Dhaka , Saturday, 28 June 2025
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
বলিউডের ‘কাঁ’টা লাগা’ গার্ল শেফালী জারিওয়ালা আর নেই মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘ’র্ষে লালমনিরহাটে যু’বক নি’হত, আ’হত ১ রামগঞ্জে বিএনপি’র ওয়ার্ড কাউন্সিল অনুষ্ঠিত উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপুরে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা পালিত বাধ্যতামূলকভাবে সিএসআর ফা’ন্ডের একটি নির্দিষ্ট অংশ স্পোর্টসের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্য’য় করার প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে সরকার – – উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ রথযাত্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অং’শগ্র’হণ অসা’ম্প্রদা’য়িক ঐ’তিহ্যে’র প্রতিফলন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাতীবান্ধায় জমির আইল ভে’ঙে যাওয়ার ঘ’টনা’য় বৃ’দ্ধ নি’হত দেশে কাগজের চাহিদা পূরণ করতে কর্ণফুলীসহ পেপার মিলের উন্নয়ন করা হবে – শিল্প উপদেষ্টা ইত্তেহাদুল কুররা’র কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠান ১৩৪ বছরে সিলেটের গর্ব: ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ খাট সরাতে গিয়ে বি’দ্যুৎস্পৃ’ষ্টে স্কুলছাত্রের মৃ’ত্যু   ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে তা’লা! অ’বরু’দ্ধ কর্মকর্তারা ছয় দ’ফাদা’বি বাস্তবায়নের দা’বিতে আ’টঘ’রিয়া’য় স্বা’স্থ্য সহকারিদের “অবস্থান কর্মসূচি” পালন নলছিটিতে গাঁ’জা-ইয়া’বা’সহ যুবক আ’টক, নগদ ৭০ হাজার টা’কা উ’দ্ধার  রূপগঞ্জে স্বা’স্থ্য সহকারীদের ছয় দ’ফা দা’বিতে অবস্থান কর্মসূচি রূপগঞ্জে পারফিসিয়েন্ট টেক্সটাইলে বি’স্ফোরণ, বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষ’য়ক্ষ’তি, আ’হত দুই মোংলায় ৭৭টি যানবাহনে যৌথ বাহিনীর ত’ল্লা’শি নেত্রকোণায় বিশ কেজি গাঁ’জাস’হ মা’দক ব্যবসায়ী গ্রে’ফতার কৃষি উদ্যোক্তা সৃ’ষ্টিতে লালমনিরহাটে পার্টনার কংগ্রেসের সভা লালমনিরহাটে অনূর্ধ্ব ১২ ক্রিকেট কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে গাজীপুর জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় আ’ইনশৃ’ঙ্খলা কমিটি ও উপজেলা প’রিষ’দের মাসিক সভা কলমাকান্দায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরীয়তপুর-১ আসনে এমপি পদে প্রার্থী হতে চান মেহেদী হাসান রফিক চন্দনাইশে যাএীবাহী বাসে অ’ভিযা’ন চালিয়ে ১৪ হাজার পিস ইয়া’বা’সহ গ্রে’ফতা’র -১ রামুর সীমান্তে পা’চারকা’রীরা স’ক্রিয় জ’ড়িত’দের আট’কে তালিকা তৈরি  নোয়াখালীর হাতিয়াতে ছেলের ও’ষুধ কিনতে গিয়ে ন’ছিম’নের ধা’ক্কায় বাবার মৃ’ত্যু পরিবেশের দূ’ষণ রো’ধে প্লা’স্টিক প’লিথি’ন ব’র্জন করতে হবে- ইউএনও শারমিন আক্তার সুমী বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রাজাপুরে বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

গাংনীতে বিধবা সাহেরার দু’মুঠো ভাতের জন্য আহাজরী

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 03:35:45 pm, Sunday, 9 July 2023
  • 128 বার পড়া হয়েছে

