জান্নাতীন নাঈম জীবন
পবিপ্রবি প্রতিনিধি ।।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার’র অপসারণসহ ৭দফা দাফির আন্দোলনে ১১তম দিন সংঘর্ষে রূপ নেয়।
বৃহস্পতিবার(৯ ফেব্রুয়ারী) উক্ত ঘটনা ঘটে। এসময় ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর আগে বেলা ১১ টার দিকে আন্দোলনকারীদের মাইক ভেঙে দেয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম’র অনুসারীরা। এসময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম’র পক্ষে বহিরাগত অনুসারীরা।একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদের পক্ষে বহিরাগতরা অবস্থান নেয়।
আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য দেওয়ার সময় আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে আচমকাই মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের গুটিকতক অনুসারী। এসময় তাদের ভিতর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল ও কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মজিবর রহমান মৃধা সহ আরও অনেকে হামলার শিকার হন বলে জানানো হয়।
একাধিক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জসীমউদ্দিন বাদল, শাহীন হোসেন, শামীম আহমেদ সহ আরও অনেকে অতর্কিত হামলা চালান। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তবে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এতে হস্তক্ষেপ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে রেজিস্ট্রারের অনুসারীরা এ আন্দোলনকে ভিত্তিহীন বলে স্লোগান দিতে থাকে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মশারফ খন্দকার, শহিদুল ইসলাম সহ আরও অনেকে নেতৃত্ব দেন।
রেজিস্ট্রারের অনুসারীদের নেতৃত্বে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম এই এলাকার সন্তান। তাকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে কিছু কর্মকর্তা এ অরাজকতা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয় তাই রিজেক্ট বোর্ডের সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় নাই, তবে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করছি এবং পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিষয়টি পুনরায় উপস্থাপন করা হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের সীদ্ধান্ত নিয়েছে, সেজন্যই বিষয়টি নিয়ে রিজেন্ট বোর্ড কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি আরো বলেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের চলমান কর্মসূচিতে মাইক ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যহত হওয়ায় মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আমরা টানা ১১ দিনের মতো আমাদের নৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, আজ যে অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও কিছু দূর্নিতীপরায়ন কর্মকর্তার ইন্ধনেই ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান উপজেলা চেয়ারম্যান ড. হারুন-উর-রশিদ সহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
সর্বশেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, কর্মকর্তা পরিষদ ও রেজিস্ট্রারের অনুসারীরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে।।