Dhaka , Friday, 6 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেউ প্রথম টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের হার।। সরাইল থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ৩৩০পিস ইয়াবাসহ ৩ জন গ্রাফতার।। সরাইল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক সামাজিক সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত।। কালিয়াকৈরে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন।। কালিয়াকৈরে চা বাগান বাজারে ইউসিবি ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন।। তিতাসে বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষ্য গণসংযোগ।।  গুলিতে রিজভীর মাথার খুলি উড়ে যায়,মায়ের অগোচরে যেত জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে।। মেহেরপুরে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান।। বিতারিত প্রধান শিক্ষক ফিরে আসার পাঁয়তারা প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন।। জেলা প্রশাসকের সাথে পাইকগাছা উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময়।।  নোয়াখালীর ডুবোচরে ভেসে এলো বিশালাকৃতির তিমি।। চট্টগ্রামের স্বাধীনতা জিয়া পার্ক পার্কের করুন দশা।। পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া ও চৌফলদন্ডী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর নির্বাচন সম্পন্ন।। পিরোজপুরে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত।। বিএসএমএমইউ এর ভিসি হলেন লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান ডাঃ শাহিনুল আলম।। লালপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত।। সদরপুরে সেলাই মেশিন ও হুইল চেয়ার বিতরণ।। পাবনায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত- ৪।। রূপগঞ্জের সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় সুটার মাসুদ বাহিনীর হুমকি অব্যাহত হোন্ডা মহড়ায় জনমনে আতঙ্ক।। ৯ দিন কারাবাসের পর জামিন পেল টেকনাফের শিশু রাফি।। কিশোরগঞ্জ যশোদল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতা শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে সঙ্গবদ্ধ সংঘর্ষে বিএনপির নেতার সহধর্মিনী অন্ধ হওয়ার পথে।। ফ্যাসিবাদীরা মিডিয়ার কন্ঠরোধ করেছিল- নজরুল ইসলাম।। দুর্গাপুর নানা আয়োজনে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস পালিত।। হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দখলমুক্ত হলো ছড়া।। দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি রক্ষায় জাতিকে নিয়ে জামায়াত ঐক্যবদ্ধ-আলাউদ্দিন সিকদার।। কিশোর রাফিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ পরে অস্ত্র দিয়ে মামলা।। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ-মখদুম হলের নতুন প্রাধ্যক্ষ ড.সৈয়দ সরোয়ার জাহান।। ভৈরব রেল স্টেশনে ধরা পড়েছে আইনজীবী সাইফুল হত্যার ১ নং আসামি চন্দন।।

কক্সবাজার সদর থানায় ওসি প্রত্যাহার –  গায়েবি মামলার নথি গায়েব!

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:57:48 pm, Wednesday, 27 November 2024
  • 15 বার পড়া হয়েছে

 

শওকত আলম , কক্সবাজার।।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা রেকর্ড করে এজাহারে বাদীকে স্বাক্ষর করানো এবং গায়েবি মামলার নথি দীর্ঘদিন গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে।

মামলা নিয়ে বাণিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগে একমাস ২৮ দিনের মাথায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আহসান হাবিব পলাশ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কক্সবাজার সদর মডেল থানা ওসি ফয়জুল আজিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
গায়েবী মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় শৈবাল হোটেলের সামনে অর্ন্তঘাতমুলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা জ্বালিয়ে দিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার সৃষ্টি করে সরকারী সম্পদ নষ্ট করার অপরাধে
বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং ১৩, জিআর-৭১২ মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এই মামলায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, রাজনৈতিক নেতা, পিপি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে আসামী করা হয়।এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফয়জুল আজওম নোমান দায়িত্বে থাকাকালিন এই মামলার নথি কিছুদিন গোপন করে রেখেছিলেন ওসি। পরে তাকে সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করার পর নথিটি প্রকাশ্যে আসে।
মামলার নথি অনুসারে ওই ৫ই নভেম্বর রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলাটি সদর থানায় রেকর্ড করা হয়। তবে এজাহার জমা দেওয়া হয়েছিল দিনের বেলায়। দ্রুত এজাহার প্রস্তুত করে থানার মামলা নং-১০, জিআর-৭১২ নম্বর মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন ওসি নোমান।
বাদী হিসেবে দেখানো হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড বাহারছড়ার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিনের ছেলে ওমর ফারুক নামের একজনকে। যিনি ২৪ আগষ্ট থানায় রেকর্ড হওয়া (কক্সবাজার থানার মামলা নং- ৩২, জিআর- ৫৩৩/২৪) নিয়মিত মামলার পলাতক ২নং আসামী।
থানায় ৫ই নভেম্বর রেকর্ড হওয়া
বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয় গত ৫ই আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ও আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা, প্রবীণ নেতাদের। এছাড়াও আসামী করা হয় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের।
এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য আসামীরা
হলেন, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, কৃষক লীগ, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন সাবেক পিপি, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী রয়েছে আসামী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানাগেছে, ওই দিন ৩১ অক্টোবর এই ধরনে কোন মিছিল ও ঘটনা ঘটেনি, কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়নি, কোন গোয়েন্দা সংস্থাও অবগত নয় এবং কোন স্বাক্ষ্য প্রমানও নাই। অথচ ৫ আগস্টের পর থেকে এজাহারের উল্লেখিত আসামীগণ দেশে ও বিদেশে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা যায়।
ওসি ফয়জুল আজিম নোমান কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে মামলা বানিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপন হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ তাকে কক্সবাজার সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করেন।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করছেন, মামলা বানিজ্য করার জন্য জনৈক ওমর ফারুককে বাদী সাজিয়ে তড়িগড়ি করে এই গায়েবী মামলাটি রেকর্ড করেন। যদি এই মালার বাদী একজন নিয়মিত মামলার পলাতক আসামী।
ভুক্তভোগিরা জানান, একদিকে স্বরাস্ট্র উপদেষ্ঠা মিথ্যা ও গায়েবী মামলা করার জন্য অফিসিয়ালি নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন, অন্য দিকে ওসি নোমানের মত পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা গায়েবী মামলা রুজু করে মামলা বানিজ্য ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন । তাই তারা এই মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ওসি নোমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম জামাল উদদীন চৌধুরী বলেন, মামলা তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আসল রহস্য বুঝা যাবে।
এব্যাপারে নবাগত কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মামলা তদন্ত চলছে। কোন নিরীহ মানুষ হয়রানী হবে না। তদন্তে মামলার সুস্পষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকলে এটার ফাইনাল রিপোর্ট যাবে। উর্ববতন কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) রহমত উল্লাহ জানান, ওসি ফয়জুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পাইকগাছায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত।।

