হোসাইন রুবেল ভোলা ।।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসনে কোন ভূমিকা রাখেননি। ৭৫ এর ১৫ আগষ্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছিলো তাদেরকে লালনপালন করা, দেশের মানুষের অত্যাচার নির্যাতন নিপিড়ন সহ ২০০৪ সালে দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেট মেরে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে গুমকরার ষরযন্তে বেপক ভূমিকা রেখেছেন। বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের কোথায় কিভাবে কি অবস্থায় আছে তা বাংলাদেশের মানুষের কোন মাথাব্যথার কারন নয়, বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায় না।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ব্রজগোপাল টাউন হলে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কতৃক সদ্য অনুমোদিত বেতুয়া নৌবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন উপলক্ষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বেগম জিয়ার সন্তান আরাফাত রহমান কোকো মানি লন্ডারিং মামলায় একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আরেক সন্তান কুলাঙ্গার তারেক লন্ডনে বসে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষরযন্ত করছেন। সেই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসায় আছে কি নাই বাংলাদেশের মানুষ তা ভাবতে চায় না, কারন বেগম খালেদা জিয়া একটা অভিশপ্ত নাম। বাংলাদেশর জন্য একটা অন্ধকারের নাম হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। এই জিয়া পরিবার একটা খুনি পরিবার তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে হত্যকরেছে। কিছু লুটেরা দূর্নীতিবাজ অপরাধী খুনীরা বাংলাদেশে অপৃতীকর ঘটনার সৃষ্টির পায়তারা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ পারকেপিটেল ইনকাম ২৭শো ডলার, রেভিজেন্স পেরেছে, বাংলাদেশের রির্যাভ ৫০ বিলিয়ন ছুইছুই করছে। আজ বাংলাদেশের মানুষের ভাতের অভাব নাই।আগে দেশের মানুষ না খেয়ে মৃত্যুবরন করতো, অধাহারে অনাহারে মৃত্যু বরন করেছে। আমার দেশের মানুষ সারের জন্য জীবন দিয়েছেন, শ্রমিকরা জীবন দিয়েছে। বিগত দিনে ছাত্র ছাত্রীরা বিনামূল্যে বই পায়নি, স্কুলের উপকরনের অভাবে ঝরে পরে গেছে। দেশে উচ্চশিক্ষা ছিলো না, স্বাস্থ্য সেবা ছিলো না। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিনিউটি কিলিনিকে মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেগেছে, বিনামূল্যে বই পাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে।
দেশে দশ হাজার নৌপথ তৈরির সংকল্প নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম, আজকে ২৭ শ নৌ পথ তৈরি করেছি। যেসব নৌ-পথ যোগাযোগের সমস্যা তৈরি করছে সেগুলোকে আমরা ডেজিং এর মাধ্যমে সম্পাদন করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ ৪০ টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছে। আরো ৩৫ টি ড্রেজার সংগ্রহ করার প্রক্রিয়ায় আছে।এগুলো দিয়ে কাজ করলে নৌ পথে আর নাব্যতা থাকবেনা বলে জানান
তিনি দেশের উন্নয়ন প্রসংঙ্গে বলেন, যদি দেখতে হয় উন্নয়ন যেতে হবে চরফ্যাশন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন গ্রাম হবে শহর, আর এই শহর কাকে বলে তা আবদুল্লা আল ইসলাম জ্যাকবের চরফ্যাশন দেখলে বুঝা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে কথা তার বাস্তব প্রতিফল হয়েছে চরফ্যাশনে। এ অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্য অর্থনীতি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভোলার চরফ্যাশনেই এই নৌ-বন্দর ব্যপক ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।
এ সময় চরফ্যাশন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন আখন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ভোলা-৪ আসনের সাংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এম.পি, সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কতৃপক্ষ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চরফ্যাশন পৌরসভা মেয়র মো. মোরশেদ প্রমূখ।