সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি।।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক-টিআই- মোঃ আবু নাঈম সিদ্দিকীর হাতে উম্মে রুমা নামে এক নারী সংবাদকর্মী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী সংবাদকর্মী এ বিষয়ে টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গত ৫-১১-২০২৪ তারিখ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে ওসি আল মামুনের কাছে ঘটনা খুলে বলে টিআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাইলে ওসি আল মামুন অভিযোগ গ্রহনে করতে করতে রাজি হননি তবে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন ভুক্তভোগীকে। এক পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন। অভিযোগ দেওয়ার পর ১১ দিন অতিবাহিত হলেও এ বিষয়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী হতাশ হয়েছেন। আড়লের চোখ নামে একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলের চীফ রিপোর্টার উম্মে রুমা গত ৫ নভেম্বর হাইওয়ের শিমরাইল এলাকায় গিয়ে হাইওয়ে পুলিশের টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকীর সাথে সাক্ষাত করেন। বিভিন্ন যানবাহনের মালিক ও চালকরা টিআইর বৈষাম্যের শিকার হচ্ছেন এসব কথা জানতে চাওয়ায় টিআই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। মারমুখী আচরন করতে থাকেন। মহাসড়কজুড়ে দোকানপাট বসিয়েছেন টিআই এবং কিছু গন পরিবহনে মামলা দিয়ে তাদেরকে পুলিশ ক্যাম্পে ডেকে মাসিক চুক্তি করেন আর মামলা দিবেনা এই শর্তে এবং তার নিয়োজিত সোর্সের মাধ্যমে শত শত ইজিবাইক মাসিক চুক্তিতে চলাচলের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
এসব বিষয়ে টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকীকে প্রশ্ন করতেই ওই নারী সংবাদকর্মীকে ধাক্কা দেয় এবং তার হাতে থাকা টিভির বোম এবং মোবাইলেও হাত দেয়। অশ্লীল ভাষায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করেন টিআই। শত শত মানুষের সামনে টিআইর অসভ্যতা দেখে টিআইকে ফ্যাসিবাদীদের সদস্য আখ্যা দেয় মানুষজন। টিআই ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করেন এ সময় সে বলতে থাকে দীপ্ত টিভির সাংবাদিককে মেরে ফেলেছে তাতে কি হয়েছে কত সাংবাদিক দেখলাম বলে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে সংবাদকর্মীকে দেখে নেওয়ারও হুমকি প্রদান করেন টিআই।
স্থানীয়রা বলেন- টিআই হাইওয়ে পুলিশের কাচপুরে ছিল সেখান থেকে আগষ্ট মাসের শেষের দিকে হাইওয়ে পুলিশের একই থানাধীন শিমরাইল ক্যাম্পে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। টিআই হুংকার দিয়ে বলেন হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রিজিয়নের ওই সময়ের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে ২০ লাখ টাকা দিয়ে শিমরাইল ক্যাম্পে যোগদান করেছি তাই আমার টাকা উঠাতে হবে আগে।
ভুক্তভোগী সংবাদকর্মী উম্মে রুমা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে টিআই আবু নাঈম সিদ্দিকী আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে চাইছেন তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রুপ প্রকাশ করেছেন একজন নারী সংবাদকর্মীকে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে। সিদ্ধিরগঞ্জের সাংবাদিক মহল টিআইর এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যপারেও সজাগ থাকার আহবান জানান সাংবাদিকরা। ভুক্তভোগী নারী সংবাদকর্মী বলেন এ ঘটনা হাইওয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও অবগত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ফ্যাসিবাদী এই টিআইকে আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।