
আমিরুল হক, নীলফামারী।।
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে তাঁর পোশাক ছিড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ব্যবসায়ী আতিফ আলতাফ (২৮) এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের সিএসডি মোড়ে। ব্যবসায়ী আতিফ আলাতাফ শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের ছেলে। মারধরের শিকার পুলিশ কর্মকর্তার নাম আতাউর রহমান। তিনি সৈয়দপুর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরের সেনানিবাস এলাকার সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন আতিফ আলতাফ। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউন অমান্য করে এভাবে গাড়ী চালানোয় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করেন। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ঘটনাস্থলেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম তাঁকে ১০০০ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে চলে যান আতিফ।
আরেকটি গাড়ি নিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরে বঙ্গবন্ধু সড়কের নেসকো অফিসের কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ। পিটিয়ে তাঁর পোশাক ছিঁড়ে ফেলে।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমানের সঙ্গে ঘটনাস্থলে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ সময় তাঁর পোশাক ছেঁড়া দেখতে পাওয়া যায়।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত অমান্য, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ও লকডাউন ভাঙার মতো একাধিক অপরাধ সংঘটিত করার কারনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দুজন আসামী গ্রেফতার রয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, অভিযুক্ত ব্যাক্তির অর্থদন্ড আদেশ বহাল রয়েছে। তিনি সকলকে সরকারের বিধি নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান।