মো: আবু তৈয়ব
হাটহাজারী- চট্টগ্রাম- প্রতিনিধ।।
হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ (রাহ.) এর পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে কাটিরহাট ধলই শাহী দরবার শরীফে হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ কমিউনিটি সেন্টারে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার -৮ অক্টোবর- সন্ধ্যায় আলহাজ্ব এজহার মিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মোঃ এনামুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. শেখ সাইদি- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মেজবাউল করিম।
উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক সময় কাগজের চট্টগ্রামের বার্তা প্রধান ও ২৪ ঘন্টা নিউজের সম্পাদক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা।
সেমিনার স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহ্ জাহান শাহ্ মাজার পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী- সেমিনারে মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা সিব্বির আহমেদ ওসমানী।
হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ (রাহ.) মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ সাজিদ এর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ও নাতে রাসুল (সা:) তেলওয়াতের মাধ্যমে সেমিনারের আলোচনা শুরু হয়।
সেমিনারে আলোচকরা বাংলাদেশে সুফিসাধক ও হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ (রাহ.) এর জীবনীগ্রন্থনিয়ে আলোচনা করেন আলোচকেরা বলেন আমাদের আল্লাহর অলি সুফিসাধদের সম্মান করতে হবে তাদের জীবনীগ্রন্থ গুলো পড়ে তাদের মতো জীবন কে সাজাতে হবে।
সেমিনারে বাংলার সুফিসাধক ও হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ (রাহ.) এর প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ।
হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ (রা:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী : জানা যায়- খ্রিষ্টীয় পঞ্জদশ শতকের গোড়ার দিকে আরকান রাজা কর্তৃক চট্টগ্রাম দখলের এ সময়কালের সাথে হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ ( রহ.) চট্টগ্রাম আগমনের সময়কালটি অনেকটাই সমসাময়িক বলে মনে হয়। কারণ ধলই দরবার শরীফের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় – এই মাজার শরীফ সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে ধলই দরবার শরীফ কমপ্লেক্সের সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী উল্লেখ করেছেন- আমাদের পূর্বপুরুষগণ মাজার শরীফ প্রশস্ত ও মেরামত করার সময় একটি শিলালিপি পেয়েছিলেন। তাঁর শিলালিপিটি গবেষণা করে তার ওফাত দিবস নির্ধারণ করেছেন। এই সুত্র ধরে ২০শে মাঘ, ১৪২ বাংলা, মোতাবেক ২রা ফেব্রুয়ারী- ২০০৬ ইং তারিখে তাঁর ৫০০তম ওফাত বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ ( রাহ.)এর ওফাত দিবস হচ্ছে -২য় ফেব্রুয়ারী ১৫০৬ইং, মোতাবেক ২০শে মাঘ,৯১২ বাংলা সন।মাজার শরীফটি সংস্কারের সময় সেখানে যে শিলালিপিটি পাওয়া যায় তাতে মগী ভাষায় সন- তারিখ লিখা ছিল। উল্লেখ, উত্ত সংস্কারের কাজের সময় মাজার সন্নিহিত অপর একটি কবরের কিছু মাটি খুঁড়া হয়ে যায়। এতে কবরের অভ্যন্তরে একজন সদ্য সমাহিত লাশের মত ধবধবে সাদা কাফন ও একটা “আসা” বা লাঠি দেখা যায়। এগুলো থেকে সুগন্ধি বের হতে থাকে বলে নির্ভযোগ্য সুত্রে জানা যায়- সূত্র :- বাংলা সুফিসাধক ও হযরত শাহ্ জাহান শাহ্ এর প্রবন্ধ)
পবিত্র খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে সকাল ৯ টায় খতমে কুরআন ও নাতে মোস্তফা (দঃ) পরিবেশন মাজার শরীফ গোসল- গিলাফ চড়ানো পুষ্প প্রধান- জিয়ারত ও মিলাদ শরীফ- বাদে মাগরিব আলোচনা সভা- রাত ১১ টায় আখেরি মোনাজাত ও তাবারুক বিতরণ করা হয়।