হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি।।
প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজারের পর এবার নদীগর্ভে বিলিন হল গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চরমাদারী পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক। গতকাল বুধবার বিকালে ক্লিনিকটি তিস্তার গর্ভে তলিয়ে যায়। সে কারণে ওই এলাকার কমপক্ষে ৩ হাজার অবালবৃদ্ধবণিতা চিকিৎসা সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে পড়ল। সরকার যে সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে করোনার টিকা কার্যক্রম চালু করেছে, ঠিক সেই সময়ে তিস্তা কেড়ে নিল সু-চিকিৎসা বঞ্চিত চরবাসির একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিকটি। স্থানীয় ফুলজান বেওয়া জানান, হামরা দুরত যাওয়ার পাইনা, এই কিলিনিকত ওষুধ নিছনো। সেটা আর থাকিল না, নদীত ভাসি গেল। এখন হামরা কনঠে যাম ওষুধ বুলি। কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আব্দুল হাই জানান, ২০১৩ সালে ক্লিনিকটি ভবনটি প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন অবালবৃদ্ধবনিতা চিকিৎসা নিত। ক্লিনিকটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় বর্তমানে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রয়েছে। ক্লিনিকের মালামাল সমুহ স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দস মিয়ার বাড়িতে রাখা হয়েছে এবং রেজিষ্টার সমুহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাসিউল ইসলাম জিমি জানান, ক্লিনিকটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় তার ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩ হাজার সুবিধাভোগী বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি দ্রুত অস্থায়ীভাবে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিমার্ণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জানান, তিস্তার ভাঙনে হরিপুর ইউনিয়নের চরমাদারীপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় আপতত ওই এলাকার চিকিৎসা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে ওই এলাকার মানুষজন পাশ্ববর্তী বাংলাবাজার কমিউনিটি ক্লিনিক হতে চিকিৎসা নিতে পারবেন। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।