
মো.ইমরান হোসেন
স্টাফ রিপোর্টার ।।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাঁচামরিচের দাম হু হু করে বাড়ছে। এক পোয়া কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক কেজির দাম ৪০০ টাকা।ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ , অসাধু ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ‘খড়া ও বৃষ্টিতে মরিচ খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ , অসাধু ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
কালিয়াকৈরে মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক পোয়া কাঁচামরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এক কেজির দাম ৪০০ টাকা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রকারভেদে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩৮০ থকে ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা ক্রেতা মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, এমনিতেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলছে তারপর এক কেজি কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা ! ভাবতেই অভাক লাগে। যেখানে ৪০০ টাকা হলে ৬ কেজি চাল কেনা যায় সেখানে ১ কেজি কাঁচামরিচের দাম ৪০০ টাকা। এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আরেক ক্রেতা খোরশেদ মিয়া বলেন, কাঁচামরিচের দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। আমাদের ধারণা, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, কাঁচামরিচের দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজির সুযোগ নেই। চাহিদার থেকে সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। কারণ বৃষ্টি ও খড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচ খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার ভারত থেকে কাঁচামরিচি আমদানির অনুমতি দিয়েছে। সোমবার দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসতে শুরু করেছে। মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আমদানি অব্যাহত রাখলে বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে