Dhaka , Friday, 8 August 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে বিএনপির বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাত্রলীগ সভাপতি হয়েই শতকোটি টাকার মালিক রাশেদ চান্দনা চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা: সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া ঠাকুরগাঁওয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মেশিন আত্মসাৎ ও ঘুষ দাবির অভিযোগ। রূপগঞ্জে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮৭৮কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ চন্দনাইশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হোটেল মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হরিপুরে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৩ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর গাজীপুরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি কক্সবাজারে প্রেমিকের সঙ্গে অভিসারে রিয়া মনি, ফাঁস করলেন হিরো আলম হোটেল পরিবর্তন করে চুপিসারে এখনো কক্সবাজারে এনসিপির শীর্ষ ৫ নেতা সৌদি আরবে মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েও রক্ষা পেলেন বিএনপিনেতা কাজল লক্ষ্মীপুরে ৩’শ সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে লাইব্রেরী কর্ণার ও বই বিতরণ  উদ্বোধন কুড়িগ্রাম ভুরুঙ্গামারী ইউএনও’র পরিচয়ে প্রতারণা, সতর্ক করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৭০ পিছ ইয়াবাসহ পাবনায় তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নোয়াখালী -৪ আসন থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়িগ্রামের উলিপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তা সেজে  প্রতারণা, জনতার হাতে যুবক আটক কক্সবাজারে পাসপোর্ট অফিস-হাসপাতাল থেকে আটক ৪ দালালের কারাদণ্ড কিন্ডারগার্ডেন শিক্ষকদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে রামগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান সুন্দরগঞ্জে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রুবেল বাঁচতে চায় পীরগঞ্জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরীচ্যুত কর্মচারীদের পরিবারর্গের ব্যানারে মানবন্ধন হয়েছে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ মাদ্রাসা জেনারেল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের ধনবাড়ী উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ডাইং কারখানা বিষাক্ত বর্জ্যরে পনিতে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি বছরজুড়ে রূপগঞ্জে ক্ষিপ্ত হয়ে পানির পাইপ বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী সোনারগাঁ’য়ে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত মির্জাপুরে ৩৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বিজয় মিছিল পাবনায় মসজিদের নির্মাণকাজ নিয়ে সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু চালকের চোখে ঘুম……মাইক্রোবাস খালে পড়ে একই পরিবারের ৭জনের মৃত্যু কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মরদেহ নোয়াখালী -৪ আসন থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 11:04:40 am, Wednesday, 18 September 2024
  • 65 বার পড়া হয়েছে

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

জসীমউদ্দীন ইতি

ঠাকুরগাঁও প্রতনিধি।।

   

প্রতি বছরের মতে এ বছরেও সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ- ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবে ওরাঁও সম্প্রদায়ের লোকজন উপবাস করে কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন। এরপর ঢাক-ঢোলের তালে তালে ও নাচে গানে গল্প বলার মধ্য দিয়ে শুরু করেন উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁওরাসহ হিন্দু, মুসলিম মিলে প্রায় সব সম্প্রদায়ের ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রাম।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা বলেন- আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন- আমি এই উৎসবে প্রতি বছরই আসি। এবারও এসেছি। এসে তাদের উৎসবে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। কারাম উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই দিনে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ধর্মীয় কাজসহ নাচে গানে উৎসব উদযাপন করেন। এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার আয়োজন। এই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র তাই আমি চাই রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে উৎসবটি যেন ভবিষ্যতে প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে পালন করা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান জানান- আদিবাসীদের দুই সহোদর ধর্মা ও কর্মা। ধর্মা কারাম গাছকে পূজা করতো। আর সেই গাছ একদিন কর্মা তুলে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তখন নানা বিপদ-আপদ ও অভাব দেখা দিলে আবার সেই গাছ খুঁজে আনা হয়। তখন থেকে সেই গাছকে বিশ্বাস করে ধর্ম পালন করায় ধর্মা রক্ষা পান সব বিপদের হাত থেকে। আর কর্মা ধর্ম পালন না করায় ক্ষতির সম্মুখিন হন। তখন থেকেই বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলত কারাম পূজা করা হয়।

স্থানীয়সহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত কারাম উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ- সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

পূজা অর্চনা শেষে গ্রামের তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের নারী-পুরুষরা বুধবার -১৮ সেপ্টেম্বর- দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে এ বছরের মতো শেষ করবেন কারাম উৎসব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

চট্টগ্রামে বিএনপির বিজয় মিছিল পূর্ব সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

কারাম উৎসবে মতেছেে ওরাঁও সম্প্রদায়।।

আপডেট সময় : 11:04:40 am, Wednesday, 18 September 2024

জসীমউদ্দীন ইতি

ঠাকুরগাঁও প্রতনিধি।।

   

