
রাজধানীতে অর্থ আত্মসাৎ প্রতারনার অভিযোগে দুজনের নামে মামলা করেছেন রূপকথা কন্সট্রাকশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোস্তফা নওশাদ জাকী।
মামলার আসামীরা হলেন, রূপকথা কন্সট্রাকশন লিঃ এর পরিচালক এস এম শামীম ইকবাল ও কেডিএস পলি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিচালক মিসেস হাসিনা ইকবাল।
জানা যায়, ডঃ মোস্তফা নওশাদ জাকী ব্যবসায়িক শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর একজন মেম্বার। এছাড়া বাংলাদেশ আয়ুর্বেদ ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারী সহ দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত এবং ময়মনসিংহ আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল কলেজের দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত ও বাংলাদেশ আয়ুর্বেদ ঔষধ শিল্পের নীতি নির্ধারণ পর্যায়ের নেতৃত্বে আছেন। তার স্ত্রী ডাঃ ফারহানা ফেরদৌসী দোলন গুলশানে ডেন্টাল স্টুডিও নামে স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ডেন্টিস্ট হিসাবে প্রায় ২০ বৎসর যাবৎ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত। মোস্তফা নওশাদের এক বন্ধুর মাধ্যমে অভিযুক্ত শামীম ইকবালের সাথে রূপকথা কন্সট্রাকশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোস্তফা নওশাদ জাকী’র পরিচয় হয়। আসামিরা খুব ধৃত হওয়ায় তাদের সাথে খুব দ্রুত বন্ধুত্বর সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘদিন তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক চলতে থাকে।
ডাঃ নওশাদ জানান, আসামীরা অর্থ আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে আমার সঙ্গে ব্যবসায়ী পার্টনার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে শামীম ইকবাল রূপকথা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহন করেন । কিছুদিন পরে শামীম ইকবাল ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে মোস্তফা নওশাদের কাছে ১ কোটি টাকা লোন চায়। মোস্তফা ব্যবসায়ী বন্ধু হওয়ায় সরলতার বিশ্বাসে প্রথমে ৭৫ লক্ষ ও পরে আরো ১০ লক্ষ টাকা লোন দেয়। মোস্তফা টাকা ফেরৎ চাইলে শামীম ইকবাল একাধিক বার টাকা ফেরৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করলেও টাকা ফেরত দেয় না। এতে মোস্তফার সাথে ইকবালের সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে টাকা ফেরত দিতে চাপ প্রয়োগ করলে ওই দম্পতি মোস্তফা নওশাদের নামে বিভিন্ন গনমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন। সেই সাথে রূপকথা কন্সট্রাকশন লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোস্তফা নওশাদ জাকী’র বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ডাঃ মোস্তফা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে আছেন। ।
ডাঃ মোস্তফা নওশাদ জাকী বলেন, এস এম শামীমকে আমি রূপকথা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক করি। কিন্তু সে ও মিসেস হাসিনা ইকবাল আমার বন্ধুত্বের সরলতা সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে। পাওনা টাকা চাইতে গেলে শামীম একাধিকবার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টালবাহানা করেন। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত না দিয়ে সে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই সাথে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার নামে কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালায়।
পরে ডাঃ মোস্তফা নওশাদ জাকী বাদী হয়ে এস এম শামীম ও মিসেস হাসিনা ইকবালকে আসামী করে আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেন।