মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রতাপ এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ “গোষ্ঠীর ঘাশীমালো সম্প্রদায়ের ১৮ পরিবারের নিজস্ব বসতভিটে কিংবা আবাদ করার জমি সম্পত্তি নেই। পরিবারগুলো বর্তমান প্রতাপ হাটের সরকারী জায়গায় বংশ পরম্পরায় বসবাস করছেন। বেশীসংখ্যক পরিবার ভিশন কষ্টে ভাঙ্গা ঘরে চাপাচাপি করে বসবাস করছেন তারা। বাড়িভিটা করার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করেছে। বলেছেন সরকার তাদের থাকার জন্য জমি বরাদ্দ দিলে তাদের জীবন সুখের ছোঁয়া পায় তাদের পরিবারে লোকসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু নেই ঘর তুলার জমি।
উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের নামকরা বেশ পুরোনো প্রতাপ হাটটির একপাশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ১৮ টি পরিবার বসবাস করছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই মানুষগুলো কাগজপত্রে সরদার পদবীর হলেও তাদের আসল পদবী ঘাশীমালো। এখানকার বসতিরা বিভিন্ন পেশায় দৈনিক মজুরির আয়ের টাকায় সংসার চালান। তবে তাদের অধিকাংশই কৃষি পেশায় মজুরী বেচে থাকেন । যখন মাঠে কাজ থাকে না তখন অন্য পেশায় মজুরী খাটেন। নারী ও পুরুষরা একসঙ্গে মাঠের কৃষিকাজ করেন। এখানকার বসতিদের মধ্যে বয়সীরা জানান, প্রতাপ হাটের সরকারী এ জায়গাতেই ঘাশীমালো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসতিদের সবাই বংশ পরম্পরায় বসবাস করছেন। তাদের পূর্বপুরুষরা নিজস্ব জায়গা না থাকায় সরকারী এ জায়গায় বসবাস শুরু করেছিলেন।
ক্ষুদ্র নৃ’গোষ্ঠীর বসতিস্থলের “দক্ষিণ পুর্ব কর্নারেই রয়েছে একটি রক্ষা কালী মন্দির” হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবী তিনি দেবী দুর্গা বা পার্বতীর একটি রূপ। তাকে” হিন্দু ধর্মের মৃত্যু, সময় ও পরিবর্তনের কর্তা বলে মনে করা হয়,এমনটাই বলছিলেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সেবা উন্নয়ন সমিতির এর সাধারণ সম্পাদক রমেন সরদার।তিনি আরও জানান উপজেলা প্রসাশন কর্তৃক মুন্দির স্থাপন করার জন্য এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পয়েছিলাম কিন্তু এই বাজেটে মুন্দির স্থাপন পরিপূর্ণ করতে পারি নি, অর্থের অভাবে অপূর্ণই রয়ে গেছে জদি সরকার কর্তৃক কিছু অনুদান পাওয়ার জায় তাহলে আমরা মুন্দির টি পরিপূর্ণ করতে পারি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় পচিশ শতক জায়গায় এখানকার ১৮ পরিবার বসবাস করছেন । এখানে একেকটি পরিবার এক থেকে দেড় শতক জায়গায় বসবাস করছেন বলে জানা গেছে । পরিবার সংখ্যা বাড়লে এ জায়গার মধ্যেই কোনোমতে নতুন ঘর তুলে বসবাস করছেন। সড়কের ধারে হাটের সরকারী দেড় থেকে দুশতক জায়গায় তিনটি পরিবার কোনোমতে চাপাচাপি করে বসবাস করছেন। মজুরির আয়ে সংসার চলা পরিবার তিনটির সবাই মিলেমিশে বসবাস করছেন। পরিবারগুলোর পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি কাজে মজুরী বেচে টাকা আয় করে থাকেন । ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভুক্তভোগী সাবের্তী ও আলোমতি বলেন কোনোমতে মাথা গুজে রাত পার করে এখানকার বসতিরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সেবা উন্নয়ন সমিতি নামে একটি সংগঠন গড়েছেন। এর সভাপতি চন্দ্র সরদার বলেন তারা নিজস্ব বসতভিটা না থাকায় সরকারি জায়গায় নানা দুর্ভোগের সঙ্গে বসবাস করছেন। অভাবের মাঝেও অনেকেই সন্তানদের পড়ালেখা করাচ্ছেন। তাদের জন্য সরকারিভাবে জায়গা বরাদ্দ ও বসতঘর করে দেওয়া হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই বসবাস করতে পারবে। এমনটাই আশা করছেন ভুক্তভোগীরা।