Dhaka , Sunday, 14 September 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
রাজবাড়ীর কালুখালীতে ১৯ কেজি গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। মাদক বহনে মাইক্রোবাস জব্দ। স্ত্রী দাবি হত্যা রূপগঞ্জ থানার পাশে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু তদন্তে পুলিশ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সংবর্ধনা হাটহাজারীতে জুনায়েদ বাবুনগরীর জীবন,কর্ম ও অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাভারে কলা বাগানে ২৪ বছরের নারীকে গণধর্ষণ : তিন জন গ্রেপ্তার, এক জন পলাতক নোয়াখালীতে মাছ ধরার ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাবুর্চি দগ্ধ পলাশ মাদক প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  নোয়াখালীতে চালের টিন কেটে ওষুধ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, গণতন্ত্র-মানবাধিকারের প্রতীক : মতিয়া মাহফুজ জুয়েল নরসিংদীর পলাশে  মুক্তিযোদ্ধার পারিবারিক কবরস্থানের প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের  অভিযোগ লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত প্রবীণদের যত্নে নবীনদের এগিয়ে আসতে হবে:- মেয়র শাহাদাত চন্দনাইশে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামী যাওয়ার পরপরই মিলল স্ত্রীর লাশ কক্সবাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ নিয়ে আলোচনা সীতাকুন্ডে হামলা লুটপাট, ইয়াছিন বাহিনীর ভয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ী রাজু মির্জাপুরে আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর উদ্যোগে এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি রামগঞ্জ শাখার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জের চুরি করতে গিয়ে এক যুবকের মৃত্যু কালিয়াকৈরে মানসিক অসুস্থ্য আকলিমা (৩৪) ১২ দিন যাবত নিখোজ, পিতা- মাতা উদ্বিগ্ন নোয়াখালীতে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার রূপগঞ্জে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির কনফারেন্স অনুষ্ঠিত আওয়ামী স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে : ড. মঈন খান আ.লীগ দেশের শতশত কোটি টাকা লুটপাট করেছে  :  ড. মঈন খান শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হলো না জাবি সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার, বাড়িতে শোকের মাতম জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার – হাসান হাফিজুর গাজীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন ৪৭ জন, নাম ঘোষণার পর আবেগে আপ্লুত উত্তীর্নরা  কাউখালীতে ইভটিজিং করার অপরাধে এক যুবককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত মুড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযান: ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অস্ত্র উদ্ধার ৪৮তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত দুর্গাপুরের কৃতি সন্তান ডা. মিজানুর রহমান,এলাকায় আনন্দের ঢেউ মেধার ভিত্তিতে ১৭ জনের চাকরি, নিয়োগ পেলেন দিনমজুরের সন্তানরাও

সৈয়দপুরে রেললাইনের ওপর শীতের পোশাক কিনতে ভিড় – অসর্তকতায় যেতে পারে জীবন

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 12:06:04 am, Saturday, 4 December 2021
  • 236 বার পড়া হয়েছে

অসর্তকতায় যেতে পারে জীবন

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।

উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। মধ্যবৃত্ত ও নি¤œ বৃত্তরা পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভীড় জমিয়েছে। শীতের উষ্ণতা থেকে রক্ষা পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের পাড়ে জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের দোকান। ফলে অসর্তকতায যেতে জীবন। অভিযোগ আছে, একটি মহলের সহযোগিতায় এভাবে রেললাইনের ওপর বসে পুরাতন কাপড়ের বাজার। এ জন্য ব্যবসায়ীদের দৈনিক ভিত্তিতে দিতে হয় বাড়তি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাণিজ্যে সমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুরে রাস্তা-ঘাট, বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, আধুনিক রেলস্টেশন, দেশের বৃহত্তর রেলকারখানাকে আধুনিকায়ন করাসহ বেশ অনেক খাতে উন্নয়ন ঘটেছে। এখানে সৈয়দপুর প্লাজা ও চৌধুরী টাওয়ার নামে দু’টি বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ মার্কেটগুলোতে পরিকল্পিতভাবে দোকান গড়ে উঠেনি। ফলে জমছেনা ব্যবসা। এছাড়া স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা অধিক ভাড়ায় দোকান নিতে পারছেন না। ফলে বেঁচে থাকার জন্য ঝুঁকি নিয়েই তারা রেললাইন ঘেঁষে গড়ে তোলা দোকানে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব দোকান একাধিকবার ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিছু দোকান ভেঙেও দেওয়া হয়। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে তা আবারও গড়ে ওঠে।

 


