ভোলা
স্টাফ রিপোর্টার।।
ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের চর বৈরাগিয়ায় ভূমিদস্যু নাছির উদ্দিন নান্নু চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে চর বৈরাগীয়া শিকস্তী ভূমি মালিক সমিতি মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (২০ডিসেম্বর) দূপুরে চর বৈরাগিয়ায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে চর বৈরাগিয়ার জমির প্রকৃত মালিকরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী জমির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদাবাজ ও জাল দলিলকারী চক্র,সন্ত্রাসী, মামলাবাজ মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক আমাদের মালিকানা জমি দখল করে আছে। আমাদের জমিতে আমাদের চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়। এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আলাউদ্দিন তালুকদার (৩৫), তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ১৫ গন্ডা জমির মালিক অথচ নান্নু চেয়ারম্যান ও বেলায়েত আমাকে কোন জমি চাষ করতে দিচ্ছে না। পেটের দায় বাধ্য হয়ে বেলায়েত কে ৬০০০ হাজার টাকা দিয়ে ৪ একর জমি চাষ করেছি। ভুক্তভোগী আব্দুল হক ফরাজী (৭৫) বলেন, এ চরে আমাদের ১০ কানি জমির রয়েছে, অথচ এই ভূমিদস্যু নান্নু চেয়ারম্যানে বেলায়াত বাহিনী দিয়ে চরে এরকম সন্ত্রাস কায়েম করেছে যে আমি ১ গন্ডা জমিও চাষ করতে পারছি না।
আরেক ভুক্তভোগী মামুন (৩০) অভিযোগ করে বলেন, নান্নু চেয়ারম্যান ও বেলায়েত আমাকে ১০ একর জমি দিবে বলিয়া ৩ লক্ষ টাকা নেয়, অথচ আজ পর্যন্ত আমাকে কোন জমি তো দেয়নি আমার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এছাড়াও আমার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল বেলায়েত ৬০ হাজার টাকা দাম করিয়া নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলের টাকা ও জমি বাবদ নেওয়া ৩ লক্ষ টাকা আজ পর্যন্ত আমাকে বুঝিয়ে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে সন্ত্রাসী বেলায়েত আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এছাড়াও নাসির উদ্দিন নান্নুর চেয়ারম্যান, বেলায়েত ও সিরাজ কসাই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে চর বৈরাগিয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করিয়া প্রত্যেক সুবিধাবী থেকে ৩ হাজার, ৪ হাজার, ৫ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম (৩০) বলেন বেলায়েত আমার কাছ থেকে এ ঘরের জন্য ৩ হাজার টাকা নেয়। একই অভিযোগ করে কবির হোসেন বলেন একটি ঘরের জন্য আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া লাগছে। দুলাল হাওলাদার (৫১) বলেন ২টি ঘরের জন্য আমার কাছ থেকে বেলায়েত ১৫ হাজার টাকা নেয়। অভিযোগ রয়েছে সিরাজ কসাই আবাসনের ১০টি ঘর দখল করে আছে। উক্ত ঘর গুলোতে গরু, ছাগল রাখেন সে। একইভাবে বেলায়েত ও তার আত্মীয়স্বজনরা আবাসনের ঘর গুলো দখল করে রেখেছে।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাছিরউদ্দিন নান্নু,বেলায়েত হোসেনসহ অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এসব ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।