
পলাশ হাওলাদার, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ।।
পটুয়াখালীর গলাচিপা গৃহবধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরবাংলা গ্রামের আঃ সত্তার প্যাদার ছেলে আঃ মন্নান প্যাদা নামে। এবিষয় ভূক্তোভোগি মোসা. নুরচেহারা বেগমের গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার চর বাংলা গ্রামের আঃ সত্তার প্যাদার ছেলে আঃ মন্নান প্যাদা সাথে একই গ্রামের মো. আফেজ হাওলাদারের মেয়ে মোসা. নুরচেহারা বেগমের গত ২২-২৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে মন্নান ও নুরচেহারা দম্পতির জীবন ভালোই কাটছিলো তাদের ঘরে তিন জন পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৭-৮মাস ধরে মন্নান তার স্ত্রী নুরচেহারাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিভিন্ন নির্যাতন করে আসছে।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী নুরচেহারা সাথে কথা বললে, তিনি বলেন বিবাহের পরথেকে আমি ও আমার স্বামী ভালো ভাবেই জীব যাপন করে আসছি গত এক বছর ধরে আমার স্বামী ব্যবসার সুবাধে জালাল বেপারী স্ত্রী নুরনাহার বেগমের সাথে পরোকিয়া প্রেমে আসাক্ত হয়েছে। আমি এবিষয় কোন কথা বললেই আমার স্বামী আমাকে গালিগালাস ও মারধর করে এবং বলে আমি তোকে তালাক দিয়া নুরনাহারকে বিবাহ করিব। এক পর্যায় গত দের মাস আগে আমাকে মারধর করিয়া খালি হাতে বাপের বাড়ি পাঠাইয়া দেয়। আমার বাবা ও ভাইয়েরা আপষ মিমাংসার চেষ্টা করেলেও আমার স্বামী আপষ মিমাংশায় রাজিনা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে আমার স্বামী ও তার পরোকিয়া প্রেমিকা নুরনাহার আমাকে মারধর করে গুরুতর শারীরিক জখম করেন
ভুক্তভোগির ভাই মো. অলিউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আমার বোনের জামাইকে আমি সবসময় ভাল জানতাম ও ভালো বাসতাম যখন যা চাইতো তখন তা দিতাম মাঝে মধ্যে আমার কাছথেকে ব্যবসা করার জন্য টাকা পয়সা নিত। আমার বোনের জামাইকে আমি প্রাই ৩-৪ লাখ টাকা ধার দিয়েছি। আমারে বোনের জামাই হঠাৎ করে অন্য নারীর সাথে পরোকিয়া আসক্ত হন এবং আমার বোনকে বেধর মার ধর করে ও আমাদের সাথে সম্পর্ক বিনষ্ট করেন। আমি বুঝাইয়া শুনাইয় বোন ও বোনের জামাইকে মিলাইয়া দেই। পুনরায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে আমার বোনজামাই ও তার পরোকিয়া প্রেমিকা নুরনাহার আমার বোনকে মারধর করে গুরুতর শারীরিক জখম করেন। আমি খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে আমি আমার বোনকে প্রথমিক ভাবে চর বিশ্বাস উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাই পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্সে ভর্তি করি ও কতব্যরত চিকিৎস ডাঃ মেজবাউদ্দিন চিকিৎসা সেবাা প্রদান করেন।