গাংনীতে বিধবা সাহেরার দু’মুঠো ভাতের জন্য আহাজরী

মেহেরপুর

জুরাইস ইসলাম।।

পুত্র বধুদের মানষিক নির্যাতন আর মেয়েদের অবহেলা এখন নিত্য দিনের ঘটনা বৃদ্ধা সাহেরা। বাড়ির উঠানে একটি টিনের ছাপড়া ঘরে বৃদ্ধার ঠাঁই মিলেছে। সেখানেই প্রসাব পায়খানা খাওয়া ও গোসলের ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে বাক প্রতিবন্ধী এই সাহেরা ধুকে ধুকে মরছে। সাহেরা খাতুন গাংনীর উপজেলা কল্যাণপুর উত্তর পাড়ার মৃত খেলাফত মÐলের স্ত্রী।
বৃদ্ধা সাহেরা খাতুনের বয়স আশির উর্ধে¦। সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ৫ মেয়ে। সকলেই স্বাবলম্বী। বড় ছেলে হকাজ্জেল কৃষিকাজ করে। মেজ ছেলে তুষার ও ছোট ছেলে হানিফ প্রবাসি। স্বামী গত হয়েছেন ১৭ বছর আগে। সন্তানদের বড় করে তুলতে অনেক কষ্ট জবীনে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। আশা ছিল সন্তানেরা বৃদ্ধ বয়সে কামাই করে খাওয়াবে আর মৃত্যুর সময় সৃষ্টিকর্তার নামটি কানে দিবে। কিন্তু না, তা হয়নি। হতভাগা মায়ের জীবনে নেমে এসেছে সুখের বদলে দুঃখের ঘনঘটা। পাষÐ সন্তানেরা সম্পদ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ মাকে দেখভাল করেন না। স্বামীর রেখে যাওয়া জমির দুই আনা অংশ হিসেবে ৫ কাঠা জমি পান সাহেরা। ওই জমির কিছু অংশ বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা পেলে সাহেরার মেয়ে মেহেন্নীগার। সেই সাথে সুÑকৌশুলে হাতিয়ে নেন মায়ের গলার চেইন ও কানের পাশা।
এদিকে কৌশলে ৫ বোনকে ফাঁকি দিয়ে ৫ কাঠা জমি লিখে নেন তিন ছেলে। মেয়েদের কাছে থাকা অর্থ ও গয়না না পাওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হয় সাহেরাকে। অপরদিকে মেয়েরাও কোন খোঁজ খবর নেন না। সব মিলিয়ে সাহেরার জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। সাহেরাকে ছেলেদের দালান কোঠায় ঠাঁই হয়নি। উঠানের এক কোণে টিনের ছাপড়া ঘরে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানেই প্রসাব পায়খানা খাওয়া ও গোসলের ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই সাহেরা ধুকে ধুকে মরছে। তবে পুত্র বধুরা বলেছেন, বৃদ্ধ আছে বেশ সুখে শান্তিতে।
সাহেরার দেবর হারেজ আলী জানান, সাহেরা খাতুনের স্বামী মারা যাবার পর তিনি নিজেই রান্না বান্না করে খাওয়া দাওয়া করতেন। তার নিজের একটা গাভী ছিল। সেটি বিক্রি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন কাউছার মেম্বরের কাছে। সাহেরা অসুস্থ হবার পর ১০ হাজার টাকা খরচ করে। বাকি টাকা রয়ে যায় মেম্বরের কাছে। আবার বয়স্কভাতা প্রাপ্ত টাকা গুলোও সন্তানেরা ভাগ করে নিয়ে নেয়।
প্রতিবেশি বাবলু জানান, মায়ের ভরন পোষন ও ভাত দেয়ার বিষয়ে তিন ভায়ের মধ্যে সমঝোতা হয়। ১০ দিন করে একেক সন্তান মাকে খাওয়াবে ও যতœ নিবে। অথচ কেউ সঠিকভাবে তা করেন না। যার কাছেই যাক সেখানেই অবহেলার পাত্র তিনি। ঠিক মতো খাবার দেন না। করেন না গোসলের ব্যবস্থা। তবে মেজ ছেলের স্ত্রী রুপিয়া জানান, কোন অবহেলা করা হয় না। সকলেই যতœ নেন কোন অবহেলা নেই। তবে মেয়েরা সম্পদ থেকে বঞ্চিত ও তার গচ্ছিত টাকা হাতিয়ে নিতে না পেরে মাকে দেখভাল করেন না উপরন্ত নানা ধরনের ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে সম্মানহানী করে।
প্রতিবেশি সাজিয়া খাতুন জানান, সন্তানদের কারো কোন অভাব নেই সংসারে। মেয়েরাও বেশ ধনি। টাকা পয়সার কারণে বৃদ্ধ মহিলাটাকে কেউ দেখে না। তিনি আরো জানান, গত শনিবার ছেলে ও মেয়েদের দ্ব›েদ্বর কারণে তাকে রাস্তায় রেখে গেছে। ছেলের বউরা মেয়ের বাড়িতে রেখে আসলে মেয়েরাও বাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদে অবশেষে ছেলের বউরা বাড়িতে নিয়ে যান।
মেজ ছেলের স্ত্রীসহ অন্যান্যরা জানান, যতই আদর যতœ করা হয়, তার পরও বাড়ির পাশে মেয়ে আছে তার কাছে যাওয়া ও দেখার জন্য ছটফট করেন সাহেরা। মেয়েদেরকে খবর দেয়া হলেও তারা কেউ আসে না। এক পর্যায়ে শনিবার মেয়ের বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। সম্পদ না পাওয়ার কারণে মেয়েরা বাড়িতে না রেখে রাস্তায় রেখে যায়। পরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে সাহেরার মেয়ে মেহেন্নীগার জানান, মাকে তার বাড়িতে না, বাড়ির পাশে রেখে যায় ভাবীরা। তারপর তাদের বাড়ির পাশে রেখে আসা হয়। মায়ের জমি জমা ফেরত দিলে তারাও মায়ের সেবা যতœ করবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, মায়ের বিষয় নিয়ে গ্রামে ও কয়েকবার পুলিশ ক্যাম্পে সালিশ হলেও কোন সমঝোতা আসেনি।
এ ব্যাপারে কাউছার মেম্বর জানান, তার কাছে ৪০ হাজার টাকা গচ্ছিত আছে। যে কোন সময় চিকিৎসা বা তার দাফন কাফনে টাকাগুলো লাগতে পারে। তবে মেয়ের কাছে রাখা টাকাগুলো দিচ্ছেন না তারা। সালিশ বৈঠকেও কোন সুরাহা হয়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

