মোঃ রাকিবুল হাসান
শেরপুর প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলায় গত ১৫ দিন ধরে চলছে দাপদাহ। এতে জন জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। একদিকে চলছে রমজানের রোজা আর এ রোজার মধ্যে চলছে প্রচন্ড গরমে অসুস্থি। এর মধ্যে ঠান্ডা খাবার গুলির চাহিদা বেড়েছে। গরমে অতিষ্ট হয়ে একটু সস্থির জন্য আইসক্রিম, ডাব, তরমুজ, শশা, খিরা, ঠান্ডা দই ক্রয় করতে দেখা যায় অনেক লোকজন কেই। গরমে অসহ্য হয়ে অনেক ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদেরকে একাধিকবার ঠান্ডা পনিতে গুছল করতে দেখা যায়। এই চরম মাত্রার দাপদাহের কারণে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই। এতে বয় বৃদ্ধ ছোট ছেলে মেয়ে সহ বহু লোক গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দাপদাহের কারনে হর্ট স্টক, ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, নিউমোনিয়া, আমাশয় সহ আরো অনেক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল সহ প্রাইভেট ক্লিনিকের রোগীর প্রচন্ড ভিড় বেড়েছে। অপর দিকে চলতি বোর ফসল আগাম জাতের ধান পাকলেও অতি মাত্রায় গরমে শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছে না। আবার নামিলা জাতের ধান বা যে সমস্ত জমিতে শরিষা চাষের পর বোর চাষ করেছে সেই সমস্ত ধান এখনো পরিপক্ক হয়নি। এই সমস্ত বোর ফসলে বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে অনেক জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভাবনা হচ্ছে না। ফলে অনেক বোর ফসল দাপদাহের কবলে পরে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে লো-ভোল্টেজের কারণে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের সেচ পাম্পের মটর নষ্ট হয়েছে। ফলে কাংশা ইউনিয়নের ও ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন সহ আরো অনেক এলাকায় সেচ ব্যবস্থা অচল হয়ে পরেছে। এতে প্রায় ৫শ” থেকে ৭শ” একর বোর ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। এতে বোর চাষিরা হতাশ হয়ে পরেছে। বহু টাকা খরচ করে অল্পের জন্য শেষ রক্ষা হবে কিনা এ নিয়ে সংকিত রয়েছে লোডশেডিং এর আওতার চাষিরা। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতি পল্লী বিদ্যুৎতের (এজিএম) কর্মকর্তার সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি আমি দেখতেছি। লো-ভোল্টেজের কারনে ৫/৬টি সেচ মটর পুরে যায় এবং ২০/২৫টি সেচ পাম্প অচল হয়ে আছে। ক্ষতিগ্রস্থ সেচ-মটর মালিকগণ ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদারের নিকট উক্ত ঘটনার বিষয় অবহিত করেন ক্ষতিগ্রস্থ সেচ পাম্পের মালিকগন। এবং কি মটর ক্ষতি হওয়ার ফলে চলতি বোর ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে শত শত কৃষকের। ৫থেকে ৭শ একর জমি সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় উৎপাদনে মারাত্বক বাধাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতির হাত থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার্থে প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহনের জুর দাবি জানিয়েছে লোডশেডিং ও লো-শেডিং এর ফলে চলতি বোর চাষিরা। বর্তমানে এই দাপদাহের কারণে উপজেলার দরিদ্র মানুষেরা নানা সমস্যায় পড়েছে। এমন প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে একদিকে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে অপরদিকে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি আশঙ্কায় দিশেহারা কৃষক।