মো. ইমরান হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর মৌচাক সফিপুরে বিশাল আনন্দ মিছিলে গিয়ে আয়াতুল্লাহ -১৯- নিখোঁজ হয়। এগারো দিন পর রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আয়াতুল্লাহর লাশের সন্ধান মিলেছে। নিহত আয়াতুল্লাহ -১৯- সুনাম গঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার জলুসা গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের পুত্র। সে কালিয়াকৈরের জামতলা এলাকায় বড় ভাইয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে ভান্নারা একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি কারখানায় চাকরি করতো।
পারিবারিক সূত্রে জানযায়- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর ৫ আগষ্ট মৌচাক এলাকায় এক বিশাল আনন্দ মিছিলে আয়াতুল্লাহ ও বড় ভাই মো. সোহাগ মিয়া যোগ দেয়। মিছিলটি ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের মৌচাক থেকে সফিপুর আনসার একাডেমি এলাকায় পৌছিলে বিক্ষুব্ধ জনতার একটি দল জোরপূর্বক একাডেমির ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এসময় আনসার বাহিনী ও জনতার মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া একপর্যায়ে আত্ম রক্ষার্থে আনসার সদস্যরা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু মানুষ আহত ও কয়েক জন নিহত হয়। ওইদিন থেকেই আয়াতুল্লাহ নিখোঁজ হয়। তখন থেকেই তাকে গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতলে ও মর্গে অনেক খোঁজ করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আয়াতুল্লাহর বড় ভাই মো. সোহাগ মিয়া ১৬ -০৮- ২০২৪ ইং তারিখে কালিয়াকৈর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। অবশেষে অনেক খোঁজাখুজির পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থেকে আয়াতুল্লাহর মরদেহের সন্ধান পায়। এব্যাপারে শেরেবাংলা নগর থানার এস- আই মবিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- প্রাথমিক ভাবে নিহতের পরিবার মরদেহের সনাক্ত করেছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের দুলাভাই মো.মামুন মিয়া জানান- আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শহীদ আয়াতুল্লার লাশ শনিবার -১৭ আগষ্ট- রাত ১২ টার পর দু’বার জানাজা শেষে সুনাম গঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার জলুসা নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।