বরিশাল ব্যুরো ।।
১৭ বছর সৌদি আরবের আলরাজি হাসপাতালে স্টাফ নার্র্স হিসেবে চাকরি করা নমিতা রানী রায়কে (৪৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের সজল হালদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার নমিতা রানী রায়কে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে তাদের (স্বজন) না জানিয়ে গোপনে নমিতার লাশ দাহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পটুয়াখালীর বাউফলের নগেনচন্দ্রর পুত্র অসিম কুমার অভিযোগ করেন, জলিরপাড় গ্রামের নগেন্দ্রনাথ হালদারের পুত্র সজল হালদারের সাথে তার বোন নমিতা রানী রায়ের সামাজিকভাবে ২৫বছর পূর্বে বিবাহ হয়। নমিতা রানী রায় একজন নার্স। জীবিকার তাগিদে পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য তিনি (নমিতা) সৌদি আরবের আলরাজি হাসপাতালে ১৭ বছর স্টাফ নার্র্স হিসেবে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি সময়ে সে (নমিতা) দেশে ফিরে আসেন।
অসিম কুমার আরও অভিযোগ করেন, তার বোন প্রবাসে যে টাকা আয় করেছেন তা তার স্বামী সজল আত্মসাত করে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। পরবর্তীতে নমিতাকে মঙ্গলবার রাতে সজল হালদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এমনকি আমাদের কিছু না জানিয়ে রাতেই বোনের লাশের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সুধীর বাড়ৈ বলেন, নমিতা মারা গেছে সে বিষয়ে গ্রামের কেউ কিছুই জানেন না। গ্রামবাসীদের না জানিয়ে নমিতার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সজল হালদার আত্মগোপন করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনও থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, নমিতার চাকরি জীবনের সব উপার্জন আত্মসাত করে স্বামী সজল হালদার আগৈলঝাড়ার সীমান্তবর্তী রাজাপুর এলাকায় তিন তলা ভবন নির্মান করে এনআর ক্লিনিক, দুইটি ওষুধের ফার্মেসিসহ নিজের নামে অঢেল সম্পত্তি ক্রয় করেছেন।