
মো.ইমরান হোসেন,
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি।।
গাজীপুরে মাদকাসক্ত ছেলে আশরাফুল আলমের (৩৩) নানা অত্যাচার, নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকীতে পিতা-মাতা দিশেহারা। জীবন বাঁচাতে ছেলের কিনে আনা চাপাতি দিয়েই গলা কেটে হত্যা করেন পাষণ্ড বাবা। অবশেষে মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যার ঘটনায় ওমর ফারুক ওরফে সবুজ (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার (৭ মে) রাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানাধীন কান্দুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মোহনগঞ্জ থানার কানুহারী এলাকার মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়ারচালা উত্তর পাড়া ওমর ফারুক ওরফে সবুজ সপরিবারে ভাড়া থাকতেন । তার বড় ছেলে আশরাফুল আলম (৩৩) একজন উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক। তিনি সাত-আটটি বিয়ে করেছেন। সব সময় নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে বাসায় এসে পুনরায় নেশার জন্য মা-বাবার কাছে টাকা দাবি করতেন। না দিলে বাবা-মাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
ঘটনার দিন ৫ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছেলে আশরাফুল আলম স্থানীয় বাজার থেকে একটি ধারালো চাপাতি কিনে আনেন। বাসায় এসে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য তার বাবার কাছে ৭ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে না চাইলে চাপাতি দিয়ে মা ও বাবাকে খুন করার হুমকি দেন। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্ত্রীকে ডেকে ছেলেকে চাপাতি দিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা দিলুয়ারা আক্তার ওরফে আঙ্গুরা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সবুজকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই -এর পরিদর্শক মো.হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।