Dhaka , Thursday, 26 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
নলছিটিতে সড়ক সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের দা’বিতে মা’নবব’ন্ধন ও মহাসড়ক অ’বরো’ধ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই কা’টা হলো হাসপাতালের বি’দ্যুৎ! সৈয়দ নজরুল মে’ডিকেল কলেজ হা’সপাতা’লে ৩ ঘন্টা অ’চল স্বাস্থ্যসেবা দ্য স্কলারস ফোরাম ঢাকা’র বৃত্তি কার্যক্রম ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ক’কটে’ল বি’স্ফোর’ণ: তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালো এনসিপি সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দু’র্ঘটনা’য় বাবা-মেয়ে নি’হত নোয়াখালীতে ১১ মা’দকসে’বীর কা’রাদ’ন্ড কৃষ্ণ হাজংয়ের সার্বিক খোঁ’জখবর নিতে হা’সপাতা’লে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রামগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হলেন  যু’বদ’ল নে’তা পলাশ নলছিটিতে তা’মাক নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরা’দ্দ ও বে’সরকা’রি সংগঠনগুলোর সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা সভা প্রাথমিক স্তরের বৃত্তি ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করে ; সচিব কামরুজ্জামান রামগঞ্জে সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ই’য়া’বাস’হ এক মা’দক কা’রবা’রিকে গ্রে’প্তার করেছে ডিবি হাতিয়ার মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ডুবি: ২৮ যাত্রী সবাই জী’বিত উ’দ্ধার মেহেরপুরে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কাব কার্নিভাল ২০২৫ কোম্পানীগঞ্জে শিক্ষানুরাগী রমজান আলী রাজুর স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত বাবার মোটরসাইকেল থেকে প’ড়ে কলেজ ছাত্রীর মৃ’ত্যু আমাদের দেশপন্থী ও ভারতপন্থীদের যু’দ্ধ হবে’- মুফতী ফয়জুল করিম সোনাইমুড়ীতে দোকান দ’খল করে পাঠাগার, থা’নায় অভি’যোগ জামায়াত নেতাদের বি’রুদ্ধে লালমনিরহাটে জুলাই ওয়ারিয়র্সের বিক্ষোভ মি’ছিল ও স’মাবে’শ পঙ্কিল রা’জনী’তি বিশ্ববিদ্যালয় চ’ত্ত্বরে আনবেন না শিক্ষা উপদেষ্টা সাংবাদিকতা জগতে ও মানবিক কল্যাণে ফররুখ আহমদ চৌধুরীর অবদান  পাবনয় ২৫ কেজি গাঁ’জা, প্রাইভেট কারসহ মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’প্তার মা’দকের আস্তানা ও অসা’মাজি’ক কার্যকলাপের অভিযোগে হি’জরা’র ঘরে আ’গুন কালিয়াকৈরে স্মরণকালের গণজমায়েত, বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন ফরম বিতরণ অনুষ্ঠান  লালমনিরহাটে ইসলাম ধ’র্ম ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির ঘ’টনা’য় মুসল্লিদের হাতে আ’টক ২ রূপগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  প্র’তিব’ন্ধী’দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যানের অ’পসা’রণ ও গ্রে’ফতা’রের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ নলছিটিতে পরকীয়া ও স্বর্ণ চু’রির মা’মলায় প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রে’ফতা’র, কা’রাগা’রে প্রেরণ কিশোরগঞ্জে দেওয়ানি মা’মলায় পরা’জ’য়ের জেরে নিজ ঘরে আ’গুন দিয়ে প্রতিপক্ষের ভি’রুদ্ধে মা’মলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 06:13:25 pm, Tuesday, 3 January 2023
  • 121 বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট।

