মনির হোসেন,বরিশাল ব্যুরো।।
- নিজ জীবনকে উৎসর্গ করতে চান মানুষের সেবায়
বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাঁদপাশা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সেবায় নিজ জীবনকে উৎসর্গ করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে শাসক নয় জনগনের সেবক হয়ে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। মানুষের সুখে দূঃখে জনগণের পাশে থাকা ব্যক্তিত্ব ও জনদরদী রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। উন্নয়নশীল নানামুখী কর্মকান্ডের কারণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এবং এলাকার মানুষ যখন নানা বিপদে পড়ে তখনই ছুটে যান তিনি । আর এজন্যই সমাজের মানুষ তাকে ভালবাসেন। এলাকার মানুষের আলাপচারিতায় একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের কথা উঠলে সর্বাগ্রে দেলোয়ার নামটি উঠে আসে। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিলেন। এমনকি ১৯৭১ সালে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের মানুষের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি তার অসাধারণ চৌকসতা ও সাফল্যতা দেখিয়ে যেমনি নিজে সকলের কাছে প্রিয় হয়েছেন। আর ঠিক আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তিও তেমনি উজ্জল হয়েছে।
এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, দেলোয়ার ভাই একজন ভাল মানুষ এবং মানবতার ফেরিওয়ালা । তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি চেয়ারম্যান পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। মেধা,মনন, কর্ম প্রয়াস, শ্রম ও অধ্যাবশায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে।
তিনি চেয়ারম্যান না হয়ে এ পর্যন্ত ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা-এতিমখানা, কবরস্থান, মসজিদ,মন্দির, ঈদগাহ মাঠ সংস্কার করেন এবং বিভিন্ন সময় নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা করে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেন। এমনকি গ্রাম্য সালিশীর মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও বহুমুখী সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক উন্নয়নে সম্পৃক্ততার পাশাপাশি এলাকাবাসীর সুখ – দুঃখে সব সময় পাশে রয়েছেন । সুযোগ পেলেই তিনি চলে যান এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে। তাদের সুখ দুঃখ হাসি কান্না কে তিনি আপন চিত্তে গ্রহন করে সেবা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও দলীয় কর্মকান্ড সহ একটি অসা¤প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, সরকারের সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে চান। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারন মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গনসংযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত থেকে স্থানীয় সরকারের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফল ভাবে করার অঙ্গিকার করেন। এছাড়াও তিনি আশানুরুপ ভাবে সকল মানুষের সেবা করার জন্য এই ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ পরিচালনা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি। ইতিমধ্যেই ভোটারদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিশ্বাসী। আমাদের দক্ষিণবঙ্গের রাজনৈতিক অভিভাবক জননেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ্ আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। এই নৌকা উপজেলা আওয়ামী লীগের এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রতিটি মানুষের মার্কা। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমি শুধু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। এসময় তিনি আরও বলেন আমি ইউনিয়নের মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাশে ছিলাম আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সকলের উপকার করতে চাই। আমাদের ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে ও উন্নয়নে কাজ সারাজীবন করতে চাই। জনগন যদি আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন তাহলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবো। সর্বপরি সকলের সহযোগীতায় চাঁদপাশা ইউনিয়ন কে একটি আলোকিত মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।