সোমনাথ সেন শুভ, পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই পাহাড়ে বাগানে শসা ও লেবু তুলতে গিয়ে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হন আবদুল হামিদ -৬৫- নামের এক বাগানমালিক। পরিবারের দাবি- মুক্তিপণের মাধ্যমে তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
সোমবার -১৫ জানুয়ারি- বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে আবদুল হামিদকে মুক্তি দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পটিয়া ও চন্দনাইশের পাহাড়ি এলাকায় একের পর এক অপহরণের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাগানমালিকেরা অভিযোগ করেছেন- পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা এসব দুর্গম এলাকায় এসে নানা অপরাধ চালিয়ে গা ঢাকা দিচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়- সোমবার সকাল সাতটার দিকে সাতগাছিয়া দরবার শরিফ থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে শ্রীমাই পাহাড়ে নিজ বাগানে শসা ও লেবু তুলতে যান আবদুল হামিদ- তাঁর ছোট ছেলে মো. দিদার এবং আরও দুই শ্রমিক। এ সময় ১১-১২ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী তাঁদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দুই শ্রমিক এবং মো. দিদারকে ছেড়ে দিয়ে আবদুল হামিদকে আটক করে।
পরিবারের দাবি- সন্ত্রাসীরা প্রথমে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে বিকেলে মুঠোফোনে ৩০ হাজার টাকা পাঠানোর পর সন্ধ্যার আগে তাঁকে ছেড়ে দেয়।
মুক্তি পাওয়া আবদুল হামিদের বড় ছেলে মোহাম্মদ কায়সার বলেন- আমাদের বাগানে ৪০ বছর ধরে লেবু, সবজি, শসা এবং মাছের চাষ হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। স্থানীয় প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল গণি জানান- পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কারণে বাগানমালিকেরা প্রতিনিয়ত ভয় পাচ্ছেন। অপহরণের এই ঘটনা মুক্তিপণের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- আবু জায়েদ মোহাম্মদ নাজমুন নুর বলেন- এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি অভিযোগ করা হয়, তাহলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
পটিয়া ও চন্দনাইশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাগানমালিকদের দাবি, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই অঞ্চলের কৃষি ও বাগান খাতে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।