Dhaka , Sunday, 27 July 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
এলএলবি ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন কক্সবাজার আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম বিএন”পি পালিয়ে যাওয়ার দল নয়- রক্ত ঝরাইছি তবুও হাসিনার সাথে আপোষ করি নাই “শহিদুল ইসলাম বাবুল। মধুপুরে  উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে এসইডিপি পুরস্কার বিতরণ জাতির প্রত্যেকটি প্রয়োজন ও দূর্যোগ মোকাবিলায় শহীদ জিয়া সবসময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ———– কাজী মনিরুজ্জামান মনির রূপগঞ্জে এলাকাবাসীর চাপে মুচলেকা দিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার ৭ মাদক ব্যবসায়ীর ‎মির্জাপুরে ছেলের হাতে মা খুন; আটক ছেলে ইউনুস মন্ডল বেতাগীতে আগুনে পুড়ে তিন বসতঘর ছাই-দিলেন অর্থিক অনুধান চরভদ্রাসনে জামায়েত ইসলামের সরোওয়ার হোসেনের গণসংযোগ। রূপগঞ্জে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ্য রামগঞ্জের পাউবোর  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দেশসেরার স্বীকৃতি গ্রহণ করলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন  মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল নোয়াখালীতে পুকুরের পানিতে ভাসছিল নারীর মরদেহ আত্ম-নিয়ন্ত্রণ: ক্ষণিকের ভুলে দীর্ঘস্থায়ী আক্ষেপ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলো এখন পারস্পরিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে মাদক কারবারীকে যাবজ্জীবন: পুলিশের কঠোর অবস্থানের প্রমাণ কালিয়াকৈরে বোয়ালী বিএনপির হিন্দু সমর্থকদের আলোচনা সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত  কানাডা সফর শেষে চট্টগ্রাম ফিরলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মধুপুরে যুবককে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত- মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি লিজা, সম্পাদক তাসলিমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রূপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্রসহ দুই ডাকাত গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জর রূপগঞ্জে রাসায়নিক পদার্থ বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (৩৫), মো. রোমান (২০) ও মো. রাব্বানী (৩৫)। রামগঞ্জের পাউবোর  অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ রামগঞ্জে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা  মাইলস্টোন  কলেজের  নিহত ও  আহতদের স্মরণে রামগঞ্জে দোয়া অনুষ্ঠিত   মাহেরিন চৌধুরীর সমাধিতে বিমান বাহিনী ও জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা  শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমান বাহিনী ও ডিসি-এসপির শ্রদ্ধা  সিলেটে বিজিবি গত এক মাসে ৪৬ কোটি ও ২৪ ঘণ্টায় ৪ কেটি টাকার চোরাচালান জব্দ করেছে  নগরীর পাঁচলাইশ থানার খুনসহ ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার  নামেই ২৫০ শয্যা, জনবল ১০০ শয্যারও কম: চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল

মাছের আঁশে জীবনের আশা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:50:42 am, Tuesday, 15 March 2022
  • 368 বার পড়া হয়েছে

মাছের আঁশে জীবনের আশা

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।।

মাছ কাঁটার পর যে আঁশ ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে, তার থেকেই তৈরি হচ্ছে অপরূপ সব হস্তশিল্প। বানানো হচ্ছে গয়না, মনীষী এবং দেবদেবীর মূর্তি। এই সব শৌখিন কাজ স্থান পাচ্ছে মানুষের সাজে পোশাকে, ড্রয়িং রুমেও। তাই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এসব পণ্য। ফলে মাছের ফেলে দেয়া আঁশে জীবনের আশা খুঁজে পেয়েছেন নীলফামারী সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজপাড়ার কয়েকটি জেলে পরিবার।

অমল চন্দ্র দাস, উষা রানী ও নমিতা রানী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকার আশঁ ব্যবসায়ী বিধান চন্দ্র রায়ের সাথে পরিচয় হয়। তার পরামর্শে মাছের আশঁগুলো ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে জমা করা শুরু করি। প্রথম প্রথম এ কাজে খুবই বিরক্ত হতাম। দুই মন জমানোর পর তাঁকে ফোন করি আঁশগুলো নেওয়ার জন্য। ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে ৭ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করি। ফেলনা জিনিস দিয়ে এত টাকা হাতে পেয়ে আমারসহ আশা-পাশের পরিবারের আগ্রহ বাড়ে। এখন গ্রামের প্রায় ১২টি পরিবারের এ কাজ করেন। মহামারি করোনার সময়ও আমাদের এ ব্যবসা ভালো ছিল। মাসে দুই একবার ঢাকা থেকে মহাজন এসে সব আঁশ নিয়ে যায়। এতে বাড়তি উপার্জনের সুন্দর একটা সুযোগ তৈরী হয়েছে। এই আয় দিয়ে সংসারের প্রয়োজন মিটিয়েও সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে। আগের অভাব অনটন কাটিয়ে সুখের মুখ দেখতে পাচ্ছি।