শহরের ১ ও ২ নম্বর রেলক্রসিংয়ে বসে এসব দোকান। শীত আসলে গোটা রেললাইনই দখল হয়ে যায়। প্রায় হাফ কিঃমি পর্যন্ত রেললাইনের কোন চিহৃই চোখে পড়ে না। ট্রেনের হুইসেল শুনে তাড়াহুড়া করে ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা নিয়ে সরে পড়েন, ট্রেন চলে গেলে আবার তারা রেললাইনের ওপর চলে আসেন। একইভাবে সরে যান ক্রেতারাও। এ ছাড়া রেললাইনের দু’পাশ দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকানপাটসহ পাকা স্থাপনা। এ পথে প্রতিদিন আন্তঃনগরসহ ১০টি ট্রেন চলাচল করে এবং মাঝেমধ্যে ঘটে দুর্ঘটনা।
শহরের বাশঁবাড়ী এলাকা থেকে শীত বস্ত্র কিনতে আসা কামরুল হাসান বলেন, শীত শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। শীতের শুরুতেই গরম কাপড় কিনতে আসছি। ৫শ’ টাকায় ৩টি শীতের কাপড় কিনেছি।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গরীব মানুষ, তাই পেটের দায়ে ঝঁকি নিয়ে রেললাইনে ওপর ব্যবসা করছি। ঠেঙ্গামারা এনজিও থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন। তার মতো অধিকাংশ ব্যবসায়ী এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের তো আর ব্যাংক ঋণ দেবে না, তাই এনজিও থেকে বেশি সুদে টাকা নিয়েছি। শীত বেশিদিন থাকলে ব্যবসা ভালো হবে, ঋণের টাকা পরিশোধ করে খেয়ে-দেয়ে ২০/২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারব।
এ অঞ্চলের রেললাইনের উভয় পাশের ভূ-সম্পদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুলতান মৃধা বলেন, রেললাইনের ওপর গরম কাপড়ের দোকানপাট ও লাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবকাঠামোর জন্য ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকে। বারবার ওই সব দোকান উচ্ছেদের করা হয়। কিন্তু আবারও একই অবস্থা হয়। তবে আবারও অবৈধ দোকানসহ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীর কালুখালীতে ১৯ কেজি গাঁজাসহ ০২ মাদক ব্যবসায়ী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার। মাদক বহনে মাইক্রোবাস জব্দ।

সৈয়দপুরে রেললাইনের ওপর শীতের পোশাক কিনতে ভিড় – অসর্তকতায় যেতে পারে জীবন

আপডেট সময় : 12:06:04 am, Saturday, 4 December 2021

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ।।

উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। মধ্যবৃত্ত ও নি¤œ বৃত্তরা পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভীড় জমিয়েছে। শীতের উষ্ণতা থেকে রক্ষা পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের পাড়ে জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের দোকান। ফলে অসর্তকতায যেতে জীবন। অভিযোগ আছে, একটি মহলের সহযোগিতায় এভাবে রেললাইনের ওপর বসে পুরাতন কাপড়ের বাজার। এ জন্য ব্যবসায়ীদের দৈনিক ভিত্তিতে দিতে হয় বাড়তি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাণিজ্যে সমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুরে রাস্তা-ঘাট, বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর, আধুনিক রেলস্টেশন, দেশের বৃহত্তর রেলকারখানাকে আধুনিকায়ন করাসহ বেশ অনেক খাতে উন্নয়ন ঘটেছে। এখানে সৈয়দপুর প্লাজা ও চৌধুরী টাওয়ার নামে দু’টি বহুতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। এ মার্কেটগুলোতে পরিকল্পিতভাবে দোকান গড়ে উঠেনি। ফলে জমছেনা ব্যবসা। এছাড়া স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরা অধিক ভাড়ায় দোকান নিতে পারছেন না। ফলে বেঁচে থাকার জন্য ঝুঁকি নিয়েই তারা রেললাইন ঘেঁষে গড়ে তোলা দোকানে ব্যবসা করতে বাধ্য হচ্ছেন। এসব দোকান একাধিকবার ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিছু দোকান ভেঙেও দেওয়া হয়। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে তা আবারও গড়ে ওঠে।

 


শহরের ১ ও ২ নম্বর রেলক্রসিংয়ে বসে এসব দোকান। শীত আসলে গোটা রেললাইনই দখল হয়ে যায়। প্রায় হাফ কিঃমি পর্যন্ত রেললাইনের কোন চিহৃই চোখে পড়ে না। ট্রেনের হুইসেল শুনে তাড়াহুড়া করে ব্যবসায়ীরা তাদের পসরা নিয়ে সরে পড়েন, ট্রেন চলে গেলে আবার তারা রেললাইনের ওপর চলে আসেন। একইভাবে সরে যান ক্রেতারাও। এ ছাড়া রেললাইনের দু’পাশ দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে দোকানপাটসহ পাকা স্থাপনা। এ পথে প্রতিদিন আন্তঃনগরসহ ১০টি ট্রেন চলাচল করে এবং মাঝেমধ্যে ঘটে দুর্ঘটনা।
শহরের বাশঁবাড়ী এলাকা থেকে শীত বস্ত্র কিনতে আসা কামরুল হাসান বলেন, শীত শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। শীতের শুরুতেই গরম কাপড় কিনতে আসছি। ৫শ’ টাকায় ৩টি শীতের কাপড় কিনেছি।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গরীব মানুষ, তাই পেটের দায়ে ঝঁকি নিয়ে রেললাইনে ওপর ব্যবসা করছি। ঠেঙ্গামারা এনজিও থেকে ২৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শীতের কাপড় বিক্রি করছেন। তার মতো অধিকাংশ ব্যবসায়ী এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, আমাদের তো আর ব্যাংক ঋণ দেবে না, তাই এনজিও থেকে বেশি সুদে টাকা নিয়েছি। শীত বেশিদিন থাকলে ব্যবসা ভালো হবে, ঋণের টাকা পরিশোধ করে খেয়ে-দেয়ে ২০/২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারব।
এ অঞ্চলের রেললাইনের উভয় পাশের ভূ-সম্পদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সুলতান মৃধা বলেন, রেললাইনের ওপর গরম কাপড়ের দোকানপাট ও লাইন ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবকাঠামোর জন্য ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকে। বারবার ওই সব দোকান উচ্ছেদের করা হয়। কিন্তু আবারও একই অবস্থা হয়। তবে আবারও অবৈধ দোকানসহ স্থাপনা উচ্ছেদের উদ্যোগ নেওয়া হবে।