
মোঃ জাহিদুল ইসলাম রুমন, সীতাকুণ্ড
আসছে বন্যা, বর্ষা,ঘুনিঝড়,দুশ্চিন্তা ও দুর্দশায় ১নং সৈয়দপুরের ৬নং ওয়ার্ড বাঘখালী গ্রামের সুইচগেট এলাকার মানুষ। প্রতিবছরই ভয়াবহ বন্যার পানি বেড়িবাধের উপর দিয়ে উঠে পুরো গ্রামের কিছু অংশে প্লাবিত হয়।এ ইউনিয়নে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের জীবন জীবিকার কৃষিতে ও পুকুরে আঘাত হয়।
তাই এবার র্বষা ও বন্যা আসার আগেই বেড়িবাঁধ এর সুইচ গেট এর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা। মৌখিক ভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কয়েক বছর ধরে ভারি বৃষ্টিতেও এলাকায় ও কৃষি জমিতে পানি ঢুকতো,কিন্তু গতবছর আপনারা সকলে জানেন সারাদেশে ভারি বৃষ্টি ও বন্যার ফলে অনেক ক্ষতি হয়েছে দেশের, এখানেও তার কম ছিলো না, বন্যার পানি ও সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ঢুকে কৃষি জমি সব শেষ করে দিয়েছে,সাথে পুকুরও রক্ষা পায়নি।
প্রায় ১০০-১৫০ পরিবারও পানিবন্দি হয়ে যায়, পানি কখনও কমে, আবার কখনও বেড়ে যায়। পানিপ্রবাহের এ অস্বাভাবিকতায় প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন। কৃষক আজাদ বলেন এই সুইচ গেটটি ১৯৬২-১৯৬৩ সালের তৈরি সম্ভবত বর্তমানে পাইপ ও ভেঙ্গে গিয়েছে।দুই পাশে মাটিও জমে থাকে,বেডিঁবাধ এর রাস্তার কিছু অংশও ভেঙ্গে যাচ্ছে,এসব কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সৈয়দপুরের বাঘখালি সুইচগেট এর বাঁধ।
আগামী বর্ষা ঘিরে নাজুক এ সুইচ গেট নিয়ে প্রচণ্ড উৎকণ্ঠায় রয়েছেন সৈয়দ পুরের এলাকার মানুষ। এদিকে খালটিও ভরাট হয়ে রয়েছে আজ কয়েক বছর ধরে।এলাকাবাসী এমাম হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন বলেন বিগত বছর গুলোতে ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে খাল খনন ও সুইচ গেট মেরামত এর আবেদন সহ তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডে ও গিয়েছে ও বাঁধটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ডের তারেক এর সাথে কথা বললে এ ব্যাপারে তিনি জানান টাকায় সমস্যাটির কথা পাঠানো হয়েছে আশা করি ২০-২৫দিনের ভিতর এটা সমাধানের আশাবাদী।
এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এর প্রতি দাবি জানান দ্রুত সময়ে সুইচগেট সংষ্কার ও খাল খনন না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলেন জানান।