
চঞ্চল,
আজ বৃহস্পতিবার রাতে ও দিনে বিজিবি’র বিশেষ টহলদল লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় দুটি বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপসহ এক আসামিকে আটক করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ভারতীয় কোয়ার্ড ক্রিম জব্দ করা হয়েছে।
বিকেলে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি)-এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অনন্তপুর বিওপি’র আওতাধীন বালাবাড়ী ভাগুয়ার ভিটা (থানা-ফুলবাড়ী, জেলা-কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে বিশেষ টহল অভিযান পরিচালনা করে ৩৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপসহ মো. রাশেদুল হক (২৭) নামে এক আসামিকে আটক করা হয়। এছাড়াও মোগলহাট বিওপি’র আওতাধীন কুমারটারী (থানা-আদিতমারী, জেলা-লালমনিরহাট) নামক স্থানে পরিচালিত আরেক অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়। ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশি করে ৮.৯ কেজি ভারতীয় গাঁজা এবং ৩০০ পিস ভারতীয় কোয়ার্ড ক্রিম উদ্ধার করা হয়।
জব্দকৃত মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ১ লাখ ২৮ হাজার ৩ শত ৫০ টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় গাঁজা ও কোয়ার্ড ক্রিমের বাজার মূল্য ১ লাখ ৬ হাজার ১৫০ টাকা এবং ভারতীয় ইস্কাফ সিরাপ (৩৩ বোতল) ও একটি বাইসাইকেলের বাজার মূল্য ২২ হাজার ২০০ টাকা।
আটককৃত আসামি মোঃ রাশেদুল হক (২৭), পিতা: মো. আব্দুল মালেক, গ্রাম: অনন্তপুর বালাবাড়ী, থানা: ফুলবাড়ী, জেলা: কুড়িগ্রাম-এর বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে মাদকদ্রব্যসহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদক সংশ্লিষ্ট অন্যান্য চোরাকারবারীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্থানীয় জনগণকে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই। যারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন, তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।”
এই সফল অভিযান চোরাচালান প্রতিরোধে এবং মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বিজিবি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। এছাড়াও বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।