
রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে মনিকা পারভীন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী
শ্লীলতাহানী, মারধর ও প্রাননাশের চেষ্টার অভিযোগ এনে বখাটে মনির ওরফে ইয়াবা মনিরের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শ্লীলতাহানী, মারধরে ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার দিঘীবরাবো এলাকায়।
এ ঘটনায় ঐ রাতেই প্রবাসীর স্ত্রী মনিকা পারভীন বাদী হয়ে
বখাটে মনির ওরফে ইয়াবা মনিরের বিরূদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর বখাটে ও ইয়াবা মনিরের কাছ থেকে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী ১ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে মামলা নিতে তালবাহানা শুরু করেন। পরে মনিকা পারভীন গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়াটার আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং
সেলে ওসি লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রবাসীর স্ত্রী মনিকা পারভীনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয় মনিকা পারভীন। আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী লম্পট ও মাদক ব্যবসায়ী মনির (৩৫) তার মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ওই গৃহবধূ বাঁধা দিলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে রূপগঞ্জ থানা
থেকে দু’জন পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে গত ৩০ ডিসেম্ভর রূপগঞ্জ থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ অভিযোগের তদন্ত করেন। পরে মনিকা পারভীন রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা নেই নিচ্ছি বলে দুই সপ্তাহ ওই নারীকে ঘুরাতে থাকেন। তারপরও তিনি অভিযোগটি তিনি এআইআরভুক্ত করেননি।
মনিকা পারভীন আরো জানান, অভিযোগের পর থেকে বখাটে মনির
অভিযোগ তুলে নিতে তাকে অব্যাহত হুমকি দিয়ে আসছে। মনির দাম্ভিকতার সহিত বলে এসব মামলা করে আমার কিছুই করতে পারবেন না। ওসির মুখ আমি মোটা অংকের টাকা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছি। যদি প্রাণে বাঁচতে চাও, তাহলে থানায় দায়ের করা অভিযোগ তুলে নাও। পরে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে মনিকা পারভীন প্রাণের ভয়ে তার ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে তার স্বামীর বাড়ি দিঘীবরাবো থেকে তার পিতার বাড়ি সোনারগাঁ চলে যায়। পরে গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়াটার আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে ওসি লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে
লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ওসি অভিযোগটি এআইআরভুক্ত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই আবুল
কালাম আজাদ জানান, গত ১৬ জানুয়ারি আসামী মনিরকে গ্রেফতার করে আদালতে পেরণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওসি লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি
বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ভুক্তভোগী মনিকা পারভীন প্রথমে একটি অভিযোগ করেন। পরে একই ঘটনায় অন্য আরেকটি অভিযোগ করেন। যার কারনে মামলা নিতে বিলম্ব হয়েছে। অভিযুক্ত মনিরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।