মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জে উল্লাপাড়া অঞ্চলের কৃষকদের কাছে বছরের দ্বিতীয় প্রধান আবাদের সরিষা ফসল মাঠ থেকে তোলা শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই কম থাকায় উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নেতেই ভালো ভালো হারে হয়েছে সরিষার আবাদ। সরিষা খুব উপকারিতা একটি শস্য সরিষায় আরও আছে ফসফরাস, যা ক্যালসিয়ামের মতোই শরীরের ‘পিএইচ’য়ের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। হাড় সুস্থ সবল রাখতে যে ক্যালসিয়াম প্রয়োজন একথা সবারই জানা। ‘থেরাপেটিক অ্যান্ড ক্লিনিকাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেহের ৯৯ ভাগ ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া যায় হাড় ও দাঁতে। নতুন এক মণ হালকা ভেজা সরিষা ৩ হাজার ২ শ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪ শ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে ।
উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলের কৃষকদের কাছে অনেক আগে থেকেই সরিষা ফসল বছরের দ্বিতীয় প্রধান আবাদ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে জানানো হয় এবারের মৌসুমে সরিষা ফসলের আবাদের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিলো ১৮ হাজার ৮১০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে। সেখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৩১৫ হেক্টর বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলে সেতি ও কালো মাঘি দু’জাতের সরিষার আবাদ করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কালো মাঘি জাতের সরিষা বেশী পরিমাণ জমিতে আবাদ করা হয়। এবারেও তাই হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকেরা সেতি, কালো মাঘি, বারি-১৪, বারি-১৭ , বারি -৯ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন।
গত দিন সাতেক হলো আগাম করে আবাদ করা সরিষা ফসল তোলা শুরু হয়েছে। উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নেই আলী গ্রামের কৃষক জেল হোক তার ছয় বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন, মনের আনন্দে তিনি সরিষা তুলতে শুরু করেছেন । এলাকার বেশ কজন কৃষক জানান তারা ভালো হারে ফলন পাচ্ছেন। বিঘা প্রতি সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত মণ হারে ফলন মিলছে বলে জানানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, এবারের মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৩১৫ হেক্টর পরিমাণ জমিতে বেশি সরিষা ফসলের আবাদ হয়েছে। এবারে সরিষা ফসলে কোনো রোগ বালাই ছিলো না। সরিষার ফলন হারে হচ্ছে। বলা চলে সরিষার বাম্পার ফলন মিলছে। কৃষি প্রণোদনায় প্রান্তিক বহু সংখ্যক কৃষককে বিনামূল্যে সরিষা বীজ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা সরিষা ফসল তোলার পর সেসব জমিতে বছরের প্রধান আবাদের বোরো ( ইরি) ধান ফসল আবাদ করবেন।