সবুজ চন্দ্র দাস নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রথমে এলাকার মানুষ আমাকে অন্য চোখে দেখত। ঘৃণা করত। বলত যেই মাছের আঁশ আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই সেগুলো সে বাড়ি এনে শুকায়। এখন স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা বেশি তাই এখন অনেকেই এই পেশায় আগ্রহী হতে শুরু করেছে। তাই আমরা আশা করছি পাড়ার অন্যদেরও এই কাজে নিয়জিত করে সৈয়দপুরের বাইরের অন্য উপজেলার হাট বাজার থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করবো।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, মাছের আঁশ সংগ্রহ করে শুকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবসাটি আরো লাভজনক হলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।

 

 

 

ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

এলএলবি ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন কক্সবাজার আইনজীবী সহকারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম

মাছের আঁশে জীবনের আশা

আপডেট সময় : 02:50:42 am, Tuesday, 15 March 2022

আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।।

মাছ কাঁটার পর যে আঁশ ফেলে দেওয়া হয় ডাস্টবিনে, তার থেকেই তৈরি হচ্ছে অপরূপ সব হস্তশিল্প। বানানো হচ্ছে গয়না, মনীষী এবং দেবদেবীর মূর্তি। এই সব শৌখিন কাজ স্থান পাচ্ছে মানুষের সাজে পোশাকে, ড্রয়িং রুমেও। তাই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এসব পণ্য। ফলে মাছের ফেলে দেয়া আঁশে জীবনের আশা খুঁজে পেয়েছেন নীলফামারী সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজপাড়ার কয়েকটি জেলে পরিবার।

অমল চন্দ্র দাস, উষা রানী ও নমিতা রানী জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ঢাকার আশঁ ব্যবসায়ী বিধান চন্দ্র রায়ের সাথে পরিচয় হয়। তার পরামর্শে মাছের আশঁগুলো ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে জমা করা শুরু করি। প্রথম প্রথম এ কাজে খুবই বিরক্ত হতাম। দুই মন জমানোর পর তাঁকে ফোন করি আঁশগুলো নেওয়ার জন্য। ৩ হাজার ৬০০ টাকা দরে ৭ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করি। ফেলনা জিনিস দিয়ে এত টাকা হাতে পেয়ে আমারসহ আশা-পাশের পরিবারের আগ্রহ বাড়ে। এখন গ্রামের প্রায় ১২টি পরিবারের এ কাজ করেন। মহামারি করোনার সময়ও আমাদের এ ব্যবসা ভালো ছিল। মাসে দুই একবার ঢাকা থেকে মহাজন এসে সব আঁশ নিয়ে যায়। এতে বাড়তি উপার্জনের সুন্দর একটা সুযোগ তৈরী হয়েছে। এই আয় দিয়ে সংসারের প্রয়োজন মিটিয়েও সঞ্চয় করা সম্ভব হচ্ছে। আগের অভাব অনটন কাটিয়ে সুখের মুখ দেখতে পাচ্ছি।

সবুজ চন্দ্র দাস নামে আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রথমে এলাকার মানুষ আমাকে অন্য চোখে দেখত। ঘৃণা করত। বলত যেই মাছের আঁশ আমরা ডাস্টবিনে ফেলে দেই সেগুলো সে বাড়ি এনে শুকায়। এখন স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা বেশি তাই এখন অনেকেই এই পেশায় আগ্রহী হতে শুরু করেছে। তাই আমরা আশা করছি পাড়ার অন্যদেরও এই কাজে নিয়জিত করে সৈয়দপুরের বাইরের অন্য উপজেলার হাট বাজার থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করবো।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, মাছের আঁশ সংগ্রহ করে শুকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। ব্যবসাটি আরো লাভজনক হলে আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।