “গত ১৭ বছর বহু সংস্কৃতিকর্মী কষ্টে ছিলেন। অর্থ ও চিকিৎসার অভাবে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছেন তারা। যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির কাছে সুযোগ ছিল তাই এমন অনেক সংস্কৃতিকর্মীকে সহযোগিতা করা হয়েছে। বিএনপির সামগ্রিক চিন্তার মধ্যে যেটি রয়েছে তা হচ্ছে আমরা আমাদের কৃষ্টিকালচারকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
মঙ্গলবার -২২ এপ্রিল- বিকেলে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির আয়োজনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানী, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি, কণ্ঠশিল্পী ও বিএনপি নেত্রী বেবী নাজনীন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন “বাংলাদেশ যদিও আয়তনের দিক থেকে বড় নয় কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে অনেক বড়। লালমনিরহাটের যেমন একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আছে, তেমনি কুড়িগ্রামের, চট্টগ্রামের, কুষ্টিয়ার আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এরকম বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৃষ্টিকালচার রয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলের আলাদা-আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। আর এই বৈশিষ্ট্যটাই হচ্ছে আমাদের দেশের ঐতিহ্য। বিএনপি যতবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে দেশীয় কৃষ্টি কালচারকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কালচারাল ও খেলাধুলার বিষয় থাকবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশুরা যেন বাধ্যতামূলকভাবে এইসব কার্যক্রমে যুক্ত যেন থাকে এটা নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তাদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই শারীরিক বিকাশও ঘটবে।”
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লালমনিহাট জেলার পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী জেলা জাসাস সভাপতি সামসুদ্দোহা বাবু বলেন, “এই কর্মশালার ফলে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এখন আমাদের দলের যে ৩১ দফা রয়েছে তা জনসম্মুখে আমার তুলে ধরবো। এতে দলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। “