Dhaka , Friday, 18 October 2024
নিবন্ধন নাম্বারঃ ১১০, সিরিয়াল নাম্বারঃ ১৫৪, কোড নাম্বারঃ ৯২
শিরোনাম ::
পিরোজপুরে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানে প্রসাশনের যৌথ মহড়া।। দুর্গাপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র ইদ্রিস আলীর পাশে বিএনপি নেতা মঞ্জু।। রূপগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোরগ্যাংয়ের চার সদস্য গ্রেফতার।। ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার চাঁদা নেওয়ার সংবাদ প্রকাশের পর তদন্ত কমিটি গঠন।। বিল্ডিং কোড না মেনে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন নোয়াখালীতে বন্দোবস্তের পাঁচগুণ জায়গা অবৈধভাবে দখল।। লক্ষ্মীপুরে ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামী রাজু’র ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন।। রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন।। রূপগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদে ছিলেন- মীর হেলাল।। জলঢাকায় অধ্যক্ষের কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি।। রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন।। চবি উপাচার্যের সাথে ঢাবি উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ।। রূপগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক।। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপদে ছিলেন- মীর হেলাল।। পীরগাছায় অটোরিক্সার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত।। ঝালকাঠিতে ১৩০পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।। দুর্গাপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ইদ্রিস আলীর পাশে লেঙ্গুরা ট্যুরিজম।। দুর্গাপুরে শহীদ উমর ফারুক ব্লাড ডোনার সোসাইটির আলোচনা সভা।। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার।। অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিদায় বাংলাদেশ হারালো এক সাহসী নেতৃত্ব।। ছাত্র আন্দোলনে নিহত লক্ষ্মীপুরের আফনান এইচএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ ৪.১৭।। আমুর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক।। মোংলায় রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত।। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার।। আমুর ঘনিষ্ঠ মোস্তাকের ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে দখলকৃত নদী উন্মুক্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন।। রাজাপুরে কালবেলা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত।। ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব।। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বহাল রাখার দাবিতে আটঘরিয়ায় মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান।। লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী নিহত।। চবির ডাইনিং পর্যবেক্ষণ করলেন কর্তৃপক্ষ।।

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে বোর চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  • Reporter Name
  • আপডেট সময় : 04:31:18 pm, Sunday, 19 February 2023
  • 123 বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে বোর চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মোঃ রাকিবুল হাসান

শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর চাষিরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বোর চাষের আবাদ সর্ম্পূণ করেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর বীজের ক্ষয়-ক্ষতি শ্রমিক সংকটের পর আবার বোর চাষে অতিরিক্ত ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় বোর চাষিদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে বোর চাষ করেছে। দির্ঘস্থায়ী শৈত প্রবাহ ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার করনে বোর চাষ মারাত্বক ভাবে বাধার মূখে পরে। নানা ধরনে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বোর চাষিদের হিমসিম খেতে হয়েছে। তারপরেও দমে থাকেনি বোর চাষিরা। কারন অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই উৎপাদিত ফসল দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল বাজারে বিক্রি করে। অত্র এলাকার কৃষকের বারতি উৎপাদিত ফসল দিয়ে দেশের আভ্যান্তরীন চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। যে কারনে অত্র এলাকা কৃষি ফসল উৎপাদন ভান্ডার হিসাবে পরিচিত। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় এ বছর বোর হাইব্রিড জাতের বোর চাষ করেছে, যেমনঃ তেজ-গোল্ড, হাইব্রিড-২৬, হাইব্রিড-২৮, হাইব্রিড-২৯, হিরা-১৯, হিরা-৪, শক্তি-১, শক্তি-১৪, সুপার গোল্ড, আফতাব ও এ.সি.আই গ্রæপের উন্নত জাতের বীজের চাষাবাদ করা হয়েছে। হাইব্রীড ছাড়াও উন্নত জাতের আরো অনেক জাতের বোর চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে প্রান্তিক চাষি ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড বোর বীজ ও বিনামূল্যে সার কৃষি প্রণদনা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এত দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে বোর বীজ ও সার পাওয়ায় বোর চাষে কৃষকরা অনেকটা উৎসাহি হয়েছে। কারন অত্র এলাকার অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সরকারি এই কৃষি প্রনদনায় কৃষকদের জন্য বোর চাষে সহায়ক হয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ থেকে জানা যায় অত্র উপজেলায় ১৩ হাজার ৫শ” হেক্টর জমিতে বোর চাষের লক্ষমাত্রা। কিন্তু ধানের বাজার ভালো হওয়ায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোর চাষ করেছে কৃষকেরা এমন ধারনা করা হচ্ছে বেসরকারি ভাবে। বর্তমানে চাষ কৃত বোর ফসল পরিচর্যায় সেচ ও সার বিষ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে বোর চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা আর্থিক সংকটে আছে। প্রতি একর বোর চাষে খরচ বেড়ে দারিয়েছে ৩৫/৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে বোর ফসলের খেতের অবস্থান খুব ভালো। চাষাবাদ কৃত বোর ফসলের অবস্থান দেখে মনে হয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ফসলের অবস্থা দেখে কৃষকের মুখে হাসি। যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে বোর উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, সম্প্রসারন বিভাগের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও কৃষি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, আল-আমিন এদের সাথে কথা হলে তারা জানান, চলতি বোর মৌসুমের উৎপাদিত ফসলের সার্বক্ষণিক খুজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কৃষকের মাঠে মাঠে ফসলের সমস্যা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যহত না হয় এই দিকে আমরা সর্বদায় নজর রাখছি। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার কৃষকরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরিদর্শন করেন। এবং উৎপাদন যাতে ভালো হয় সে বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তার এমন উৎসাহের কারণে কৃষকরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রূপগঞ্জে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর নির্দেশে নির্মিত চার সড়কের উদ্বোধন।।

পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে প্লাবিত,২ শত পরিবার পানিবন্দী।।

পিরোজপুরে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানে প্রসাশনের যৌথ মহড়া।।

শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে বোর চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট সময় : 04:31:18 pm, Sunday, 19 February 2023

মোঃ রাকিবুল হাসান

শেরপুর প্রতিনিধি।।

 

শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চলে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর চাষিরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে বোর চাষের আবাদ সর্ম্পূণ করেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বোর বীজের ক্ষয়-ক্ষতি শ্রমিক সংকটের পর আবার বোর চাষে অতিরিক্ত ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় বোর চাষিদের কষ্টের মধ্যে দিয়ে বোর চাষ করেছে। দির্ঘস্থায়ী শৈত প্রবাহ ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার করনে বোর চাষ মারাত্বক ভাবে বাধার মূখে পরে। নানা ধরনে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বোর চাষিদের হিমসিম খেতে হয়েছে। তারপরেও দমে থাকেনি বোর চাষিরা। কারন অত্র অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবার কৃষি ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাই উৎপাদিত ফসল দিয়ে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বারতি ফসল বাজারে বিক্রি করে। অত্র এলাকার কৃষকের বারতি উৎপাদিত ফসল দিয়ে দেশের আভ্যান্তরীন চাহিদায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। যে কারনে অত্র এলাকা কৃষি ফসল উৎপাদন ভান্ডার হিসাবে পরিচিত। এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে জানা যায় এ বছর বোর হাইব্রিড জাতের বোর চাষ করেছে, যেমনঃ তেজ-গোল্ড, হাইব্রিড-২৬, হাইব্রিড-২৮, হাইব্রিড-২৯, হিরা-১৯, হিরা-৪, শক্তি-১, শক্তি-১৪, সুপার গোল্ড, আফতাব ও এ.সি.আই গ্রæপের উন্নত জাতের বীজের চাষাবাদ করা হয়েছে। হাইব্রীড ছাড়াও উন্নত জাতের আরো অনেক জাতের বোর চাষাবাদ হয়েছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে প্রান্তিক চাষি ও দরিদ্র কৃষকদের মাঝে হাইব্রিড বোর বীজ ও বিনামূল্যে সার কৃষি প্রণদনা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। এত দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে বোর বীজ ও সার পাওয়ায় বোর চাষে কৃষকরা অনেকটা উৎসাহি হয়েছে। কারন অত্র এলাকার অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষি। সরকারি এই কৃষি প্রনদনায় কৃষকদের জন্য বোর চাষে সহায়ক হয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ থেকে জানা যায় অত্র উপজেলায় ১৩ হাজার ৫শ” হেক্টর জমিতে বোর চাষের লক্ষমাত্রা। কিন্তু ধানের বাজার ভালো হওয়ায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বোর চাষ করেছে কৃষকেরা এমন ধারনা করা হচ্ছে বেসরকারি ভাবে। বর্তমানে চাষ কৃত বোর ফসল পরিচর্যায় সেচ ও সার বিষ প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তবে বোর চাষে খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা আর্থিক সংকটে আছে। প্রতি একর বোর চাষে খরচ বেড়ে দারিয়েছে ৩৫/৪০ হাজার টাকা। বর্তমানে বোর ফসলের খেতের অবস্থান খুব ভালো। চাষাবাদ কৃত বোর ফসলের অবস্থান দেখে মনে হয় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। ফসলের অবস্থা দেখে কৃষকের মুখে হাসি। যদি প্রকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে বোর উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি ফলার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝিনাইগাতি কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার, সম্প্রসারন বিভাগের কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, নাদিয়া আক্তার ও কৃষি উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার মঞ্জুরুল হক, আল-আমিন এদের সাথে কথা হলে তারা জানান, চলতি বোর মৌসুমের উৎপাদিত ফসলের সার্বক্ষণিক খুজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কৃষকের মাঠে মাঠে ফসলের সমস্যা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকের ফসল উৎপাদন ব্যহত না হয় এই দিকে আমরা সর্বদায় নজর রাখছি। এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার কৃষকরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরিদর্শন করেন। এবং উৎপাদন যাতে ভালো হয় সে বিষয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দেন কৃষকদের। কৃষি কর্মকর্তার এমন উৎসাহের কারণে কৃষকরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।