দৈনিক আজকের বাংলা ডেস্ক।।
বাংলাদেশের পলাতক আসামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে লন্ডনে বসে কোটা আন্দোলন চলাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অরাজনৈতিক ইস্যুকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করা হয়েছে। বিএনপির পাশাপাশি তাদের কিছু সমমনা দলও এতে যোগ দিয়েছে।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনের কুশীলব জামাত-বিএনপি তাদের স্বরূপে উন্মোচিত হয়েছে।
তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে এই ‘অপশক্তি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আজকে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে, এই আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়েছেন লন্ডনে থাকা পলাতক আসামি তারেক রহমান। একটা অরাজনৈতিক ইস্যুকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে।
বিএনপি-জামাতের পাশাপাশি তাদের সমমনা কিছু দলও আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করে কাদের। বলেন, একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড লন্ডনে বসে এই আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দিচ্ছে।
বিএনপি-জামাতের কোন নেতা, কোন স্পটে থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করবে, তারেক রহমান সেই নির্দেশনাও দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনকারীরা অহেতুক জনভোগান্তি তৈরি করে যাচ্ছে। তারা নিজেদেরকে রাজাকারের পক্ষভুক্ত করেছে, যা দেশের মৌলিক চেতনার পরিপন্থি।
আর এই আন্দোলনে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে হলে গিয়ে সাধারণ ছাত্রদের জোর ও বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, মেয়েদের হলেও সহিংসতা করেছে। বিনা উসকানিতে তারা ছাত্রলীগসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
সব দোষ ছাত্রলীগের ওপর চাপানো একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে- মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অথচ ৫০০ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০০ জনের অবস্থা গুরুতর। আর এদের মধ্যে ২০ জন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির ছাত্রসংগঠন এখন প্রকাশ্যেই এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার ছড়িয়ে দেশে গণঅভ্যুত্থান করার চেষ্টা চালাচ্ছে ষড়যন্ত্রকারীরা।
এবার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলো ছাত্রদলএবার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামলো ছাত্রদল
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্য বিকৃতি ও ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের কাউকে তো প্রধানমন্ত্রী রাজাকার বলেননি।
তাহলে তারা নিজেদের রাজাকার দাবি করলো কেন- এ প্রশ্ন তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারণ স্পষ্ট। এই আন্দোলনে বিএনপি পৃষ্ঠপোষক এবং কোটার নামে সরকারবিরোধী আন্দোলন তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ তুলে কাদের বলেন, সেনাশাসিত সেই সরকারের লক্ষ্য ছিলো দেশের অগ্রগতি বাঁধাগ্রস্ত এবং শেখ হাসিনাকে মাইনাস করা।
তবে এখনও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলোর পেছনে একটি মতলবি গোষ্ঠী আছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির নেতারা এখন কোটার ওপর ভর করে আন্দোলনের ফসল পোড়াতে চায়। ২০১৮ সালেও তারা তাই করেছিলো।
তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে বহু নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং সেই সেই সন্ত্রাসী আন্দোলনেও তারা জনগণের কাছে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।