
মোঃ রাকিবুল হাসান
(শেরপুর) প্রতিনিধি।।
শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে শীতের প্রভাবে জন জীবন থেকে শুরু করে কৃষিসহ পশুপাখির উপরেও শীতের ব্যপক প্রভাব পড়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূর্যের দেখা মেলে না প্রায় ৩ সপ্তাহ যাবৎ। ঘন কুয়াশার সাথে দুই দিন থেকে শৈত প্রবাহ যুক্ত হওয়ায় শীতের তিব্রতা ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অসহনীয় শীতের প্রভাবে সব কিছুই অচল হয়ে পরেছে। ব্যপক ভাবে বেড়ে চলেছে শীত জনিত নানা রোগ। শীতে আক্রান্ত শিশুরা ঠান্ডা জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ভাইরাস জ্বর সহ নানা রোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত জনিত রোগে প্রতিদিন শত শত রোগি সরকারি হাসপাতালে বর্হির বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসছে। হাসপাতালে প্রয়োজন সংখ্যক শীত জনিত রোগের ঔষধ মিলছে না বলে অনেক দরিদ্র রোগির কাছে জানা যায়। দরিদ্র ছিন্নমূল পরিবারের লোকেরা শীত নিবারনের জন্য খড় কুটা জালিয়ে শীত কাটানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া দরিদ্র কৃষকের গৃহ পালিত পশু হাস, মুরগি, গরু, ছাগলও তিব্র শীতে রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কৃষকরা তাদের গবাদি পশু গুলিকে শীত থেকে রক্ষা করতে পুরাতন গরম কাপড় ব্যবহার করছেন। ইতি মধ্যেই বহু মুরগি খামারির মালিক জানায় শীতে বহু মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিব্র শীতের কারনে খামারি মালিকদের লাভের পরিবর্তে লুকসান হবে। কৃষি খাতও ব্যপক ক্ষতির মূখে পড়েছে। সিংহভাগ সবজী নষ্ট হতে চলেছে পাশাপাশি চলতি বোর মৌসুুমের বোর বীজতলা কুয়শায় ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এতে চলতি বোর মৌসুমের বীজতলার বীজ (চারা) সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে চলতি বোর মৌসুম অনেকটা হুমকির মূখে। এমন বৈরী প্রতিকূল আবহাওয়া অত্র এলাকার দরিদ্র পরিবারদের মাঝে নেমে এসেছে মহা বিপর্যয় ও দুর্ভোগ। বৈরী এই প্রতিকূল আবহাওয়ায় যে নানা মূখি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠা অনেক দরিদ্র পরিবারের পক্ষেই সম্ভব হবে না। প্রকাশ থাকে যে শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্ত এলাকায় দরিদ্র শ্রেনীর লোকের বসবাস। অত্র এলাকার দরিদ্র শীতার্থ পরিবারের লোকেরা সরকারি ভাবে শীত বস্ত্র কম্বল প্রদানের দাবি জানিয়েছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট। এ যাবৎ অত্র ঝিনাইগাতি উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩২শ” কম্বল যা ইতি মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের মাধ্যমে বিতরন শেষ হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।