মোঃ সৌরভ হোসাইন (সবুজ)
স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ।।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নলকা ইউনিয়নে সাহেবগন্জ বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে ফুলজোর নদীর ড্রেজিং কৃত সরকারী বালু বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লাখ টাকা।
সাহেবগন্জ বাজার এলাকার বালু দস্যু লিখন আশরাফ মাস্টারের ছেলে এক সময়ে সিরাজগঞ্জ রোডে সিডি ও স্টুডিও ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
নদী খননের ড্রেজিংকৃত বালু রাতের আধারে বিক্রি ও অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছেন তিনি কিছু ক্ষমতাসীন আমলাদের ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন সেনাবাহিনীর ড্রেজিংকৃত বালু চুরির সিন্ডিকেট গত এক বছরেই গড়েছেন বাড়ি গাড়িসহ ব্যাংক ব্যালেন্স।
রিতিমত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ, চলাচল করেন নিজস্ব প্রাইভেটকারেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন, লিখন আগে একসময় সিরাজগঞ্জ রোডে সিডি ও কম্পিউটারের গান লোডের ব্যবসা করত। এখন সেনাবাহিনীর ড্রেজিং বালু রাতের আধারে বিক্রি করে গত কয়েক মাসেই কটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে গাড়িও কিনেছে একটা।
সবসময় চলাচল করেন প্রাইভেট কারেই।
একই এলাকার কবির নামের এক তেল ব্যবসায়ী যুবক জানান, বাংলা ড্রেজারের পাইপ বসানো কে কেন্দ্র করে আমার চাচাত ভাইদের সাথে মারামারী হওয়ার জেরে গত কয়েকদিন আগে সিরাজগঞ্জ রোডের বগুড়া রোডে অবস্থিত আমার তেলের দোকানে রাতে প্রাইভেট কার যোগে দুজন লোক নিয়ে এসে আমাকে গাড়িতে তুলে মারধর করে আমার ব্যবসায়ীক টাকা ও মোবাইল ফোন কেরে নেই। এ বিষয়ে আমি সলঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যম দিয়ে শুধু আমার মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে যায় কিন্তু টাকা পয়সা ফেরত দেয় না। আমার তেলের ব্যবসা বন্ধ করবে হুমকি ধামকি দেয় এবং অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়।
আমি ব্যবসায়ী মানুষ তাই চুপ হয়ে আছি।
অভিযোগটি তুলেছেন বা মিমাংসা করেছে কিনা জানতে চাইলে কবির জানান , এখনও কোন মিমাংশা হয়নি শুধু নেতাদের দিয়ে আমার মোবাইল ফেরত দিয়েছে সিম টাকা পয়সা ফেরত দেয়নি, অভিযোগ এখনও থানাতেই আছে সলঙ্গা থানার এস আই কুদ্দুসের কাছে রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে সলঙ্গা থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস জানান, লিখনের বিরুদ্ধে তেল ব্যবসায়ি ছিনতাইয়ের একটি অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি নিজেরাই মিমাংশা করে নিয়েছে।
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নলকা ইউনিয়নের সাহেবগন্জ বাজরের উত্তর দিকে চলেছে বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু খনন।
সেখানে দায়িত্বে থাকা সাবেক মেম্বর ইউছুফ আলী জানান, ড্রেজিং পয়েন্ট লিখনের তিনি শুধু দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন।
বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু খননের বিষয়ে নলকা ইউনিয়নের সাহেবগন্জ ভূমি কর্মকর্তা ফজলার রহমান জানান , লিখনকে নিষেধ করা হয়েছে এবং আমি এসিল্যান্ড সারের বরাবর রিপোর্ট দিয়েছি এরপর কিছু জানার থাকলে লিখনের সাথে যোগাযোগ করুন।
এ বিষয়ে লিখন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি, জানান, ড্রেজিং এর বালু অনুমতি নিয়েই বিক্রি করছি, তবে বাংলা ড্রেজার আমার না আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কে বা কারা বালু তুলছে আমি জানি না।
রায়গঞ্জ উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা তানজিল পারভেজ এর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কনা মন্ডল দৈনিক সংবাদকে বলেন, যদি অবৈধভাবে কেউ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।