বলিউডের ‘কাঁ’টা লাগা’ গার্ল শেফালী জারিওয়ালা আর নেই

গাংনীতে বিধবা সাহেরার দু’মুঠো ভাতের জন্য আহাজরী

আপডেট সময় : 03:35:45 pm, Sunday, 9 July 2023

মেহেরপুর

জুরাইস ইসলাম।।

পুত্র বধুদের মানষিক নির্যাতন আর মেয়েদের অবহেলা এখন নিত্য দিনের ঘটনা বৃদ্ধা সাহেরা। বাড়ির উঠানে একটি টিনের ছাপড়া ঘরে বৃদ্ধার ঠাঁই মিলেছে। সেখানেই প্রসাব পায়খানা খাওয়া ও গোসলের ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে বাক প্রতিবন্ধী এই সাহেরা ধুকে ধুকে মরছে। সাহেরা খাতুন গাংনীর উপজেলা কল্যাণপুর উত্তর পাড়ার মৃত খেলাফত মÐলের স্ত্রী।
বৃদ্ধা সাহেরা খাতুনের বয়স আশির উর্ধে¦। সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ৫ মেয়ে। সকলেই স্বাবলম্বী। বড় ছেলে হকাজ্জেল কৃষিকাজ করে। মেজ ছেলে তুষার ও ছোট ছেলে হানিফ প্রবাসি। স্বামী গত হয়েছেন ১৭ বছর আগে। সন্তানদের বড় করে তুলতে অনেক কষ্ট জবীনে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। আশা ছিল সন্তানেরা বৃদ্ধ বয়সে কামাই করে খাওয়াবে আর মৃত্যুর সময় সৃষ্টিকর্তার নামটি কানে দিবে। কিন্তু না, তা হয়নি। হতভাগা মায়ের জীবনে নেমে এসেছে সুখের বদলে দুঃখের ঘনঘটা। পাষÐ সন্তানেরা সম্পদ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধ মাকে দেখভাল করেন না। স্বামীর রেখে যাওয়া জমির দুই আনা অংশ হিসেবে ৫ কাঠা জমি পান সাহেরা। ওই জমির কিছু অংশ বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা পেলে সাহেরার মেয়ে মেহেন্নীগার। সেই সাথে সুÑকৌশুলে হাতিয়ে নেন মায়ের গলার চেইন ও কানের পাশা।
এদিকে কৌশলে ৫ বোনকে ফাঁকি দিয়ে ৫ কাঠা জমি লিখে নেন তিন ছেলে। মেয়েদের কাছে থাকা অর্থ ও গয়না না পাওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হয় সাহেরাকে। অপরদিকে মেয়েরাও কোন খোঁজ খবর নেন না। সব মিলিয়ে সাহেরার জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার। সাহেরাকে ছেলেদের দালান কোঠায় ঠাঁই হয়নি। উঠানের এক কোণে টিনের ছাপড়া ঘরে তাকে রাখা হয়েছে। সেখানেই প্রসাব পায়খানা খাওয়া ও গোসলের ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী এই সাহেরা ধুকে ধুকে মরছে। তবে পুত্র বধুরা বলেছেন, বৃদ্ধ আছে বেশ সুখে শান্তিতে।
