Dhaka , Monday, 24 November 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় মৌসুমভিত্তিক বহুমুখী ফসল উৎপাদনে বদলে যাচ্ছে কৃষি অর্থনীতি কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরে বি.এন.পি তৃণমূলের নেতাকর্মীর সঙ্গে জোট সঙ্গীর সংঘাত! রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া,যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক (২২) জলাবদ্ধতা নিরসন করে চাষীদের মুখে হাসি ফোটাবো’ উঠান বৈঠকে– তৃপ্তি হাটহাজারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু।  হাতিয়াতে বিএনপির দু্গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-২২ নোয়াখালী-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে পথসভা ছাত্রদল নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে স্বজন ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন ট্রেনে কাটা পড়ে ঈশ্বরদীতে নিহত ১ ইবির কলা অনুষদের তিন বিভাগে বাড়ছে ৩০টি আসন ফতুল্লায় ভাড়াবাড়িতে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দশম উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ভূমিকম্পের জন্য এ ওয়ান পোলার গার্মেন্টস তিন দিনের ছুটি ঘোষণা ॥ রবিনটেক্স ভবন ফাটলে আতঙ্ক কাটেনি পালেরচরে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন এএমআর মোকাবিলায় প্রিভেন্টিভ হেলথ প্র্যাকটিস ও ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ জরুরি – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জাতীয় বেতনস্কেল অনুসারে ইমাম-খতিবদের বেতন-ভাতা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন : ধর্ম উপদেষ্টা নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওয়াসা সুয়ারেজ পাইপ লাইন কর্মীদের কাজে বাঁধা, রক্তের বন্যা বয়ে দেয়ার হুমকি নরসিংদীতে আবারও ভূমিকম্প, আতন্কে রাস্তায় নেমে এলো মানুষ কক্সবাজারে স্থানীয় অর্থনীতি ও পর্যটন সমৃদ্ধি বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই সহোদর ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু সিএমইউজে’র নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন পাইকগাছায় বিএনপির সেন্টার কমিটি বিষয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীতে কাঠের সেতু করে দিলেন – ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবেনা: তানিয়া রব বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু লক্ষ্মীপুরে উন্মুক্ত পাঠাগারের উদ্বোধন মধুপুরে টাঙ্গাইল- ১ আসনে মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে গণমিছিল সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

গাইবান্ধায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্তসময় পার করছে কামারশিল্পীরা —

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:47:01 pm, Thursday, 15 July 2021
  • 180 বার পড়া হয়েছে

গাইবান্ধায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্তসময় পার করছে কামারশিল্পীরা ---

 

সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।।

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার কামার সম্প্রদায়।
কোরবানির পশু জবাই সংক্রান্ত উপকরণ ছুরি, দা, বটিসহ বিভিন্ন ধারালো জিনিস তৈরিতে এখন ব্যস্ত এ জেলার প্রায় ৩ শতাধিক কামার শিল্পী। এসব ধারালো অস্ত্র চাহিদামতো সরবরাহে কামার শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশি হবে বলে জানান তারা। জানা যায়, আশির দশকের শুরু থেকে এখানে ব্যবসা শুরু করেছেন দা, বটি, কাস্তে, ছুরি তৈরির কারিগররা।

আর জবাই করার অন্যতম এসব উপাদান বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময়টাতেই ব্যবহার হয় বেশি। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। সারা বছর তাদের দুর্দিন থাকলেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে তাদের সুদিন ফেরে। কিন্তু করোনার কারনে এবার বেচা বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে তাদের শঙ্কা।

কামারপট্টি গুলো ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানির নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা শিল্পীরা।

দারিয়াপুরের মঞ্জা কামারশিল্পী বলেন, আমরা দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে জেলার বাহিরে সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে প্রতি পিস বটি পাইকারি ৩০০ টাকা, খুচরা ৪০০-৩৫০ টাকা, চাপাতি পাইকারি ৪৫০, খুচরা ৫০০ টাকা, ছুরি সর্বনিম্ন ১২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে জবাই করার ছুরি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বছরে একবারই চাপাতি, ছুরি, বটির চাহিদা বেশি থাকে। এজন্য আগে থেকেই এগুলোর মজুদ করে রাখা হয়।
তবে কামারপট্টির কারিগর অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়।

তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গাইবান্ধায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।
খোলাহাটি ইউনিয়নের একাধিক কামারশিল্পী বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। তবে উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম হচ্ছে।

কামারশিল্পীদে দাবি সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করলে তারা তাদের পৈত্রিক পেশাটাকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন বলে তাদের অভিমত।

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কালিয়াকৈরে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

গাইবান্ধায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্তসময় পার করছে কামারশিল্পীরা —

আপডেট সময় : 12:47:01 pm, Thursday, 15 July 2021

 

সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি ।।

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার কামার সম্প্রদায়।
কোরবানির পশু জবাই সংক্রান্ত উপকরণ ছুরি, দা, বটিসহ বিভিন্ন ধারালো জিনিস তৈরিতে এখন ব্যস্ত এ জেলার প্রায় ৩ শতাধিক কামার শিল্পী। এসব ধারালো অস্ত্র চাহিদামতো সরবরাহে কামার শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।

ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশি হবে বলে জানান তারা। জানা যায়, আশির দশকের শুরু থেকে এখানে ব্যবসা শুরু করেছেন দা, বটি, কাস্তে, ছুরি তৈরির কারিগররা।

আর জবাই করার অন্যতম এসব উপাদান বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময়টাতেই ব্যবহার হয় বেশি। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। সারা বছর তাদের দুর্দিন থাকলেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে তাদের সুদিন ফেরে। কিন্তু করোনার কারনে এবার বেচা বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে তাদের শঙ্কা।

কামারপট্টি গুলো ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানির নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা শিল্পীরা।

দারিয়াপুরের মঞ্জা কামারশিল্পী বলেন, আমরা দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করে জেলার বাহিরে সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে প্রতি পিস বটি পাইকারি ৩০০ টাকা, খুচরা ৪০০-৩৫০ টাকা, চাপাতি পাইকারি ৪৫০, খুচরা ৫০০ টাকা, ছুরি সর্বনিম্ন ১২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে জবাই করার ছুরি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বছরে একবারই চাপাতি, ছুরি, বটির চাহিদা বেশি থাকে। এজন্য আগে থেকেই এগুলোর মজুদ করে রাখা হয়।
তবে কামারপট্টির কারিগর অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়।

তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গাইবান্ধায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।
খোলাহাটি ইউনিয়নের একাধিক কামারশিল্পী বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। তবে উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম হচ্ছে।

কামারশিল্পীদে দাবি সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করলে তারা তাদের পৈত্রিক পেশাটাকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন বলে তাদের অভিমত।