পাবনা প্রতিনিধি।।
জাপান-বাংলা পিস ফাউন্ডেশনর নিয়োমিত আয়োজন ‘হিরোশিমা দিবস-২০২৩’-এ ‘সৃজনশীল অভিনেতা’ হিসেবে এবার জাপান বাংলা পিস এ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা শেখ তানভীর আহমেদ।
নাট্য অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় এ পুরস্কারটি দেয়া হয় বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থানরত এই শিল্পীকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশে
নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের ডেপুটি চিপ অব মিশন জনাব মাসিদা তাতসুইয়ার কাছ থেকে অভিনেতার পক্ষে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন ব্ল্যাকফ্লেইম থিয়েটার এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মাওলা নাবলু।
সম্প্রতি ২০২৩ রবিবার সন্ধ্যায় ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স ভবন (আইডিইবি) এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে এ স্মারক সম্মাননা দেয়া হয়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ জনাব ইয়ুজি আন্দো, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ দিলীপ কুমার রায়, ইন্সটিটিউট অব
ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ার্স এর প্রেসিডেন্ট জনাব ইন্জিনিয়ার এ কে এম আব্দুল হামিদ, কুড়িগ্রাম এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রোফেসর ড. এ কে এম জাকির হেসাইন প্রমুখ।
প্রতিবছরের মতো এবারের আয়োজনেও পুরষ্কার প্রদান ছাড়াও অতিথিরা যুদ্ধবিরোধী শান্তি আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে পোষ্টার প্রদর্শনী শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
‘নো মোর হিরোশিমা’, ‘নো মোর নাগাসাকি’, ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’ স্লোগানে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত সেচ্ছাসেবী সংগঠন জাপান-বাংলা পিস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট জনাব হূমায়ুন কবির সুইট জানান যে,
শেখ তানভীর ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে থিয়েটারে তার সৃজনশীলতার ছাপ রেখে চলেছেন। তার সংগঠন ব্ল্যাকফ্লেম থিয়েটার
দেশে এবং বিদেশে দেশীয় সংস্কৃতির নান্দনিকতা ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই এ পুরস্কারের মাধ্যমে তাকে সম্মাননা জানাতে পেরে আমরা নিজেরাও সম্মানিত বোধ করছি।
নিউইয়র্ক থেকে অভিনেতা ও সংগঠক শেখ তানভীর আহমেদ জানান, এ পুরস্কার আমাকে আনন্দিত করেছে আর সেইসাথে আগামীতে ভালো কাজ করতে আরো দায়িত্বশীল করেছে।
আমি এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালইয়েশিয়া, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন ও ভারতে অনুষ্ঠিত নানান আয়োজনে বিভিন্নভাবে বেশ কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আয়োজনে সাফল্যের সাথে অংশগ্রহণ করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছি।
তবে নিজের দেশ বাংলাদেশের যেকোনো সম্মাননা পেলে আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আমেরিকার অন্যতম বিদ্যাপিঠ ট্রাইনি ইউনিভার্সিটিতে বিজনেস এ্যনালাইটিকস
নিয়ে এমবিএ ডিগ্রি পড়তে এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় বাংঙ্গালীদের আয়োজনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তিনি।