
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা পোনাহাটির মোড় দিয়ে ২০২২-২৪ সালের বাতিলকৃত সরকারি পাঠ্যবই কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভাঙারি ব্যবসায়ী আলী হোসেন। সে সময় তাকে পুলিশ আটক করে বইসহ থানায় নিয়ে যায়। যেহেতু দুই-তিন হাত হয়ে তার কাছে বইগুলো এসেছে তাই মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -ইউএনও- মোছা. জাকিয়া সুলতানা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
মঙ্গলবার -২০ মে- রাতে এই ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মোছা. জাকিয়া সুলতানা ও কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. সেলিম মালিক।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়া যুবকের নাম আলী হোসেন। তিনি উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের জামিরবাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। তিনি ভাঙারির ব্যবসা করেন বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে আলী হোসেন বাতিলকৃত ২০২২-২৪ সালের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর জেনারেল বই ও নবম শ্রেণীর দাখিলের বই -ওজন ১২ মন ২৫ কেজি- ভ্যানে নিয়ে কাকিনা পোনাহাটির মোড়ে আসেন। সে সময় তাকে একজন সাংবাদিকের সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন আটক করেন। পরে তারা কালীগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বইয়ের ভ্যান গাড়িসহ আলী হোসেনকে আটক করে থানায় হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে ইউএনও সেখানে আসেন এবং আলী হোসেনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
কেন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে ইউএনও মোছা. জাকিয়া সুলতানা বলেন, “ আমরা জানতে পারি যে আলী হোসেন একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী। তিনি বইগুলো বিপ্লব নামের আরেক ভাঙারি ব্যবসায়ীরর কাছে কেনেন। বিপ্লবকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন যে বইগুলো তিনি আব্দুর রহমান নামে আরেক ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে কিনেছেন। তবে আব্দুর রহমান বইগুলো কোথায় পেয়েছেন তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। সরকারী বই বাজারে কীভাবে এলো তা এখন জানার বিষয়। আলী হোসেন যেহেতু অন্য মানুষের কাছ থেকে বই কিনেছেন। এছাড়াও তার সামাজিক অবস্থান দেখে মনে হয়নি সে এসব জেনেশুনে করেছে। তাই শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। “
তিনি জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন বইয়ের গুদামের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. সেলিম মালিক বলেন, “ ইউএনও স্যার এসেছিলেন। তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বইগুলো শিক্ষা অফিসের জিম্মায় আছে। “