এম এইচ হৃদয় খান গাজীপুর।।
গাজীপুরে শ্রীপুর পৌর ৪ নং ওয়ার্ড ভাংনাহাটি এলাকায় মেঘনা গ্রুপের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস -বাটন- কারখানার আগুনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই বাটন তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে মৃতের সংখ্যা ব দাঁড়িয়েছে ৩ জন।
২৩ ডিসেম্বর -সোমবার- সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- জয়নাল আবেদীন মন্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেঘনা গ্রুপের এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস নামের বাটন তৈরির কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক -প্রোডাকশন ম্যানেজার- আবদুর রহমান দৈনিক আজকের বাংলা প্রতিবেদক এম এইচ হৃদয় খান কে বলেন- নিহত প্রত্যেকেই রং মিস্ত্রি। তারা কারখানার ভেতরে রংয়ের কাজ করছিলেন। রবিবার মধ্যাহ্নবিরতির সময় সবাই চলে গেলেও তারা কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ দক্ষিণ পাশের ওয়েস্টেজ কেমিক্যাল গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা পশ্চিম পাশের ওয়েস্টেজ গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। তবে কারখানার ভেতর রং মিস্ত্রিরা কাজ করার সময় কেমিক্যাল ভর্তি কয়েকটি ড্রাম বিস্ফোরণ হলে এতে তারা মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক -ডিডি- মামুন বলেন- অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় এখনও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। কেমিক্যালের ড্রাম বিস্ফোরণ হওয়ায় আশপাশের পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। পাশেই উৎপাদন শেডে ১২০টির মতো কেমিক্যালের ড্রাম ছিল। আমাদের ফায়ার ফাইটার ও স্থানীয়দের সহায়তায় ওই ড্রামগুলো বাইরে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে পেরেছি। তা না হলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতো। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছি ওয়েস্টেজ কেমিক্যালের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান- নিহতদের স্বজন বা পরিবারের লোকজন অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি এবং তদন্ত কমিটি হয়নি।
প্রসঙ্গত- রবিবার দুপুরের দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। মাওনা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি, রাজেন্দ্রপুরের মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের ২টি ও গাজীপুরের ভোগড়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টিসহ মোট ৭টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা করে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।