সাহেরার দেবর হারেজ আলী জানান, সাহেরা খাতুনের স্বামী মারা যাবার পর তিনি নিজেই রান্না বান্না করে খাওয়া দাওয়া করতেন। তার নিজের একটা গাভী ছিল। সেটি বিক্রি করে নগদ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন কাউছার মেম্বরের কাছে। সাহেরা অসুস্থ হবার পর ১০ হাজার টাকা খরচ করে। বাকি টাকা রয়ে যায় মেম্বরের কাছে। আবার বয়স্কভাতা প্রাপ্ত টাকা গুলোও সন্তানেরা ভাগ করে নিয়ে নেয়।
প্রতিবেশি বাবলু জানান, মায়ের ভরন পোষন ও ভাত দেয়ার বিষয়ে তিন ভায়ের মধ্যে সমঝোতা হয়। ১০ দিন করে একেক সন্তান মাকে খাওয়াবে ও যতœ নিবে। অথচ কেউ সঠিকভাবে তা করেন না। যার কাছেই যাক সেখানেই অবহেলার পাত্র তিনি। ঠিক মতো খাবার দেন না। করেন না গোসলের ব্যবস্থা। তবে মেজ ছেলের স্ত্রী রুপিয়া জানান, কোন অবহেলা করা হয় না। সকলেই যতœ নেন কোন অবহেলা নেই। তবে মেয়েরা সম্পদ থেকে বঞ্চিত ও তার গচ্ছিত টাকা হাতিয়ে নিতে না পেরে মাকে দেখভাল করেন না উপরন্ত নানা ধরনের ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে সম্মানহানী করে।
প্রতিবেশি সাজিয়া খাতুন জানান, সন্তানদের কারো কোন অভাব নেই সংসারে। মেয়েরাও বেশ ধনি। টাকা পয়সার কারণে বৃদ্ধ মহিলাটাকে কেউ দেখে না। তিনি আরো জানান, গত শনিবার ছেলে ও মেয়েদের দ্ব›েদ্বর কারণে তাকে রাস্তায় রেখে গেছে। ছেলের বউরা মেয়ের বাড়িতে রেখে আসলে মেয়েরাও বাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদে অবশেষে ছেলের বউরা বাড়িতে নিয়ে যান।
মেজ ছেলের স্ত্রীসহ অন্যান্যরা জানান, যতই আদর যতœ করা হয়, তার পরও বাড়ির পাশে মেয়ে আছে তার কাছে যাওয়া ও দেখার জন্য ছটফট করেন সাহেরা। মেয়েদেরকে খবর দেয়া হলেও তারা কেউ আসে না। এক পর্যায়ে শনিবার মেয়ের বাড়িতে দিয়ে আসা হয়। সম্পদ না পাওয়ার কারণে মেয়েরা বাড়িতে না রেখে রাস্তায় রেখে যায়। পরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে সাহেরার মেয়ে মেহেন্নীগার জানান, মাকে তার বাড়িতে না, বাড়ির পাশে রেখে যায় ভাবীরা। তারপর তাদের বাড়ির পাশে রেখে আসা হয়। মায়ের জমি জমা ফেরত দিলে তারাও মায়ের সেবা যতœ করবেন বলে জানান। তিনি আরো জানান, মায়ের বিষয় নিয়ে গ্রামে ও কয়েকবার পুলিশ ক্যাম্পে সালিশ হলেও কোন সমঝোতা আসেনি।
এ ব্যাপারে কাউছার মেম্বর জানান, তার কাছে ৪০ হাজার টাকা গচ্ছিত আছে। যে কোন সময় চিকিৎসা বা তার দাফন কাফনে টাকাগুলো লাগতে পারে। তবে মেয়ের কাছে রাখা টাকাগুলো দিচ্ছেন না তারা। সালিশ বৈঠকেও কোন সুরাহা হয়নি।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।