
তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল, বিশেষ প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতর আগে ও পরে বেশ কয়েকদিন ধরে লালমনিরহাট শহর ও অন্যান্য এলাকায় যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর এই ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন লালমনিরহাটবাসী।
সাধারণ জনগণ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করতে লালমনিরহাট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারের নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার -৩ এপ্রিল- দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকায় সেনাবাহিনীর জোরদার টহল লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের কারণে মানুষের যাতায়াত বেড়েছে তাই সড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত যানজট যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্যই জোর তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। অন্যদিকে মহাসড়কে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাস পাচ্ছে ।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও যানবাহনের চাপ বেশী এমন সড়কগুলোতে সেনাসদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।
দায়িত্বে নিয়োজিত সেনা সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদে তারা স্বজনদের চেয়ে দেশকে বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন। কারণ তাদের কাছে দায়িত্ব ও দেশ সবকিছুর উর্দ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সেনা সদস্য বলেন, “আমরা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের ঈদ উদযাপন যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লালমনিরহাট শহরের মদিনা পাড়া এলাকার বাসিন্দা রাশেদ রহমান বলেন, “ আমাদের সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যই পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারছেন না। অথচ আমাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। তাদের এই ত্যাগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
মিশন মোড়ের অটোরিকশা চালক হাফিজ উদ্দিন বলেন, “যাত্রী পেতে গেলে আমাদের এক জায়গায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এবার সেটা পারছিনা। তবে আমার মতে এমন ব্যবস্থা থাকা ভাল। কারণ এতে অযথা রাস্তা দখল করে কেউ দাঁড়াতে পারছেন না। ফলে যানজটও হচ্ছে না।