কক্সবাজার সদর থানায় ওসি প্রত্যাহার –  গায়েবি মামলার নথি গায়েব!

আপডেট সময় : 04:57:48 pm, Wednesday, 27 November 2024

 

শওকত আলম , কক্সবাজার।।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা রেকর্ড করে এজাহারে বাদীকে স্বাক্ষর করানো এবং গায়েবি মামলার নথি দীর্ঘদিন গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে।

মামলা নিয়ে বাণিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগে একমাস ২৮ দিনের মাথায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আহসান হাবিব পলাশ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কক্সবাজার সদর মডেল থানা ওসি ফয়জুল আজিমকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলো। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
গায়েবী মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় শৈবাল হোটেলের সামনে অর্ন্তঘাতমুলক কর্মকান্ড সৃষ্টি করে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাইয়া ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা জ্বালিয়ে দিয়ে জনমনে ভীতি সঞ্চার সৃষ্টি করে সরকারী সম্পদ নষ্ট করার অপরাধে
বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত ৫ নভেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানার মামলা নং ১৩, জিআর-৭১২ মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এই মামলায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, রাজনৈতিক নেতা, পিপি, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে আসামী করা হয়।এজাহারে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফয়জুল আজওম নোমান দায়িত্বে থাকাকালিন এই মামলার নথি কিছুদিন গোপন করে রেখেছিলেন ওসি। পরে তাকে সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করার পর নথিটি প্রকাশ্যে আসে।
মামলার নথি অনুসারে ওই ৫ই নভেম্বর রাত ১২টা ৫ মিনিটে মামলাটি সদর থানায় রেকর্ড করা হয়। তবে এজাহার জমা দেওয়া হয়েছিল দিনের বেলায়। দ্রুত এজাহার প্রস্তুত করে থানার মামলা নং-১০, জিআর-৭১২ নম্বর মামলা হিসেবে রেকর্ড করেন ওসি নোমান।
বাদী হিসেবে দেখানো হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড বাহারছড়ার বাসিন্দা মো. নুরুল আমিনের ছেলে ওমর ফারুক নামের একজনকে। যিনি ২৪ আগষ্ট থানায় রেকর্ড হওয়া (কক্সবাজার থানার মামলা নং- ৩২, জিআর- ৫৩৩/২৪) নিয়মিত মামলার পলাতক ২নং আসামী।
থানায় ৫ই নভেম্বর রেকর্ড হওয়া
বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয় গত ৫ই আগষ্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক ও আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা, প্রবীণ নেতাদের। এছাড়াও আসামী করা হয় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের।
এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য আসামীরা
হলেন, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, কৃষক লীগ, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন সাবেক পিপি, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী রয়েছে আসামী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সুত্রে জানাগেছে, ওই দিন ৩১ অক্টোবর এই ধরনে কোন মিছিল ও ঘটনা ঘটেনি, কোন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়নি, কোন গোয়েন্দা সংস্থাও অবগত নয় এবং কোন স্বাক্ষ্য প্রমানও নাই। অথচ ৫ আগস্টের পর থেকে এজাহারের উল্লেখিত আসামীগণ দেশে ও বিদেশে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানা যায়।
ওসি ফয়জুল আজিম নোমান কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যোগদানের পর থেকে মামলা বানিজ্য, গ্রেফতার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপন হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ তাকে কক্সবাজার সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করেন।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করছেন, মামলা বানিজ্য করার জন্য জনৈক ওমর ফারুককে বাদী সাজিয়ে তড়িগড়ি করে এই গায়েবী মামলাটি রেকর্ড করেন। যদি এই মালার বাদী একজন নিয়মিত মামলার পলাতক আসামী।
ভুক্তভোগিরা জানান, একদিকে স্বরাস্ট্র উপদেষ্ঠা মিথ্যা ও গায়েবী মামলা করার জন্য অফিসিয়ালি নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন, অন্য দিকে ওসি নোমানের মত পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা গায়েবী মামলা রুজু করে মামলা বানিজ্য ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে যাচ্ছেন । তাই তারা এই মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ওসি নোমানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম জামাল উদদীন চৌধুরী বলেন, মামলা তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আসল রহস্য বুঝা যাবে।
এব্যাপারে নবাগত কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস খান বলেন, মামলা তদন্ত চলছে। কোন নিরীহ মানুষ হয়রানী হবে না। তদন্তে মামলার সুস্পষ্ট তথ্য উপাত্ত না থাকলে এটার ফাইনাল রিপোর্ট যাবে। উর্ববতন কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) রহমত উল্লাহ জানান, ওসি ফয়জুল আজিম নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।