প্রতি বছরের মতে এ বছরেও সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ওরাঁও সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কারাম পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার -১৭ সেপ্টেম্বর- রাত সাড়ে ৯ টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ- ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রামের ওরাঁও মহল্লায় কারাম উৎসব পালিত হয়।

ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা বংশ পরম্পরায় যুগ যুগ ধরে প্রতি বছর এই উৎসব পালন করে আসছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবে ওরাঁও সম্প্রদায়ের লোকজন উপবাস করে কারাম গাছের ডাল কেটে এনে স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্ডপে পুঁতে রেখে পূজা-অর্চনা করেন। এরপর ঢাক-ঢোলের তালে তালে ও নাচে গানে গল্প বলার মধ্য দিয়ে শুরু করেন উৎসব। এ সময় পুরো এলাকা মুখরিত হয় কারাম উৎসবে। ওরাঁওরাসহ হিন্দু, মুসলিম মিলে প্রায় সব সম্প্রদায়ের ছোট বড় সকল বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পাঁচ পীরডাঙ্গা গ্রাম।

কারাম একটি গাছের নাম। ওরাঁও জাতিগোষ্ঠীর মানুষের কাছে এটি একটি পবিত্র গাছ। মঙ্গলেরও প্রতীক। প্রতি বছর বাংলা ভাদ্র মাসের শেষে ও আশ্বিনের শুরুতে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় এই গাছের ডালকে পূজা অর্চনা করেন এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মনি কেরকেটা বলেন- আমরা এখানে আদিকাল থেকে ও যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় কারাম পূজা ও উৎসব করে আসছি। মূলত বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি- সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ভালো ফসল উৎপাদন হওয়ার কামনায় এই পূজা আমরা করে থাকি।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ইমরান চৌধুরী বলেন, আদিবাসীদের মধ্যে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষদের বড় উৎসব হচ্ছে এই কারাম উৎসব। এই সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করে কারাম গাছের ডাল যুগে যুগে তাদেরকে বিপদ-আপদ থেকে শুরু করে মহাপ্রলয় হতে রক্ষা করে। যার কারণে ভাদ্র মাসের শেষ দিন ও পহেলা আশ্বিনে তারা এই উৎসব পালন করেন। এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় কারাম উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং এই অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসবে সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ করেন। এটি এখানকার ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহ অবস্থানের একটা সবচেয়ে বড় উদাহরণ।

উদীচী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু বলেন- আমি এই উৎসবে প্রতি বছরই আসি। এবারও এসেছি। এসে তাদের উৎসবে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করি। কারাম উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এই দিনে ওরাঁও সম্প্রদায়ের মানুষেরা তাদের ধর্মীয় কাজসহ নাচে গানে উৎসব উদযাপন করেন। এটি একটি অত্যন্ত চমৎকার আয়োজন। এই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র তাই আমি চাই রাষ্ট্রীয় ও সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা করার মাধ্যমে উৎসবটি যেন ভবিষ্যতে প্রতিবছর আরও বড় পরিসরে পালন করা হয়।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান জানান- আদিবাসীদের দুই সহোদর ধর্মা ও কর্মা। ধর্মা কারাম গাছকে পূজা করতো। আর সেই গাছ একদিন কর্মা তুলে নিয়ে নদীতে ফেলে দেয়। তখন নানা বিপদ-আপদ ও অভাব দেখা দিলে আবার সেই গাছ খুঁজে আনা হয়। তখন থেকে সেই গাছকে বিশ্বাস করে ধর্ম পালন করায় ধর্মা রক্ষা পান সব বিপদের হাত থেকে। আর কর্মা ধর্ম পালন না করায় ক্ষতির সম্মুখিন হন। তখন থেকেই বিপদ-আপদ ও অভাব-অনটন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলত কারাম পূজা করা হয়।

স্থানীয়সহ অন্যান্য জেলা থেকে আগত কারাম উৎসব দেখতে আসা মানুষেরা জানান, একই রঙের পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে গ্রামের নারী পুরুষরা ঢোলের তালে তালে কারামের নৃত্য পরিবেশন দেখে তারা আনন্দিত ও খুশি।

এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশ্বনাথ কেউকেটার সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতৃবৃন্দ- সালন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উৎসবে ঢাক-ঢোলের বাজনায় নাচে গানে আনন্দ উপভোগ করে আদিবাসীদের পরিবার ও স্বজনরা। সঙ্গে যোগ দেন শিশু কিশোররাও।

পূজা অর্চনা শেষে গ্রামের তরুণ-তরুণীরাসহ সব বয়সের নারী-পুরুষরা বুধবার -১৮ সেপ্টেম্বর- দুপুরে আবারও ঢাক-ঢোলের তালে নেচে-গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কারাম বৃক্ষের ডাল নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিয়ে এ বছরের মতো শেষ করবেন কারাম উৎসব।