মেঃ রাকিবুল হাসান,

(শেরপুর) প্রতিনিধি।।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার অন্য যে কোন এলাকার চেয়ে উচু ভূমি ও পাহাড়ি টিলা ভূমি এলাকা। উচু ভূমি ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারনে অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা যায় না। ইতি পূর্বে অত্র এলাকায় বেক্তিগত সরকারি বেসরকারি (এন.জি.ও) এর মাধ্যমে সুপেয় পানির জন্য অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল, তা বর্তমানে অচল অবস্থা। কারন পানির স্তর অনেক নিচের লেভেলে চলে যাওয়ার কারনে স্থাপিত টিউবওয়েল গুলি সম্পূর্ণ ভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যে কারনে গ্রাম অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামের ভাষায় একটি কথার প্রচলন আছে ”প্রয়োজন নাকি আইন মানে না”। তাই অনেকেই পানির চাহিদা পূরণ করতে ১৫/২০ ফুট অগভীর নলকূপ স্থাপন করে আয়রন যুক্ত অনিরাপদ খাবার পানি সংগ্রহ করছে এই অগভীর নলকূপ থেকে। যা পানের জন্য ঝুকি মুক্ত নয়। অনেক গ্রাম অঞ্চলের পরিবারের লোকেরা সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য প্রায় ১ কি.মি রাস্তা পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভীর নলকূপের সুপেয় পানি কষ্ট করে সংগ্রহ করে। আগে গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা সুপেয় পানির উৎস হিসাবে মাটির কুয়া পাকা কুয়া থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতো। এছাড়া পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা খাবার পানি সংগ্রহ করতো বিভিন্ন পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে। বর্তমানে পাহাড়ি ঝর্ণা গুলিতে তেমন ভালো পানির প্রবাহ নেই। তাই সুপেয় পানির সংকট দূর করার জন্য সরকারি ভাবে পাহাড়ি অঞ্চলের রিংওয়েল টিউবওয়েল দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু এই সমস্ত সরকারি রিংওয়েল টিউবওয়েল গুলি কার্যত অধিকাশই অকেজো হয়ে পরে আছে। পানির স্তর অধিকতর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রায় সব ধরনের অগভির নলকূপ থেকে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন উচু ভূমি এলাকা যথা-ক্রমে নলকুড়া, কাংশা, ধানশাইল, গৌরিপুর ও ঝিনাইগাতি। এই ৫টি ইউনিয়নের সিংহভাগ লোক দরিদ্র কৃষক শ্রমিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এই সমস্ত পরিবারের পক্ষে গভির নলকূপ স্থাপন করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা সম্ভব না। তাই এই সমস্ত দরিদ্র কৃষক শ্রমিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়দের জন্য সরকারি ভাবে গভির নলকূপ স্থাপন করে সুপেয় পানি ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি প্রয়োজন বলে অত্র এলাকাবাসীর দাবি। প্রকাশ থাকে যে, সরকারি ভাবে প্রতি বছর প্রায় ২”শত গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যান্ত অপ্রতুল। ঝিনাইগাতি উপজেলা জনস্বাস্থ প্রকৌশলি রাধাবল্লভ সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গভীর নলকূপ সরকারি বরাদ্দের চেয়ে এলাকায় চাহিদা অনেক বেশি। বরাদ্দ কৃত গভীর নলকূপ বিতরণ করতে আমাদের অনেক হিমসীম খেতে হচ্ছে। অত্র উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ গ্রাম অঞ্চলের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হলে বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে সুপেয় পানির সংকট কাটানো অনেকটা কঠিন। এ ব্যপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন , নলকূড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুকুন্নুজ্জামান ও গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপের চাহিদা অনেক। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গ্রাম অঞ্চলের লোকের গভীর নলকূপের চাহিদা পূর্ণ করতে না পারায় আমাদের অনেক জবাব দিহিতার মূখমূখি হতে হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি সরকারি ভাবে গভীর নলকূপের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সুপেয় পানির সংকট দূর করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জুর দাবি জানাই।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

নলছিটিতে সড়ক সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের দা’বিতে মা’নবব’ন্ধন ও মহাসড়ক অ’বরো’ধ

শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট।

আপডেট সময় : 06:13:25 pm, Tuesday, 3 January 2023

মেঃ রাকিবুল হাসান,

(শেরপুর) প্রতিনিধি।।

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার অন্য যে কোন এলাকার চেয়ে উচু ভূমি ও পাহাড়ি টিলা ভূমি এলাকা। উচু ভূমি ও পাহাড়ি এলাকা হওয়ার কারনে অগভীর নলকূপের মাধ্যমে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা যায় না। ইতি পূর্বে অত্র এলাকায় বেক্তিগত সরকারি বেসরকারি (এন.জি.ও) এর মাধ্যমে সুপেয় পানির জন্য অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল, তা বর্তমানে অচল অবস্থা। কারন পানির স্তর অনেক নিচের লেভেলে চলে যাওয়ার কারনে স্থাপিত টিউবওয়েল গুলি সম্পূর্ণ ভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যে কারনে গ্রাম অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গ্রামের ভাষায় একটি কথার প্রচলন আছে ”প্রয়োজন নাকি আইন মানে না”। তাই অনেকেই পানির চাহিদা পূরণ করতে ১৫/২০ ফুট অগভীর নলকূপ স্থাপন করে আয়রন যুক্ত অনিরাপদ খাবার পানি সংগ্রহ করছে এই অগভীর নলকূপ থেকে। যা পানের জন্য ঝুকি মুক্ত নয়। অনেক গ্রাম অঞ্চলের পরিবারের লোকেরা সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য প্রায় ১ কি.মি রাস্তা পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভীর নলকূপের সুপেয় পানি কষ্ট করে সংগ্রহ করে। আগে গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা সুপেয় পানির উৎস হিসাবে মাটির কুয়া পাকা কুয়া থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতো। এছাড়া পাহাড়ি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকেরা খাবার পানি সংগ্রহ করতো বিভিন্ন পাহাড়ের ঝর্ণা থেকে। বর্তমানে পাহাড়ি ঝর্ণা গুলিতে তেমন ভালো পানির প্রবাহ নেই। তাই সুপেয় পানির সংকট দূর করার জন্য সরকারি ভাবে পাহাড়ি অঞ্চলের রিংওয়েল টিউবওয়েল দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু এই সমস্ত সরকারি রিংওয়েল টিউবওয়েল গুলি কার্যত অধিকাশই অকেজো হয়ে পরে আছে। পানির স্তর অধিকতর নিচে নেমে যাওয়ায় প্রায় সব ধরনের অগভির নলকূপ থেকে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়ন উচু ভূমি এলাকা যথা-ক্রমে নলকুড়া, কাংশা, ধানশাইল, গৌরিপুর ও ঝিনাইগাতি। এই ৫টি ইউনিয়নের সিংহভাগ লোক দরিদ্র কৃষক শ্রমিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। এই সমস্ত পরিবারের পক্ষে গভির নলকূপ স্থাপন করে সুপেয় পানি সংগ্রহ করা সম্ভব না। তাই এই সমস্ত দরিদ্র কৃষক শ্রমিক ও আদিবাসী সম্প্রদায়দের জন্য সরকারি ভাবে গভির নলকূপ স্থাপন করে সুপেয় পানি ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরি প্রয়োজন বলে অত্র এলাকাবাসীর দাবি। প্রকাশ থাকে যে, সরকারি ভাবে প্রতি বছর প্রায় ২”শত গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যান্ত অপ্রতুল। ঝিনাইগাতি উপজেলা জনস্বাস্থ প্রকৌশলি রাধাবল্লভ সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, গভীর নলকূপ সরকারি বরাদ্দের চেয়ে এলাকায় চাহিদা অনেক বেশি। বরাদ্দ কৃত গভীর নলকূপ বিতরণ করতে আমাদের অনেক হিমসীম খেতে হচ্ছে। অত্র উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহ গ্রাম অঞ্চলের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হলে বরাদ্দ বৃদ্ধি না হলে সুপেয় পানির সংকট কাটানো অনেকটা কঠিন। এ ব্যপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন , নলকূড়া ইউপি চেয়ারম্যান রুকুন্নুজ্জামান ও গৌরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান পলাশ এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপের চাহিদা অনেক। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গ্রাম অঞ্চলের লোকের গভীর নলকূপের চাহিদা পূর্ণ করতে না পারায় আমাদের অনেক জবাব দিহিতার মূখমূখি হতে হচ্ছে। তাই আমাদের দাবি সরকারি ভাবে গভীর নলকূপের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে সুপেয় পানির সংকট দূর করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জুর দাবি জানাই।