মেহেরপুর প্রতিনিধি।।
মেহেরপুর র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন -র্যাব-১২- ও র্যাব-৬- সদর কোম্পানী- ভাটিয়াপাড়া- গোপালগঞ্জের যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামী মহিবুল হক -৬০- কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত মহিবুল হক মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে।
শুক্রবার -১ নভেম্বর- সকালে গ্রেফতারকৃত আসামী মহিবুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের নিমিত্তে তাকে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর পূর্বে গত ৩১ অক্টোবর রাত ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার বেসপুর ২০ শয্যা হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মহিবুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব সদস্যরা।
শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে র্যাব-১২- সিপিসি-৩- মেহেরপুরের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউল্লাহ- পিপিএম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান- গাংনী উপজেলার বাওট এলাকার ভিকটিম নাহারুল ইসলাম -৫০- এর সাথে ধৃত আসামীর দীর্ঘ দিন ধরে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে। সেই সূত্র ধরে গত ৬ আগস্ট-২০২৪ রাত ৯ টার দিকে ধৃত আসামী মহিবুলসহ এজাহারনামীয় আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভিকটিমের বাড়ি যায় এবং ভিকটিমকে গালি-গালাজ করে। এসময় গালি-গালাজ করতে নিষেধ করলে ধৃত আসামীসহ এজাহারনামীয় আসামীগণ ভিকটিমকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দেয় ও মাথায় আঘাত করে মাথার খাপড়ি ভেঙ্গে গুরুত্বর জখম করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় নাহারুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদি হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন- যার নং-০৮- তারিখ ০৭- ০৮- ২০২৪ ধারা ১৪৩- ১৪৮- ১৪৯- ৪৪৭- ৩২৩- ৩২৫- ৩২৬-৩০৭-৩০২-১১৪-৫০৬ -২- পেনাল কোড-১৮৬০।
উক্ত ঘটনার পর হতেই র্যাব আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। যার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২- সিপিসি-৩- মেহেরপুর ও র্যাব-৬- সদর কোম্পানী- ভাটিয়াপাড়ার যৌথ অপারেশনে গোপালগঞ্জের বেসপুর হাসপাতালের নার্স কোয়ার্টারে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মহিবুল হককে গ্রেফতার করে গাংনী থানায় হস্তান্তর করেন।