মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া উপজেলার মাটি খেকোদের কাছ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমি, উচু ভিটা কিংবা ক্ষুদ্র জলাশয় কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না। মাটি কেটে বানানো হচ্ছে গভীর পুকুর। মাটি খেকোরা আইনের তোয়াক্কা না করে দিনরাত সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে মাটি কাটার মহা উৎসব। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকার উর্বর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে বসতবাড়ি।
এতে জমি হারিয়ে পথে বসছে হাজারো ক্ষুদ্র কৃষক। বন্ধ হচ্ছে বিলের পানি নিষ্কাশন নালা। ফলে বর্ষায় জলাবদ্ধতায় ব্যহত হচ্ছে চাষাবাদ।
সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে আবাদি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খননের মহা উৎসবে মেতেছে ভূমিদস্যুরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেখা যায়, উপজেলার সলংঙ্গা ইউনিয়নের কিসমত সলঙ্গার গুট্টুরি পুকুরে পাশে চলছে ভূমিদস্যুদের মাটি কাটার মহা উৎসব। সলঙ্গা ইউনিয়নের বাঁশিদক্কল গ্রামের শরিফুল ইসলাম, আসুক জামানের, নেতৃত্বে চলছে কৃষি জমিতে পুকুর খনন।
উপজেলার কিসমত সলঙ্গা এলাকায় লোকজন জানান,উর্বর আবাদি জমি কেটে পুকুর করা হচ্ছে। শ্রেণি পরিবর্তন না করেই মাঠের পর মাঠ কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মোটা অংকের টাকায় স্থানীয় স্থানীয় প্রশাসন কে ম্যানেজ করে কাটা হচ্ছে অবৈধ কুকুর।
লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তা ছাড়া দিনরাত ট্রাক্টরের শব্দে ঘুমানো যায় না।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, দিনরাত মাটি কাটা চলে। মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ভারি ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা ভেঙে ফসলি জমির মাঝখান দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এছাড়া গাড়ির শব্দ ও ধুলার কারণে বাইরে বের হওয়া যায় না। ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর গর্ত করার ফলে আশপাশের আবাদি জমি ও বসত বাড়ি ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।
মোবাইল ফোনে কথা হয় মাটি ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, “মাটির ব্যবসা করি দীর্ঘদিন ধরে। নিজের ভেকু মেশিন দিয়ে এর আগে একবার ইউএনও স্যার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারপর উপর মহলে তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আবার চালু করেছি, ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পুকুর খনন করে আসছি বিভিন্ন জায়গায় টাকা দিয়ে।
সবাই কাটছে তাই আমরাও কাটছি। অবাধে পুকুর খননের কারণে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর কেউ নিষেধ করেনি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন এ প্রতিবেদকে জানান কোনোভাবেই উপজেলার যেকোন এলাকায় আর পুকুর খনন করতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে খবর পাওয়া মাত্রই অতি দ্রুত সেখানে গিয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুকুর খননকারী যেই হোক তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। জানান, অভিযান অব্যাহত আছে।