Dhaka , Saturday, 21 December 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেল তথ্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের।। শেখ হাসিনা লক্ষ্মণ সেনের মত পালিয়ে গেছে ব্যারিস্টার সালাম।। ককসবাজারে দিনব্যাপী শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত।। কক্সবাজারের প্রেমিক যুগলের ইয়াবা পাচার পটিয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা।। পাবনায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত ২।। নীলফামারীতে বন বিভাগের বাগান থেকে দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।। পাবনা স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন মূল আসামি আটক।। লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ- আহত ১৫সব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা।। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তরঙ্গ সমাজ কল্যাণ সংস্থা আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী।। সা’দ পন্থিদের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ। সুন্দরগঞ্জের দূর্গম চরে শীতবস্ত্র বিতরণ।। চট্টগ্রামে স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে উপদেষ্টার পিএস’র হস্তক্ষেপের অভিযোগ।। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় ফেয়ার মিশনের আয়োজনে মাদক বিরোধী র‌্যালী ও আলোচনা সভা।। জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির।। সোনাইমুড়ীতে হোসেনপুর ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন।। ১৫ বছরের অবরুদ্ধ সাংবাদিকতার অবসান ঘটেছে- ফয়েজ আহম্মদ।। ভারত বাংলাদেশ থেকে লাথি খেয়ে চলে গেছে বাকা চোখে তাকালে চোখ তুলে ফেলব- ইসহাক খন্দকার।। উখিয়ায় প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে ইউপি সদস্য।। ২৯০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-গুলশান।। সংঘর্ষ নয় অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সাদপন্থীরা- মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।। সংবাদপত্র, মিডিয়াকে মাফিয়া ফ্যাসিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা করে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়া প্রয়োজন।। চাকা পাংচার হয়ে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু।। হেফাজতের হাটহাজারী শাখার কর্মী সম্মেলন সম্পন্ন।। একুশে পাঠচক্রের নিয়মিত আসর অনুষ্ঠিত।। পাইকগাছায় শেখ ইমাম উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত।। রূপগঞ্জে কর্মহীন যুবদের আত্মকর্মসংস্থানে আয়বর্ধকমূলক প্রশিক্ষণ।। রাজশাহীতে চলছে বই মেলা।। সদরপুরে আব্দুল কাদের মোল্লার জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।। লক্ষ্মীপুরে মাকে বেঁধে রেখে তরুণীকে ধর্ষণায় ঘটনায় ২ ধর্ষক গ্রেফতার।। মানুষের স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচার বার বার লঙ্ঘিত হয়েছে-মোস্তফা কামাল।।

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন আহত।।

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 02:00:24 pm, Sunday, 29 September 2024
  • 56 বার পড়া হয়েছে

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন  আহত।।

মোঃ আব্দুল আল খান
কেন্দুয়া -নেত্রকোনা।।
চোরাই গরু সন্দেহে প্রতিবাদের জের ধরে কেন্দুয়া উপজেলার ৬নং সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা ও সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের 
লোকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে ও শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজার ও সাহিতপুর গ্রামে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তার মেয়ের জামাই পিপুল- পেড়ী গ্রামের সিরাজের মামাতো ভাই রাইছুন ও সান্দিকোনা গ্রামের তার বড় 
বোন রেজিয়া আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে চেংজানা গ্রামের শাহিন- নবালী-
মিলন, হৃদয়, সোহেল ও রাসেলকেও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য 
কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গেলে সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা ঋতু আক্তার জানান, আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গরু নিয়ে একটি ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা ও 
সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের লোকদের মধ্যে মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে চেংজানা গ্রামের শাহিন আহত হয়। এরই জের ধরে 
রোববার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে চেংজানা গ্রামের ৪/৫শ লোক বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে 
হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আমার বাবা সিরাজুল ইসলামকে বাঁচানোর জন্য আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই কিন্তু চেংজানা 
গ্রামের লোকজন বসত ঘরের এক পাশের টিনের বেড়া কেটে ঘরে 
প্রবেশ করে আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা নারীদের গায়েও 
হাত তুলে। ঘরের মধ্যে সুকেস থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার এবং গোয়াল ঘর থেকে ৫টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। হামলা কারীরা 
সাহিতপুর গ্রামের আরোও ৩টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঋতু আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এদিকে চেংজানা গ্রামের সোহেল মিয়া (সাহিতপুর বাজারের ইজারাদার জানান ৯টি চোরাই গরু সন্দেহে আমরা প্রতিবাদ 
করেছি। গরুগুলো বাজারে উঠালেও ক্রয়, বিক্রয়ের কোন রশিদ ছিলনা। পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়ার বাড়িতে এই গরুগুলি নিয়ে যায়। এর 
প্রতিবাদ জানালে সাহিতপুর ও পেড়ী গ্রামের লোকজন এক হয়েশনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা গ্রাম বাসীর উপর 
অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল হেকিমের ছেলে শাহিন মিয়া 
গুরুতর আহত হয়। আমরা বাজার থেকে দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচি। রাতে এ ঘটনা সারাগ্রামে জানাজানি হলে রোববার সকালেই দুই 
গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চেংজানা গ্রামের সামছু মিয়া বলেন- সাহিতপুর গ্রামে সিরাজ বা অন্য কারোও বাড়িতে আমরা 
কোন হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করিনি। তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। 
তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের ঘর ভেঙ্গে আমাদেরকে দায়ী করছেন। 
আমরাও এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সাহিতপুর বাজারের 
ব্যবসায়ীরা জানান, রোববার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে 
সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 
সেনাসদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাদিস মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে 
নিয়ে আসলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কেন্দুয়া 
থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি- মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় 
এখনও কোন মামলা হয়নি বা কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আইন 
শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের টহল 
চলছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেল তথ্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের।।

গরু নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দু’দফা সংঘর্ষে ২০ জন আহত।।

আপডেট সময় : 02:00:24 pm, Sunday, 29 September 2024
মোঃ আব্দুল আল খান
কেন্দুয়া -নেত্রকোনা।।
চোরাই গরু সন্দেহে প্রতিবাদের জের ধরে কেন্দুয়া উপজেলার ৬নং সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেংজানা ও সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের 
লোকদের মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে ও শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজার ও সাহিতপুর গ্রামে। সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তার মেয়ের জামাই পিপুল- পেড়ী গ্রামের সিরাজের মামাতো ভাই রাইছুন ও সান্দিকোনা গ্রামের তার বড় 
বোন রেজিয়া আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে চেংজানা গ্রামের শাহিন- নবালী-
মিলন, হৃদয়, সোহেল ও রাসেলকেও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য 
কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার বিকেলে সরেজমিনে গেলে সাহিতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা ঋতু আক্তার জানান, আমি বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। গরু নিয়ে একটি ঘটনার জের ধরে শনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা ও 
সাহিতপুর পেড়ী গ্রামের লোকদের মধ্যে মারামারি হয়। শুনেছি মারামারিতে চেংজানা গ্রামের শাহিন আহত হয়। এরই জের ধরে 
রোববার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে চেংজানা গ্রামের ৪/৫শ লোক বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে 
হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আমার বাবা সিরাজুল ইসলামকে বাঁচানোর জন্য আমরা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই কিন্তু চেংজানা 
গ্রামের লোকজন বসত ঘরের এক পাশের টিনের বেড়া কেটে ঘরে 
প্রবেশ করে আমার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা নারীদের গায়েও 
হাত তুলে। ঘরের মধ্যে সুকেস থেকে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার এবং গোয়াল ঘর থেকে ৫টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। হামলা কারীরা 
সাহিতপুর গ্রামের আরোও ৩টি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঋতু আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। এদিকে চেংজানা গ্রামের সোহেল মিয়া (সাহিতপুর বাজারের ইজারাদার জানান ৯টি চোরাই গরু সন্দেহে আমরা প্রতিবাদ 
করেছি। গরুগুলো বাজারে উঠালেও ক্রয়, বিক্রয়ের কোন রশিদ ছিলনা। পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়ার বাড়িতে এই গরুগুলি নিয়ে যায়। এর 
প্রতিবাদ জানালে সাহিতপুর ও পেড়ী গ্রামের লোকজন এক হয়েশনিবার রাতে সাহিতপুর বাজারে চেংজানা গ্রাম বাসীর উপর 
অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল হেকিমের ছেলে শাহিন মিয়া 
গুরুতর আহত হয়। আমরা বাজার থেকে দৌড়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচি। রাতে এ ঘটনা সারাগ্রামে জানাজানি হলে রোববার সকালেই দুই 
গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চেংজানা গ্রামের সামছু মিয়া বলেন- সাহিতপুর গ্রামে সিরাজ বা অন্য কারোও বাড়িতে আমরা 
কোন হামলা, ভাংচুর, লুটপাট করিনি। তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। 
তিনি বলেন, নিজেরা নিজেদের ঘর ভেঙ্গে আমাদেরকে দায়ী করছেন। 
আমরাও এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। সাহিতপুর বাজারের 
ব্যবসায়ীরা জানান, রোববার দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে 
সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। 
সেনাসদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাদিস মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে 
নিয়ে আসলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । কেন্দুয়া 
থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি- মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় 
এখনও কোন মামলা হয়নি বা কাউকে আটক করা হয়নি। তবে আইন 
শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের টহল 
চলছে।