মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন।
সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসএমএমইউ এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান।
১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে অসুস্থ অনুভব করলে সাঈদীকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে বুকে ব্যাথা হলে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে রোববার ১৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন ।
হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির। ওই সহিংসতায় প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন।
এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।
যুদ্ধাপরাধী সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে দেয়া রায়ে তার সাজা কমিয়ে দেয় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এই সাবেক নায়েবে আমির।