মোঃ নুর উদ্দিন শেখ,
পিরোজপুর প্রতিনিধি।।
দক্ষিণ অঞ্চলের জনপদে দিন দিন শীতের প্রকোপ বেড়েই চলছে এ জনপদে এবার শীত আরো বাড়তে পারে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছে।
এছাড়াও একাধিক শৈত্য প্রবাহের শঙ্কাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধিও। পিরোজপুর সদর হাসপাতালসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে।
তবে শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবেই কম। আবার কয়েক ধাপের ইউপি নির্বাচনের কারণে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্ট সুত্র। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছে হতদরিদ্র, চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরা। এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি পিরোজপুর জেলা আওতাধীন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন ছিন্নমূল দরিদ্র-অসহায় মানুষদের খুঁজে খুঁজে তাদের শীত লাগবের চেষ্টা করে বেড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম দেখতে গেলে দেখা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাজু কাঠি গ্রামে গভীর রাতে এক বৃদ্ধা শীতে কাতরাচ্ছিল। সে সময় তার গায়ে কম্বল জরিয়ে দেন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বৈরাগী ।
সেই বৃদ্ধা বলেন, “বাবা খুব শীত পড়ছে, আমার এই টিনের ঘরে থাকতে মেলা কষ্ট হয়। আমার তো লেপও নাই, আর লেপ কিনম কেমনে, আমার বেটা মানুষের বাড়িত কামলা দিয়ে যে টাকা পায় তাদিয়ে দিন আনা দিন খাওয়া হয়। এই ঠান্ডাত কম্বল পাইয়া ভালোই হলো, আল্লাহ্ তোমাদের ভালো করুক।
সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন পিরোজপুর জেলার সভাপতি , ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, মানুষ মানুষের জন্য এটাই স্বাভাবিক। আমরা সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যগণ নিরন্তর প্রচেষ্টা করে শীতার্ত মানুষদের খুঁজে খুঁজে তাদের শীত লাগব করার চেষ্টা করছি।
এ পর্যন্ত সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের সম্মানিত শুভাকাঙ্ক্ষী ও দাতাগণের সহযোগিতায় ৫০ পিস শীতবস্ত্র শুধু দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিতরণ করেছি। এসব কাজে মূল্যবান সময় ব্যায় হলেও, দরিদ্র-অসহায় মানুষদের সাহায্য করার মাঝে সবার দোয়া, ভালোবাসা ও আনন্দ রয়েছে।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বৈরাগী ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন এর ইউনিয়ন পর্যায়ের সদস্য বৃন্দ।