সোমবার (৭ নভেম্বর) এন এস আই ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বনানী থেকে ২ জন ভুয়া প্রটোকল অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হরিদাস চন্দ্র ওরফে তাওহীদ ও মোঃ ইমরান মেহেদী হাসান। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল, জালিয়াতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ডকুমেন্টস এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে এডিট করা ভুয়া ছবি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন র্যাবের আইন ও গন মাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।
তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যসহ বিভিন্ন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের প্রটোকল অফিসার বা বিভিন্ন মন্ত্রীর ভুয়া এপিএস পদবী ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
এসব পরিচয়ে মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।
র্যাব জানায়,গ্রেফতারকৃত শ্রী হরিদাস চন্দ্র তরনীদাস ২০১৯ সালে ধর্মান্তরিত হয় এবং মুসলিম পরিবারে বিবাহ করেন । ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সে তার নাম পরিবর্তন করে তাওহীদ ইসলাম ধারণ করে। সে উক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা। তাদের এই চক্রে তার ৫-৬ জন সহযোগী রয়েছে। এই চক্রটি মোবাইলে বিভিন্ন নম্বর প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের এবং নিকটাত্মীয়ের বিভিন্ন সদস্যদের নামে সেইভ করে রাখত। সে প্রতারণা করার সময় উক্ত সেইভ নম্বরগুলোতে কল দিয়ে ভিকটিমকে প্রতারিত করে মোবাইল স্ক্রীনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের নাম প্রদর্শন করত। সহজ সরল ভিকটিমগণ উক্ত নম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যের নম্বর মনে করে প্রতারিত হয়। প্রকৃতপক্ষে তার কোন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর সাথে পরিচয় নেই। তার কোন দলীয় পরিচয় নেই। প্রতারণা করে অর্থ উপার্জনই তার মূল লক্ষ এবং পেশা।
হরিদাসের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান ও স্বর্ণের বারের অবৈধ বানিজ্যের সাথেও জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে । এ পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে হরিদাস তাওহীদ প্যারিস সুইমিংপুল,এন্টারটেইনমেন্ট রিসোর্টসহ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকায় নামে বেনামে অনেক জমি ক্রয় করেছে । এছাড়াও একাধিক ব্যাংকে তার নামে বেনামে বিভিন্ন একাউন্ট রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে উক্ত একাউন্ট গুলোতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের প্রমান পেয়েছে বলে জানায় র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।