
মোঃ রাকিবুল হাসান
, শেরপর প্রতিনিধি।।
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকায় তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চলতি বোর ফসল কাটা মারায়ে ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাপদাহে। কৃষক ও শ্রমিকেরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। টানা কয়েকদিন যাবৎ চলছে তাপদাহ। প্রচন্ড তাপদাহে বেড়েছে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, পেট ব্যথা, আমাশয় সহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ প্রচণ্ড গরমে রোগাক্রান্ত হয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাপদাহের সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং। ফলে সকল শ্রেণীর লোকের উপর তাপদাহের কারনে জনজীবনে নেমে এসেছে এক চরম দুর্ভোগ। ছোট ছোট ছেলে_মেয়ে গরমের তাপ সহ্য করতে না পেরে দিনে কয়েক বার করে গোসল করছে। পাশাপাশি বড়রাও একাধিক বার গোছল করছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে শ্রমিকেরা কাজ করতে গিয়ে গরমের তাপ সহ্য করতে না পেরে মাঝে মধ্যে মাথায়, মুখে পানি দিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে। অনেকেই গরমের তাপ সহ্য করতে না পেরে শরীর শিথিল রাখতে ঠান্ডা জাতীয় কোমল পানি ও ঠান্ডা খাবার খাচ্ছে। যেমন শশা, খিরা, ডাব, কলা, পেপে, দই, আইসক্রিম সহ ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার খাচ্ছে। শ্রমিকেরা দিনে প্রচন্ড তাপের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছে না। বর্তমানে যে পরিমাণ তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এমনটি দেখা যায়নি। খরা ও তাপদাহে মাঠে-ঘাটে, নদী, নালায়, খালেও জলাশয়ে কোথাও পানি নেই। মাঠগুলি শুকিয়ে খা খা করছে। একটু স্বস্থির জন্য গাছ তলায় বিশ্রাম করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে শ্রমিকেরা। দিনে তাপদাহের কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন বের হচ্ছে না। খোলা মাঠে প্রচন্ড গরমের কারণে শ্রমিকেরা কাজ করতে না পারায় বেকার সময় পার করছে। অনেক শ্রমিক অর্থ সংকটের কারণে ধান কাটার কাজ চুক্তি নিয়ে ভোরে এবং সন্ধ্যায় কাজ করছে। তাপদাহের কারনে তীব্র শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ফসল কাটতে শ্রমিকদের দিতে হচ্ছে ১৫ /১৬ হাজার টাকা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কৃষকের ধান কাটা মাড়ায় ব্যয় অনেক গুণ বেড়ে গেছে। অপরদিকে মাঠ_ঘাট, নদী_নালা, জলাশয় গুলো শুকিয়ে যাওয়ার কারণে দেশীয় মাছের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। এমন খরার কারণে বাতাসও গরম হয়ে উঠেছে। এলাকার ৬০ বছরের উর্ধি ব্যক্তিরা বলে আমরা এমন তীব্র গরম বা এমন বৈরীআবহাওয়া আর দেখি নাই। গরমে ছোট বড় সকলেই অস্বস্তিতে আছে। বৃষ্টি নেই দীর্ঘদিন থেকে। তৃণভূমি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। যে কারনে খরায় নামিলা জাতের বোর ধান ও সবজী খেত খরার কবলে পরেছে। একই সাথে ব্যবসা বাণিজ্যেও পরেছে ব্যাপক প্রভাব তাপদাহের কারনে। উত্তপ্ত মাঠ ঘাট। বাতাসে নেই আদ্রতা, শ্বাস-প্রশ্বাসেও যেনো গরম ভাব। দীর্ঘ খরা ও তাপদাহের কারনে নানা ধরনের ক্ষতির মুখে পরেছে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবাসী।